ইউরো

কেইনের ইতিহাস গড়ার পথে বাধা হবেন অলমো?

বিশ্বকাপ ও ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপ— দুই টুর্নামেন্টেই সর্বোচ্চ গোলদাতা হিসেবে গোল্ডেন বুট জেতার রেকর্ড কয়জনের আছে? স্রেফ একজনেরই। দ্য বোম্বার খ্যাত জার্ড মুলারের। জার্মানির প্রয়াত কিংবদন্তিকে ছুঁয়ে ফেলার হাতছানি রয়েছে হ্যারি কেইনের সামনে। তবে ইংল্যান্ডের জার্সিতে সবচেয়ে বেশি গোল করা স্ট্রাইকারের জন্য সাজানো মঞ্চ ভেঙে দিতে পারেন আরেকজন। এবারের ইউরোর ফাইনালে তাদের প্রতিপক্ষ স্পেনের দলে থাকা উইঙ্গার দানি আলমো।

কীভাবে? ধীরে ধীরে খোলাসা করা যাক। ২০২১ সালে পৃথিবীকে বিদায় বলা মুলার ১৯৭০ সালের বিশ্বকাপে করেছিলেন ১০ গোল। দুই বছর পর আয়োজিত ইউরোতে চারবার জাল খুঁজে নিয়েছিলেন তিনি। দুই আসরেই তিনি ছিলেন সর্বোচ্চ গোলদাতা। ইউরোপ মহাদেশের একমাত্র ফুটবলার হিসেবে বিশ্বকাপ ও ইউরোতে মুলারের গোল্ডেন বুট জেতার কীর্তিতে আর কেউ এখনও ভাগ বসাতে পারেননি। সেটা টিকে আছে ৫২ বছর পরেও।

তবে বার্লিনে বাংলাদেশ সময় রোববার দিবাগত রাতে অনুষ্ঠেয় ইউরোর ফাইনাল শেষে কেইন বসে পড়তে পারেন মুলারের পাশে। বিশ্বকাপে গোল্ডেন বুট জেতার সৌভাগ্য ছয় বছর আগেই হয়েছে তার। ২০১৮ সালের আসরে ৬ গোল করেছিলেন কেইন। আর চলতি ইউরোতে ৩ গোল নিয়ে গোল্ডেন বুট জয়ের দৌড়ে যৌথভাবে এক নম্বরে আছেন তিনি। সমান সংখ্যক গোল করেছেন অলমোও। কেবল তারা দুজনই নন, আরও চারজন আছেন শীর্ষে— জর্জিয়ার জর্জেস মিকাউতাদজে, স্লোভাকিয়ার আইভান শ্রাঞ্জ, জার্মানির জামাল মুসিয়ালা ও নেদারল্যান্ডসের কোডি গাকপো।

ইউরোর আয়োজক উয়েফার নতুন নিয়ম অনুসারে, সর্বোচ্চ গোলের তালিকায় একাধিক খেলোয়াড় থাকলে সবাইকে গোল্ডেন বুট দেওয়া হবে। তাই এবার ছয় ফুটবলারই পাবেন সর্বোচ্চ গোলদাতা হওয়ার পুরস্কার, যদি ফাইনালে কেইন ও অলমোর কেউই গোল না করেন। বিদায় নেওয়ায় মিকাউতাদজে, শ্রাঞ্জ, মুসিয়ালা ও গাকপোর গোলের সংখ্যা বাড়ানোর কোনো উপায় নেই। সেই সুযোগ আছে কেবল দুজনের। আর সেখানেই মুলারের রেকর্ডে কেইনের সঙ্গী হওয়ায় বাধা হতে পারেন অলমো। তবে ফাইনালে যদি দুজনেই গোল না পান বা দুজনেই সমান সংখ্যক গোল করেন বা কেইন তুলনামূলক বেশি গোল করেন, তাহলে মুলারের অনন্য অর্জনে নিশ্চিতভাবেই কেইন ভাগ বসাবেন।

গ্রুপ পর্বে ডেনমার্ক, শেষ ষোলোতে স্লোভাকিয়া ও সেমিফাইনালে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে জাল কাঁপিয়েছেন ৩০ বছর বয়সী কেইন। তবুও তার পারফরম্যান্স প্রত্যাশার দাবি পুরোটা মেটাতে পারেনি। অন্যদিকে, ২৬ বছর বয়সী অলমো আছেন দুর্দান্ত ছন্দে। তার সবগুলো গোল এসেছে নকআউট পর্বে। শেষ ষোলোতে জর্জিয়া, কোয়ার্টার ফাইনালে জার্মানি ও সেমিফাইনালে ফ্রান্সের বিপক্ষে নিশানা ভেদ করেছেন তিনি। পাশাপাশি দুটি অ্যাসিস্টও আছে তার।

কেইন ও অলমো উভয়েই ক্লাব ফুটবল খেলছেন চলতি ইউরোর আয়োজক দেশ জার্মানিতে। কেইন বায়ার্ন মিউনিখের হয়ে, অলমো আরবি লাইপজিগের পক্ষে। গত মার্চে শেষবার যখন তাদের মুখোমুখি লড়াই হয়েছিল, কেইন করেছিলেন জোড়া গোল। তার কল্যাণে বুন্ডেসলিগার ম্যাচে বায়ার্ন ২-১ গোলে জিতেছিল লাইপজিগের বিপক্ষে। আর কোনো শিরোপা নির্ধারণী মঞ্চে সবশেষ যখন দুজন পরস্পরকে মোকাবিলা করেছিলেন, তখন অলমো পেয়েছিলেন হ্যাটট্রিকের স্বাদ! তার নৈপুণ্যে গত বছরের আগস্টে জার্মান সুপার কাপে বায়ার্নকে ৩-০ গোলে উড়িয়ে দিয়েছিল লাইপজিগ।

উল্লেখ্য, আরও দুজন গোল্ডেন বুট জেতার লড়াইয়ে খুব বেশি পিছিয়ে নেই। তারা হলেন ইংল্যান্ডের জুড বেলিংহ্যাম ও স্পেনের ফাবিয়ান রুইজ। দুজনই দুবার করে গোল উদযাপন করেছেন এবারের ইউরোতে।

Comments

The Daily Star  | English

Decision on AL’s registration after receiving govt ban order: CEC

The decision to ban was made at a special meeting of the council following three days of demonstrations demanding a ban on the party

29m ago