পানির চাপে ভাঙল সেতুর সংযোগ সড়ক, পশ্চিম টাঙ্গাইলের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন

বন্যার পানির চাপে ধলেশ্বরী নদীর ওপর নির্মিত চারাবাড়ি সেতুর সংযোগ সড়ক ভেঙে যাওয়ায় পশ্চিম টাঙ্গাইলের সঙ্গে সড়ক যোগাযোগ একপ্রকার বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।
আজ বুধবার ভোর ৫টার দিকে সদর উপজেলার ঘোষপাড়ায় সেতুর পশ্চিম অংশে ভাঙন শুরু হয়। ছবি: সংগৃহীত

বন্যার পানির চাপে ধলেশ্বরী নদীর ওপর নির্মিত চারাবাড়ি সেতুর সংযোগ সড়ক ভেঙে যাওয়ায় পশ্চিম টাঙ্গাইলের সঙ্গে সড়ক যোগাযোগ একপ্রকার বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। এতে দুর্ভোগে পড়েছেন চরাঞ্চলের হাজারো বাসিন্দা।

স্থানীয়রা বলছেন, আজ বুধবার ভোর ৫টার দিকে সদর উপজেলার ঘোষপাড়ায় সেতুর পশ্চিম অংশে ভাঙন শুরু হয়। অল্প সময়ের মধ্যে সংযোগ সড়কের পঞ্চাশ মিটারের বেশি অংশ নদীগর্ভে তলিয়ে যায়। বন্ধ যায় সব ধরনের যান চলাচল।

টাঙ্গাইল-তোরাবগঞ্জ সড়কটি টাঙ্গাইল শহরের সঙ্গে জেলার পশ্চিমে চরাঞ্চলের কমপক্ষে পাঁচটি ইউনিয়নকে সংযুক্ত করেছে। স্থানীয়রা আরও বলছেন, দীর্ঘদিন ধরে ধলেশ্বরী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের কারণে চারাবাড়ি এলাকার সেতুটি আগেই ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে ছিল।

টাঙ্গাইল সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান তোফাজ্জল হোসেন খান তোফা ঘটনাস্থল থেকে দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, ভাঙনের আয়তন ক্রমেই বাড়ছে। এমন অবস্থায় লোক চলাচলের জন্য বিকল্প ব্যবস্থার কথা ভাবছেন তারা।

জানতে চাইলে টাঙ্গাইল পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সাজ্জাদ হোসেন ডেইলি স্টার কে বলেন, সেতুটি স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি)। তারাই এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।'

তারা যদি আমাদের চিঠি দেয় তবে ব্যবস্থা গ্রহণের বিষয়ে  উর্ধতন কতৃপক্ষকে জানাবো," তিনি বলেন।

যেগাযোগ করা হলে এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, সংযোগ সড়ক ভাঙার খবর তারা পেয়েছেন। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের প্রস্তুতি চলছে।

এই প্রকৌশলী আরও বলেন, 'নদীর গতিপথ পরিবর্তনের কারণে সেতুটি ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে এবং সংযোগ সড়কটি বারবার ভাঙনের কবলে পড়ছে। সমস্যার স্থায়ী সমাধানে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিতে স্থানীয় সংসদ সদস্যকে অনেকবার বলা হয়েছে।'

Comments

The Daily Star  | English

Protests continue in Khulna for 3rd day demanding KMP commissioner’s removal

Protesters staged a sit-in outside the KMP headquarters, blocking roads and chanting slogans

40m ago