বগুড়ায় বাস-কাভার্ডভ্যান মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ৪

বগুড়ার বনানী এলাকায় মুখোমুখি সংঘর্ষে দুমড়ে মুচড়ে যাওয়া বাস ও কাভার্ডভ্যান। ছবি: সংগৃহীত

বগুড়ার শাহজাহানপুর উপজেলার বনানী এলাকায় বাস ও কাভার্ডভ্যানের মুখোমুখি সংঘর্ষে চার জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন সাত জন।

গতকাল রাত আড়াইটার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

পুলিশ জানায়, নিহতরা হলেন-- বগুড়া সদরের সুত্রাপুর এলাকার শামীম হাসান (৪৫), একই জেলার নন্দীগ্রাম উপজেলার রিধইল গ্রামের বাসিন্দা আব্দুল হান্নান (৩৮), ঢাকা মিরপুরের বাসিন্দা হৃদয় (২২) ও নীলফামারির ডোমার উপজেলার জেসমিন (৩৫)।

দুর্ঘটনায় আহতরা হলেন মো. শাওন হোসেন (৩০), মো. রেজাউল করিম (৪৫), মো. বাবুল মিয়া (৩৫), মো. আলিফ (৩৫) মো. সুজন মিয়া (৩৫), অমিত (১০) এবং মোহাম্মদ সৈকত (১৮)।

আহতরা সবাই বাস যাত্রী বলে জানিয়েছেন উদ্ধারকারী ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা।

জানা যায় ঢাকা থেকে নওগাঁ যাচ্ছিল বাসটি। অন্যদিকে বগুড়া থেকে শেরপুরে যাচ্ছিল কাভার্ডভ্যানটি।

উদ্ধারকাজে অংশ নেওয়া বগুড়া ফায়ার সার্ভিস এবং সিভিল ডিফেন্স স্টেশনের সিনিয়র স্টেশন অফিসার শহিদুল ইসলাম দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, বনানী শাহ সুলতান ফিলিং স্টেশনের সামনে শাহ ফতেহ আলী বাস এবং অজ্ঞাত কাভার্ড ভ্যানের মুখোমুখি সংঘর্ষের খবর পাই রাত আড়াইটার দিকে। ঘটনাস্থলে গিয়ে আমরা কাভার্ড ভ্যানের চালকসহ দুই জনকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করি। শাহ ফতেহ আলী বাসের চার জনকে যাত্রীকে মুমুর্ষ অবস্থায় উদ্ধার করে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। এছাড়া আহত কিছু যাত্রী ওই হাসপাতালে ভর্তি হন।'

দুর্ঘটনার কারণ জানতে চাইলে শহিদুল ইসলাম বলেন, কাভার্ড ভ্যানটি তার লেন থেকে সরে এসে রাস্তার মাঝখানে চলে আসে। অপরদিকে বাসটিও তার লেন থেকে রাস্তার মাঝখানে চলে আসার ফলে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে বাসের যাত্রীরা আমাদের জানিয়েছেন।

নিহতদের লাশ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। আহতরা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে বলে জানিয়েছেন বগুড়া মেডিকেল ফাঁড়ির সহকারী উপপরিদশক।

Comments

The Daily Star  | English

Hamas responds to Gaza ceasefire proposal, it's 'positive': Palestinian official

US President Donald Trump earlier announced a "final proposal" for a 60-day ceasefire in the nearly 21-month-old war between Israel and Hamas, stating he anticipated a reply from the parties in coming hours

1h ago