দলীয় কোন্দলে হত্যাকাণ্ড: জড়িত কাউকে রেহাই নয়

আওয়ামী লীগ

ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগে দলের অভ্যন্তরীণ কোন্দলে যেসব হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে সেসব হত্যাকাণ্ডে জড়িত সবার গ্রেপ্তার নিশ্চিতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালকে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

সূত্র জানায়, গত রোববার গণভবনে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে এক বৈঠকে তিনি এই নির্দেশ দেন এবং রাজনৈতিক পদ-পরিচয় নির্বিশেষে কাউকে ছাড় না দিতে বলেন।

মুন্সীগঞ্জের টঙ্গীবাড়ী উপজেলা এবং খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলায় অভ্যন্তরীণ কোন্দলের জের ধরে দুই ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানকে গুলি করে হত্যার পর এই নির্দেশনা আসে।

যোগাযোগ করা হলে, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন প্রধানমন্ত্রী তাকে সংঘর্ষ ও খুনের সঙ্গে জড়িত সকলের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে বলেছেন।

গতকাল দলীয় সভাপতির ধানমন্ডি কার্যালয়ে দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের ডাকা বৈঠকেও দলের অভ্যন্তরীণ কোন্দল নিয়ে আলোচনা হয়। সেখানে বেশ কয়েকজন মন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ নেতা চলমান কোটা সংস্কার আন্দোলন ও বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের আন্দোলন নিয়েও আলোচনা করেন।

বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, আওয়ামী লীগ নেতারা সংগঠনের অন্তর্দ্বন্দ্বকে প্রধান উদ্বেগ বলে অভিমত জানিয়ে তা সমাধানের প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

তারা বলেন, বৈঠকে আরও সিদ্ধান্ত হয়েছে যে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা চীন থেকে ফেরার পর দলের শীর্ষস্থানীয় নেতারা তার সঙ্গে বসবেন এবং এ বিষয়ে তার সিদ্ধান্ত চাইবেন।

সভায় সংগঠনের অভ্যন্তরে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে দলের নেতাকর্মীদের মধ্যে গত দুই নির্বাচনে যে ব্যবধান তৈরি হয়েছে তা দূর করতে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ নেতাদের দেশব্যাপী কর্মসূচি গ্রহণের কথা বলেছেন অনেকে।

দল মনোনীত প্রার্থী ও ৭ জানুয়ারির নির্বাচনে অংশ নেওয়া দল সমর্থিত 'স্বতন্ত্র' প্রার্থীদের মধ্যে আধিপত্য প্রতিষ্ঠার প্রতিযোগিতা তৈরি হওয়ায় আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরে অন্তর্দ্বন্দ্ব ও হত্যাকাণ্ড প্রায় নিয়মিত হয়ে উঠেছে।

উপজেলা নির্বাচনে কাউকে দলীয় প্রতীক বরাদ্দ না দিয়ে সব দলের প্রার্থীর জন্য মাঠ উন্মুক্ত করে দেয়ার আওয়ামী লীগের সিদ্ধান্তের পর দলটির নেতাদের মধ্যে ব্যবধান আরও বেড়েছে।

মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস সাপোর্ট সোসাইটির তথ্য অনুযায়ী, গত ছয় মাসে নির্বাচন-পরবর্তী সহিংসতার ৭৮১টিসহ মোট ১ হাজার ৪টি রাজনৈতিক সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে, যাতে ৯১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে ৭০ জনই ক্ষমতাসীন দলের নেতা।

Comments

The Daily Star  | English

Dhaka cannot engage with non-state actors: foreign adviser

Md Touhid Hossain also emphasised that peace and stability in the region would remain elusive without a resolution to the Rohingya crisis

32m ago