প্রকল্পে অনিয়ম হলে কাউকে রেহাই দেওয়া হবে না: এলজিআরডি মন্ত্রী
স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, তার মন্ত্রণালয়ের অধীন কোনো প্রকল্পে অনিয়ম পাওয়া গেলে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।
আজ শনিবার সন্ধ্যায় চট্টগ্রামে এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, 'চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন চট্টগ্রাম নগরীর উন্নয়নে দুই হাজার ৫০০ কোটি টাকার একটি প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। আমি আশা করি প্রকল্পটি সফলভাবে সম্পন্ন হবে এবং জনগণ এর সুফল পাবে।'
তিনি বলেন, 'জনগণ আমাদের নির্বাচিত করেছে। তাই আমাদের কাছে তাদের অনেক প্রত্যাশা। তাদের সঙ্গে প্রতারণা করার কোনো অধিকার আমাদের নেই।'
বন্দরনগরীর একটি হোটেলে 'চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) অধীনে বিভিন্ন এলাকায় সিটি স্ট্রিট লাইট আধুনিকায়ন' শীর্ষক একটি প্রকল্পের চুক্তি সই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তাজুল ইসলাম।
তিনি বলেন, 'দুই দেশের মধ্যে বন্ধুত্বের নিদর্শন হিসেবে ভারত এই প্রকল্পে ২৫ মিলিয়ন ডলার বরাদ্দ দিয়েছে লাইন অব ক্রেডিট (ঋণ) হিসেবে। প্রকল্পটি শেষ হলে বন্দরনগরীতে সিটি করপোরেশনের ১৫ শতাংশ বিদ্যুৎ খরচ এবং ৫০ শতাংশ রক্ষণাবেক্ষণ খরচ সাশ্রয় হবে।'
প্রকল্পটি নাগরিকদের নিরাপত্তার উন্নতি ঘটাবে, আলোকায়নে ইনস্টলেশনের জটিলতা কমাবে, বিদ্যুৎ খরচ সাশ্রয় করবে, কার্বন ডাই অক্সাইড নিঃসরণ কমাবে এবং ন্যূনতম রক্ষণাবেক্ষণ খরচে এটি করা যাবে বলে জানান তিনি।
মন্ত্রী বলেন, 'চসিক যেহেতু প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে, তাই চসিক এই প্রকল্পের সফল সমাপ্তি নিশ্চিত করবে।'
পাহাড় কাটা রোধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে চসিক কাউন্সিলরসহ জনপ্রতিনিধিদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, 'চট্টগ্রামে বেপরোয়াভাবে পাহাড় কাটা হচ্ছে। আপনারা সবাই কী করছেন?'
সিটি করপোরেশনের মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, 'এই প্রকল্পের কাজ শেষ হলে নগরীর কোনো সড়কই আলোর কভারেজের বাইরে থাকবে না এবং এ প্রকল্পটি হবে পরিবেশবান্ধব।'
বাংলাদেশে ভারতের হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা বলেন, 'ভারত সরকার এই প্রকল্পের জন্য লাইন অব ক্রেডিট হিসেবে ২৫ মিলিয়ন ডলার বরাদ্দ করেছে। কারণ, ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে ভালো বন্ধুত্ব রয়েছে। এই প্রকল্পের মাধ্যমে এই শহরের মানুষ উপকৃত হবে।'
স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব আবু হেনা মোহাম্মদ জামান জানান, প্রকল্পটি ২০১৯ সালে একনেকে অনুমোদিত হয়েছিল। কিন্তু করোনা মহামারির কারণে কাজ এগোয়নি।
চসিক সূত্রে জানা গেছে, ২৬০ কোটি ৮৯ লাখ ৮৭ হাজার টাকার এ প্রকল্পের আওতায় নগরীর ৪১টি ওয়ার্ডের ৪৬৬ দশমিক ৭৪ কিলোমিটার সড়কে মোট ২০ হাজার ৬০০টি এলইডি লাইট বসানো হবে।
ভারত বাংলাদেশ সরকারের মাধ্যমে এলওসি-৩ (লাইন অব ক্রেডিট) এর অধীনে প্রকল্পের ৮২ দশমিক ২০ শতাংশ অর্থ প্রদান করবে। ঋণ হিসেবে দেওয়া টাকার পরিমাণ ২১৪ কোটি ৪৬ লাখ ৮২ হাজার টাকা। বাকি ১৭ দশমিক ৮০ শতাংশ বা ৪৬ কোটি ৪৩ লাখ ৫ হাজার টাকা দেবে বাংলাদেশ সরকার।
Comments