দেশে ফিরে যেভাবে বিশ্বজয়ের উদযাপন করবে ভারত

ক্যারিবিয়ানে দেশের মানুষের দীর্ঘদিনের আশা পূরণ করেছেন রোহিত শর্মা-বিরাট কোহলিরা। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জেতার পর ঘরে ফিরে উৎসবে সামিল হতে ভারতের নিশ্চয়ই তর সইছিল না। কিন্তু ঘূর্ণিঝড়ের কবলে তাদের তিন দিন আটকে থাকতে হয়েছিল বার্বাডোজেই। শেষমেশ তারা ভারতের মাটিতে পা রাখবে আগামীকাল ভোরে। এরপর ব্যস্ত একটি দিন পার করবে দলটি।

বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা ২০ মিনিটে দিল্লি বিমানবন্দরে পৌঁছানোর কথা ভারতীয় দলের। তাদের জন্য ভারতের সর্বোচ্চ ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা (বিসিসিআই) চার্টার্ড ফ্লাইটের ব্যবস্থা করেছে। রোহিত-কোহলিদের নিয়ে আসা বিমানের নাম দেওয়া হয়েছে 'এয়ার ইন্ডিয়া চ্যাম্পিয়ন্স ২৪ বিশ্বকাপ।'

দেশে ফেরার পর চ্যাম্পিয়ন ভারতীয় দল যাবে দেশটির প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে। নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে সকালের নাস্তা করার কথা রয়েছে কুড়ি ওভারের বিশ্বকাপের নবম আসর জেতা দলটির। সকাল ১১টায় মোদির সঙ্গে দেখা করার পর দিল্লি থেকে মুম্বাইয়ে উড়াল দেবে তারা। এরপর বিকালে শুরু হবে বিশ্বজয়ের উদযাপন।

বিকাল পাঁচটার সময় ছাদখোলা বাসে বিজয় মিছিল আয়োজিত হবে। মুম্বাইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামেও উদযাপনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। সেই উৎসবে ভক্তদের যোগ দেওয়ার আমন্ত্রণ জানিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্সে ভারতের অধিনায়ক রোহিত লিখেছেন, 'আমরা এই স্পেশাল মুহূর্ত আপনাদের সকলের সঙ্গে উপভোগ করতে চাই। তো চলুন ৪ জুলাই বিকাল পাঁচটা থেকে মেরিন ড্রাইভ ও ওয়াংড়েতে বিজয় মিছিলের মাধ্যমে এই জয় উদযাপন করি। ঘরে আসছে (বিশ্বকাপ)।'

সবশেষ যখন ২০১১ সালে ভারত জিতেছিল ওয়ানডে বিশ্বকাপ, তখনও মুম্বাইয়ের মেরিন ড্রাইভে হাজার হাজার ভারতীয়রা মেতেছিলেন বিশ্বজয়ের আনন্দে।

গত ২৯ জুন ফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ৭ রানে হারিয়ে ১৩ বছর পর বিশ্বজয়ের স্বাদ পেয়েছে ভারত। একই সময়ে বার্বাডোজে ঘূর্ণিঝড় বেরিলের আগমন ঘটে। যে কারণে বিমানবন্দরের কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়। তাই ঘরে ফেরার অপেক্ষা বাড়ে রোহিতদের। দেশে ফিরে উৎসবমুখর দিনটি তারা অবশেষে পার করবে আগামীকাল। এরপর নিজ নিজ বাড়িতে ফিরবে ২০২৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জেতা দলের সদস্যরা।

Comments

The Daily Star  | English
The Indian media and Bangladesh-India relations

The Indian media and Bangladesh-India relations

The bilateral relationship must be based on a "win-win" policy, rooted in mutual respect, non-hegemony, and the pursuit of shared prosperity and deeper understanding.

5h ago