থানচিতে নৌকা ডুবে নিখোঁজ ২ শিশুর সন্ধান মেলেনি ২ দিনেও

থানচির তিন্দু ইউনিয়নের পদ্মমুখ সংলগ্ন চিংড়ি ঝিরি এলাকায় সোমবার নৌকাডুবির ঘটনা ঘটে। ছবি: স্টার

বান্দরবানের থানচিতে গত সোমবার সকালে নদীতে নৌকা ডুবে নিখোঁজ হয় দুই শিশু। ঘটনার প্রায় ৫৫ ঘণ্টা পার হলেও আজ বুধবার সন্ধ্যা পর্যন্ত নিখোঁজ দুই শিশুর সন্ধান মেলেনি।

উপজেলার তিন্দু ইউনিয়নের পদ্মমুখ সংলগ্ন চিংড়ি ঝিরি এলাকায় নৌকাডুবির ঘটনা ঘটে।

এতে তিন্দু ইউপির ৫ নম্বর ওয়ার্ড হরিশচন্দ্র পাড়ার মুতিজন ত্রিপুরার মেয়ে শান্তি রানি ত্রিপুরা (১০) ও একই এলাকার নিহ্লা প্রু ত্রিপুরার মেয়ে ফুলবাণী ত্রিপুরা (৯) নিখোঁজ হয়।

স্থানীয়রা জানায়, সোমবার সকালে হরিশচন্দ্র পাড়া থেকে নৌকায় ৭ জনের সঙ্গে নৌকায় থানচি বাজারের দিকে যাচ্ছিল শান্তি ও ফুলবাণী।

ঝিরির মাঝামাঝি পৌঁছালে প্রবল স্রোতে পাথরের সঙ্গে ধাক্কা লেগে নৌকাটি ডুবে যায়। এসময় অন্যরা সাঁতার কেটে তীরে পৌঁছালেও ওই দুই শিশু স্রোতে ভেসে যায়। 

গতকাল সারাদিন অনেক খোঁজাখুজির পরও তাদের কোন খোঁজ পাওয়া যায়নি।

দুই শিশুর নিকটাত্মীয় সুব্রত ত্রিপুরা দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'নিখোঁজ দুই শিশু দাদা হরিশ্চন্দ্র ত্রিপুরার মরদেহ সৎকারে গিয়েছিল। সৎকার শেষে থানচি উপজেলা সদরে নিজ বাসায় ফেরার পথে নৌকাডুবি হয়।'

তিন্দু ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ভাগ্যচন্দ্র ত্রিপুরা ডেইলি স্টারকে বলেন, 'হরিশচন্দ্র পাড়ার চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণীতে পড়ুয়া দুই শিক্ষার্থী রুনাদন পাড়া থেকে থানচি উপজেলা সদরে যাওয়ার পথে নৌকা ডুবে নিখোঁজ হয়। তারা থানচি উপজেলা সদরে একটি মিশনারি ছাত্রী হোস্টেলে থেকে ফুলবানু ত্রিপুরা টিমং পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পড়াশোনা করত।'

জানতে চাইলে থানচি ফায়ার সার্ভিসের টিম লিডার তরুণ জ্যোতি বড়ুয়া দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'বৈরী আবহাওয়ার মধ্যেও গতকাল সারাদিন সন্ধান করে দুই শিশুকে উদ্ধার করা যায়নি। আজ আবারও সন্ধান চালানো হয়।'

থানচি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জসিম উদ্দিন বলেন, 'সোমবার স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের মৌখিক অভিযোগের পর ডুবে যাওয়া শিশুদের উদ্ধারে সহযোগিতা করছি। এখন পর্যন্ত কেউ নিখোঁজের অভিযোগ করেনি।'

যোগাযোগ করা হলে থানচির উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মোহাম্মদ মামুন ডেইলি স্টারকে বলেন, 'গতকাল সারাদিন থানচি ফায়ার সার্ভিসের লোকজন, উপজেলা চেয়ারম্যান, ইউপি চেয়ারম্যানসহ স্থানীয়দের নিয়ে নিখোঁজ ছাত্রীদের সন্ধান চালানো হয়। কিন্তু বৈরী আবহাওয়া ও পাহাড়ি ঢলের তীব্র স্রোতের কারণে তাদের উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।'

Comments

The Daily Star  | English

From gravel beds to tourists’ treasure

A couple of decades ago, Panchagarh, the northernmost district of Bangladesh, was primarily known for its abundance of gravel beds. With thousands of acres of land devoted to digging for the resource, the backbone of the region’s rural economy was based on those natural resources.

18h ago