সূর্যকুমারের ক্যাচ নিয়ে মার্করাম, ‘রিপ্লে একটু দ্রুতই হয়েছে’

ছবি: এএফপি

যতটুকু আশা দক্ষিণ আফ্রিকার বেঁচে ছিল, তা মুহূর্তেই শেষ করে দিলেন সূর্যকুমার যাদব। ফাইনালের শেষ ওভারের প্রথম বলে বিপজ্জনক ডেভিড মিলারের তোলা ক্যাচ লং-অফের একদম সীমানায় অসাধারণ কায়দায় লুফে নিলেন তিনি। ওই ক্যাচ নিয়ে পরে সংবাদ সম্মেলনে কোনো আপত্তি তুললেন না এইডেন মার্করাম। তবে দক্ষিণ আফ্রিকার অধিনায়ক একটি প্রশ্নের উত্তরে স্বীকার করলেন, টেলিভিশন আম্পায়ার একটু দ্রুতই রিপ্লে দেখে সিদ্ধান্ত দিয়েছেন।

গতকাল শনিবার বার্বাডোজে ভারতের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পেছনে সূর্যকুমারের চোখ ধাঁধানো ক্যাচটির ছিল বড় অবদান। ১৭৭ রানের লক্ষ্য তাড়ায় চালকের আসন থেকে পা হড়কে শেষ ওভারে তখন ১৬ রানের কঠিন সমীকরণের সামনে দক্ষিণ আফ্রিকা। হার্দিক পান্ডিয়ার করা প্রথম ডেলিভারিটি ছিল অফ স্টাম্পের বেশ বাইরে ফুল টস। মিলারের টাইমিং ঠিকঠাক না হলেও বল চলে যাচ্ছিল সীমানার বাইরে। কিন্তু ছক্কা হতে না দিয়ে ছুটে এসে বল হাতে জমান সূর্যকুমার। প্রবল চাপের মুখে তার ধরা সেই ক্যাচ নিঃসন্দেহে হয়ে থাকবে স্মরণীয়।

গতির কারণে মাঠের বাইরে চলে যাচ্ছিলেন সূর্যকুমার। তবে সীমানার বাইরে পা ফেলার আগেই বল বাতাসে ছুঁড়ে দেন তিনি। এরপর আবার মাঠে ঢুকে বল ক্যাচ পূর্ণ করেন। ক্ষীণ সংশয় থাকায় অবশ্য চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার ভার পড়ে তৃতীয় আম্পায়ার রিচার্ড কেটেলবোরোর ওপর। তিনি রিপ্লে দেখে নিশ্চিত করেন যে, ক্যাচটি ঠিকভাবে নেওয়া হয়েছে।

এরকম পরিস্থিতিতে সাধারণত বেশ কয়েকটি অ্যাঙ্গেল থেকে পর্যবেক্ষণ করা হলেও এই ক্যাচের ক্ষেত্রে সেটা হয়নি। তবে মিলারকে আউটের সিদ্ধান্ত দেওয়ার আগে কেটেলবোরো নিশ্চিত ছিলেন ক্যাচটির বৈধতার ব্যাপারে। ফাইনালে হারের পর দক্ষিণ আফ্রিকার সংবাদ সম্মেলনে এই প্রসঙ্গ উঠলে আম্পায়ারদের দিকে অবশ্য অভিযোগের আঙুল তোলেননি মার্করাম। তবে একটু দ্রুত রিপ্লে দেখা হয়েছে কিনা জানতে চাইলে নিয়ে তিনি বলেন, 'সত্যি বলতে, আমি এটা (ওই ক্যাচ) এখনও দেখিনি, দেখতেই পারিনি। হ্যাঁ, রিপ্লে একটু দ্রুতই দেখা হয়েছে। অবশ্য তারা (আম্পায়ার) বেশ নিশ্চিত ছিল যে এটা আউট। আর এই কারণেই রিপ্লে দ্রুত দেখেছে।'

মিলারের আউটের পর দক্ষিণ আফ্রিকার আর কোনো স্বীকৃত ব্যাটার ছিল না। শেষমেশ তারা হার মানে ৭ রানে। অথচ এক পর্যায়ে, হেইনরিখ ক্লাসেনের তাণ্ডবে ৩০ বলে ৩০ রানের সহজ সমীকরণ ছিল তাদের সামনে। হাতে ছিল ৬ উইকেট। পেসারদের নৈপুণ্যে ওই চাপ সামলে ঘুরে দাঁড়িয়ে রোমাঞ্চকর জয়ে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার উল্লাসে মাতে ভারত।

Comments

The Daily Star  | English
remittance earning of Bangladesh

Remittance jumps 32% in May

Migrants sent home $2.97 billion last month

35m ago