টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ

সবচেয়ে লো-স্কোরিং বিশ্বকাপই গড়ল সর্বোচ্চ ছক্কা-চারের রেকর্ড!

Heinrich Klaasen

রানের জন্য ব্যাটারদের হাহুতাশই দেখেছে সদ্য শেষ হওয়া বিশ্বকাপ। আর কোনো টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে এত কম রানের গতি দেখা যায়নি। এরকম একটি আসরই যদিও গড়ে ফেলেছে বাউন্ডারির দুটি রেকর্ড। ক্যারিবিয়ান ও যুক্তরাষ্ট্রে আয়োজিত বিশ্বকাপে সবচেয়ে বেশি ছক্কার রেকর্ড হয়ে গিয়েছিল আগেই। বার্বাডোজে ফাইনালের মঞ্চে নবম এই আসর চারের রেকর্ডও হাসিল করে নিয়েছে। 

২০২৪ সালের বৈশ্বিক আসরটিতে ওভারপ্রতি ৭.০৯ করে রান উঠেছে। এর আগে কোনো এক আসরে সর্বনিম্ন রান রেট ছিল ২০২১ সালে। সংযুক্ত আরব আমিরাত ও ওমানে আয়োজিত বিশ্বকাপে রান এসেছিল ওভারপ্রতি ৭.৪৩। রান রেটের হিসেবে সবচেয়ে লো-স্কোরিং ২০২৪ বিশ্বকাপেই প্রথমবার ছক্কা হয়েছে ৫০০টির বেশি। ইংল্যান্ড ও ভারতের মধ্যকার দ্বিতীয় সেমিফাইনালের দিনই এবারের আসর ছুঁয়েছে ৫০০ ছক্কার মাইলফলক। টুর্নামেন্ট শেষে ছক্কার গণনা থেমেছে ৫১৭টিতে। 

এক আসরে সবচেয়ে বেশি চারের রেকর্ড গড়তে শনিবারের ফাইনালে দরকার ছিল ১০টি চার। ভারতের ব্যাটিংয়ে প্রথম ইনিংসেই এসে যায় ১৩টি চার। শেষ পর্যন্ত বিশ্বকাপের নবম আসরের চার সংখ্যা থেমেছে ৯৬১টিতে। মজার ব্যাপার হচ্ছে- আরেকবার যখন ক্যারিবিয়ানে বিশ ওভারের বিশ্বকাপ অনুষ্ঠিত হয়েছিল, তখনকার চারের সংখ্যা সবগুলো আসরের মধ্যে সর্বনিম্ন। ২০১০ সালে ব্যাটাররা চার মারতে পেরেছিলেন মাত্র ৫০৪টি। 

কোনো আসরে সবচেয়ে বেশি ছক্কা ও চার- এই দুটি রেকর্ডেই দ্বিতীয় স্থানে আছে ২০২১ বিশ্বকাপ। সেবার ৪০৫ ছক্কার সঙ্গে ৯৪৪টি চারের মার দেখেছিল ক্রিকেটবিশ্ব। অবশ্য প্রথম ছয়টি আসরের মধ্যে কোনোটিতেই ৩৫টির বেশি ম্যাচ হয়নি। ২০০৭ থেকে ২০১২- এই সময়ের চার বিশ্বকাপের মধ্যে সর্বোচ্চ ৬৬৭টি চার হয়েছিল ২০০৯ সালে। 

ছক্কার তালিকায় ওই চারটি আসরই সবার নিচে। একমাত্র ইংল্যান্ডে আয়োজিত ২০০৯ বিশ্বকাপেই যদিও দুইশর কম (১৬৬) ছক্কার মার দেখেছিলেন ক্রিকেটপ্রেমীরা। এরপরের আসরগুলোতে ছক্কা সংখ্যা থেকেছে ২২৩ থেকে ২৭৮টির মধ্যে। প্রথমবার কুড়ি ওভারের এক বিশ্বকাপে ৩০০ ছক্কা মারতে পারেন ব্যাটাররা ২০১৪ সালে। ৩৫ ম্যাচের পরবর্তী আসরে যদিও ছক্কা সংখ্যা ৩১৪ এর উপরে যায়নি। 

২০১৪ ও ২০১৬ সালের বিশ্বকাপে চারের সংখ্যাও ছিল কাছাকাছি। পঞ্চম বিশ্বকাপে বাংলাদেশে হয়েছিল ৮৫৩টি চার। ২০১৬ সালে ভারতের মাটিতে পরবর্তী বিশ্বকাপে দেখা যায় ৮৩১ চারের মার। এর পরের তিন আসর, অর্থাৎ গত তিন আসরেই ছিল ম্যাচসংখ্যা চল্লিশের উপরে। এর মধ্যে ২০২২ বিশ্বকাপে ছক্কা-চারের ফুলঝুরি দেখা যায়নি সেভাবে। অস্ট্রেলিয়ার মাঠে আয়োজিত ওই বৈশ্বিক প্রতিযোগিতায় ছক্কার মার বোলারদের ওপর পড়েছে মাত্র ৩৩১ বার। সেবার চারও হয়নি ৯০৯টির বেশি। 

আগের সব আসরকে এবার ছক্কা ও চারের হিসাবে পেছনে ফেলেছে ২০২৪ বিশ্বকাপ। যুক্তরাষ্ট্র ও ক্যারিবিয়ান জুড়ে ব্যাটিংয়ে দুর্দশার দেখা মিলেছে। টুর্নামেন্ট শেষে তাই এমন রেকর্ড গড়তে পারে সবশেষ আসরটি, তা হয়তো ভাবেননি অনেকেই।

Comments

The Daily Star  | English

US retailers lean on suppliers to absorb tariffs

Rather than absorbing the cost or immediately passing it on to consumers, many US apparel retailers and brands have turned to their suppliers in Bangladesh, demanding they share the pain

4h ago