দেশে গণতন্ত্র নেই, সার্বভৌমত্ব হুমকির সম্মুখীন: মির্জা ফখরুল

বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ছবি: সংগৃহীত

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বাংলাদেশ সবচেয়ে বড় একটি সংকটের মধ্যে পড়েছে। একদিকে গণতন্ত্র নেই, অন্যদিকে দেশের যে সার্বভৌমত্ব তা হুমকির সম্মুখীন হয়েছে। 

তিনি বলেন, 'এখন এটা এমন এক জায়গায় এসে পৌঁছেছে যে, বাংলাদেশ রাষ্ট্রের অস্তিত্বই বিপন্ন হয়ে পড়েছে।'

আজ শুক্রবার সন্ধ্যায় রাজধানীর সেগুনবাগিচায় বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির ২০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে এক পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, 'এখন বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করার আন্দোলন খুব জরুরি। গণতান্ত্রিক আন্দোলনের সঙ্গে এটা অত্যন্ত ঘনিষ্ঠভাবে জড়িত।'

'সেজন্য সব রাজনৈতিক দলগুলো একমঞ্চে উঠতে না পারলেও যুগপৎভাবে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এই সিদ্ধান্তটাকে আমি মনে করি, বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসের একটা যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত', বলেন তিনি।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, 'অতি শিগগির আমরা একসঙ্গে যারা গণতন্ত্রের জন্য সংগ্রাম করছি, তারা এই ভয়াবহ ফ্যাসিস্ট শক্তি, দখলদার সরকারকে সরিয়ে জনগণের রাষ্ট্র, গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র নির্মাণ করতে সফল হব।'

তিনি বলেন, 'আমরা বিশ্বাস করি এই আন্দোলন ব্যর্থ হবে না, আমরা অবশ্যই সফল হব। কারণ জনগণের পক্ষের যে আন্দোলন, সত্যের পক্ষের যে আন্দোলন, ন্যায়ের পক্ষে যে আন্দোলন, রাষ্ট্রকে রক্ষা করার যে আন্দোলন, সমাজকে রক্ষা করার যে আন্দোলন, এটা কখনো ব্যর্থ হতে পারে না।'

পুনর্মিলনীতে অতিথিদের স্বাগত জানান বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক ও পার্টির নেতারা। 

সাইফুল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ এমরান সালেহ, কেন্দ্রীয় নেতা রুমিন ফারহানা, গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক সুব্রত চৌধুরী, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দলের (বাসদ) সাধারণ সম্পাদক বজলুর রশীদ ফিরোজ, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি, জাতীয়তাবাদী সমমনা জোটের সমন্বয়ক ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, গণ অধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক, এবি পার্টির সদস্যসচিব মুজিবুর রহমান মঞ্জু, জাগপার মুখপাত্র রাশেদ প্রধান, জেএসডির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব কামাল উদ্দিন পাটোয়ারী, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের সাংগঠনিক সম্পাদক ইমরান ঈমন প্রমুখ।

Comments

The Daily Star  | English

The ceasefire that couldn't heal: Reflections from a survivor

I can’t forget the days in Gaza’s hospitals—the sight of dismembered children and the cries from phosphorus burns.

6h ago