আছাদুজ্জামান মিয়ার সম্পদ অনুসন্ধানে দুদকে আবেদন
ঢাকা মেট্রোপলিট পুলিশের (ডিএমপি) সাবেক কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়ার সম্পদ অনুসন্ধান করে জনমনের বিভ্রান্তি দূর করার জন্য দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) আবেদন জানিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের এক আইনজীবী।
বৃহস্পতিবার আবেদনের বিষয়টি ডেইলি স্টারকে নিশ্চিত করেছেন অ্যাডভোকেট সালাহ উদ্দিন রিগ্যান। দুদকে গৃহীত ১৪ পৃষ্ঠার আবেদনের একটি কপি ডেইলি স্টারে হাতে এসেছে।
অ্যাডভোকেট রিগ্যান বলেন, বিভিন্ন মাধ্যমে আছাদুজ্জামানের বিশাল সম্পদের কথা উঠে এলেও দুদক এ পর্যন্ত কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। এতে জনমনে বিভ্রান্তি দেখা দিয়েছে। তাই আমি দুদক চেয়ারম্যানের বরাবর আবেদন জানিয়েছি, যাতে সঠিক পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমে মানুষের বিভ্রান্তি দূর করা হয়। এরপরও এ বিষয়ে উদ্যোগ না নেওয়া হলে দুদকে লিগ্যাল নোটিশ দেব। তারপরও কাজ না হলে বিষয়টিকে নিয়ে আমরা উচ্চ আদালতে যাব।
অভিযোগে যা আছে
অ্যাডভোকেট রিগ্যান আবেদনে উল্লেখ করেছেন, ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা উপজেলার বাসিন্দা আছাদুজ্জামান মিয়ার বাবা তোফাজ্জল হোসেন মিয়া কৃষিজীবী ছিলেন। তার কিছু জমিজমা থাকলেও ব্যবসা বাণিজ্য ছিল না। কিন্তু আছাদুজ্জামান মিয়া চাকরির সুবাদে পাওয়া বেতন-ভাতা ও আনুষাঙ্গিক সুযোগ সুবিধা মিলিয়ে যা পেয়েছেন তার বাইরে বিপুল সম্পদ অর্জন করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এ বিষয়ে জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়েছে। রাষ্ট্রের আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি জনগণের আস্থা ও বিশ্বাস ক্ষুন্ন হয়েছে। তাই এই বিষয়টি খতিয়ে দেখার অনুরোধ জানিয়েছেন এ আইনজীবী।
সালাহ উদ্দিন রিগ্যান তার আবেদনের ১৪ পাতায় আছাদুজ্জামান, তার স্ত্রী, সন্তান ও কয়েকজন আত্মীয়-স্বজনের সম্পদের বিবরণ তুলে ধরেছেন।
Comments