ঘামাচি কেন হয়, এর চিকিৎসা ও প্রতিরোধ
গরমকালে অনেকেই ঘামাচি আক্রান্ত হয়ে থাকেন, বিশেষ করে শিশুদের ঘামাচি আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি সবচেয়ে বেশি। অপেক্ষাকৃত শীতল আবহাওয়ার স্থান থেকে গরম আবহাওয়ার কোনো স্থানে ভ্রমণ বা স্থানান্তরিত হলেও ঘামাচি আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
ঘামাচি কেন হয়, এর চিকিৎসা ও প্রতিরোধ নিয়ে বিস্তারিত থাকছে এই লেখায়।
ত্বকে ক্ষুদ্র দানা আকৃতির লালচে ফুস্কুড়ির মতো ঘামাচির আবির্ভাব হয়। সাধারণত শরীরে ঘামাচির ক্ষতিকর কোনো প্রভাব নেই। তবে অস্বস্তিকর চুলকানি অনুভূত হয়।
ঘামাচি কেন হয়
গরমে ত্বকে থাকা ঘর্মগ্রন্থী অতিরিক্ত ঘাম তৈরি করে। গরমের কারণে সৃষ্ট প্রদাহে ঘর্মগ্রন্থীর নালী বন্ধ হয়ে যায়। এর ফলে ঘামাচির সৃষ্টি হয়। সাধারণ বগল, কুঁচকি, পিঠ, কোমড়, স্তনের নিচে, কনুই ও হাঁটুর ভাঁজে ঘামাচি আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। শিশুদের ক্ষেত্রে মুখও আক্রান্ত হতে পারে।
ঘামাচির চিকিৎসা
ঠান্ডা আবহাওয়ায় ঘাম উৎপাদন বন্ধ হলে সাধারণত ঘামাচি আপনাআপনিই চলে যায়। তবে সাময়িক স্বস্তির জন্য চিকিৎসকের পরামর্শে লোশন বা ক্রিম ব্যবহার করা যেতে পারে। ঠান্ডা পানিতে গোসল করলেও স্বস্তিদায়ক হয়। প্রদাহ বেশি হলে জীবাণু সংক্রমণ হতে পারে, সেক্ষেত্রে অ্যান্টিবায়োটিক চিকিৎসার প্রয়োজন হয়।
ঘামাচি প্রতিরোধে করণীয়
- ঠান্ডা, বাতাস চলাচল করে এমন পরিবেশে ঘাম তৈরি হয় না, ফলে ঘামাচি আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে না।
- ঘামাচি থেকে বাঁচতে ঢিলেঢালা, হালকা, প্রাকৃতিক তন্তু দিয়ে তৈরি পোশাক পরিধান করতে হবে।
মনে রাখবেন ঘন ঘন ঘামাচি আক্রান্ত হলে গরমে হিটস্ট্রোক আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়। হিটস্ট্রোক জীবনহানির কারণ হতে পারে।
Comments