এমপি আনার হত্যা: আরেক তদন্ত কর্মকর্তাকে বদলি

আনার
আনোয়ারুল আজীম আনার। ফাইল ছবি সংগৃহীত

সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনার হত্যাকাণ্ডের তদন্ত কর্মকর্তাদের আরও একজনকে বদলি করা হয়েছে। এ নিয়ে তদন্ত চলাকালীন দুই কর্মকর্তাকে বদলি করা হলো।

ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) তদারকি বিভাগের উপ-কমিশনার আব্দুল আহাদকে পাবনার পুলিশ সুপার হিসেবে বদলি করা হয়েছে। তিনি তদন্তের জন্য ভারতে যাওয়া ডিবি দলে ছিলেন।

গত ২ জুন ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার শহিদুর রহমান রিপনকে বরিশালে বদলি করা হয়। হত্যা মামলার তদন্তের জন্য তিনি নেপালে গিয়েছিলেন।

এদিকে ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার হারুন অর রশিদ দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, এমপি আনার হত্যার ঘটনায় ঝিনাইদহ আওয়ামী লীগের দুই নেতাকে গ্রেপ্তার করার ঘটনায় পুলিশের ওপর কোনো চাপ নেই।

গত ১২ জুন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামালের সঙ্গে দেখা করে আনারের মেয়ে মুমতারিন ফেরদৌস ডরিন সাংবাদিকদের বলেন, তিনি শুনেছেন একটি স্বার্থান্বেষী মহল গ্রেপ্তারকৃত কয়েকজনকে কারাগার থেকে বের করার চেষ্টা করছে।

গত ১৬ জুন আট দিনের রিমান্ড শেষ হওয়ার আগেই ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাইদুল করিম মিন্টুকে কারাগারে পাঠানো হয়।

মিন্টুকে আট দিনের রিমান্ডে নেওয়া হলেও তিন দিনের মধ্যে তাকে আদালতে পাঠায় ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।

তিনি স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেননি এবং তিনি হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত নন বলে দাবি করেছেন।

রিমান্ডের মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে মিন্টুকে কেন কারাগারে নেওয়া হলো- জানতে চাইলে ডিবি প্রধান হারুন বলেন, 'এতে কোনো আইন লঙ্ঘন হয়নি। এটা তদন্তকারী কর্মকর্তাদের বিবেচনার বিষয়। কর্মকর্তারা যদি বিশ্বাস করেন যে সন্দেহভাজনের কাছ থেকে আর কিছু জানার নেই, তবে তারা সেই ব্যক্তিকে আদালতে নিয়ে যেতে পারেন এবং আদালত তাকে কারাগারে পাঠাতে পারেন।

তিনি বলেন, 'যদি কোনো চাপ থাকত, আমরা এত কিছু করতে পারতাম না। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বারবার বলেছেন বাইরের কোনো চাপ নেই। তিনি আমাদের নিরপেক্ষভাবে তদন্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন। কোনো নিরপরাধ ব্যক্তিকে হয়রানি করা হবে না।'

হত্যাকাণ্ডের পরিকল্পনাকারী আক্তারুজ্জামানসহ বেশ কয়েকজনকে এখনো গ্রেপ্তার করা যায়নি বলে জানান তিনি।

যুক্তরাষ্ট্র ও ভারতের মধ্যে বন্দি প্রত্যর্পণ চুক্তি থাকায় আক্তারুজ্জামানকে যুক্তরাষ্ট্র থেকে ফিরিয়ে আনতে ভারতীয় পুলিশকে অনুরোধ করা হয়েছে।

এছাড়া এ বিষয়ে ইন্টারপোলের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে এবং ঢাকায় মার্কিন দূতাবাসের সঙ্গে গোয়েন্দারা কথা বলেছেন।

তিনি আরও বলেন, 'তদন্ত শেষ পর্যায়ে আছে। আমরা অনেককে গ্রেপ্তার করেছি। কয়েকজনের নাম পেয়েছি। দ্রুত মামলাটি শেষ করতে আমরা তাদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা করছি।'

ডরিন ডিএনএ নমুনা দিতে কলকাতা যাচ্ছেন কিনা জানতে চাইলে হারুন বলেন, 'দূতাবাসের মাধ্যমে ভারতীয় পুলিশ ডরিনকে ভারতে যেতে অনুরোধ করেছে। আমরা তার সঙ্গে কথা বলেছি। তিনি কয়েকদিন ধরে জ্বরে ভুগছেন বলে জানা গেছে।'

গত ১২ মে কলকাতায় যান এমপি আনার। গত ২২ মে ভারত ও বাংলাদেশ পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়, এই সংসদ সদস্য খুন হয়েছেন।

Comments

The Daily Star  | English
The Indian media and Bangladesh-India relations

The Indian media and Bangladesh-India relations

The bilateral relationship must be based on a "win-win" policy, rooted in mutual respect, non-hegemony, and the pursuit of shared prosperity and deeper understanding.

11h ago