মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তারে সহযোগিতা করায় নারীকে হত্যার অভিযোগ

সাভারের বিরুলিয়ায় এক নারীকে হত্যা করে মাটিচাপা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে মাদক ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে একজনকে আটক করেছে পুলিশ।

নিহত সীমা বেগম (৪২) গোয়েন্দা পুলিশের সোর্স হিসেবে কাজ করতেন। তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে সন্দেহভাজন দুজন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তার করেছিল পুলিশ। আজ বিকেল ৩টার দিকে সাভারের বিরুলিয়া ইউনিয়নের খনিজনগর এলাকায় সন্দেহভাজন আরেক মাদক ব্যবসায়ী স্বপনের বাড়ির পাশ থেকে তার মরদেহ মাটিচাপা অবস্থায় উদ্ধার করা হয়।

সীমা বেগম মাদারীপুর জেলার শিবচর থানার মুন্সীকাদিরপুর গ্রামের বাসিন্দা। তার স্বামীর নাম জাহাঙ্গীর খান। তিনি ইউনিয়ন যুবলীগ নেতা হামিদ মিয়াকে মাদকসহ গ্রেপ্তারে ডিবি পুলিশকে সহযোগিতা করেছিলেন।

সীমাকে হত্যায় জড়িত সন্দেহে সাভারের ইমান্দিপুরের সাইফুল ইসলামকে আটক করেছে ঢাকা জেলা উত্তর গোয়েন্দা পুলিশ। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে সীমার মাটিচাপা দেওয়া মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

নিহতের স্বজনরা জানান, গত ১৩ মে ঢাকা জেলা উত্তর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) একটি টিম স্বপনের বাড়িতে অভিযান পরিচালনা করেন। বাড়িটি থেকে মাদকসহ স্বপনের স্ত্রী ও বিরুলিয়া ইউনিয়ন যুবলীগ নেতা হামিদকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তবে পালিয়ে যান স্বপন। এর দুইদিন পর সীমা নিখোঁজ হন। আজ স্বপনের বাড়ির পাশ থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

সীমার মেয়ে তানিয়া বলেন, ডিবির অভিযানে আমার মা নাকি সহযোগিতা করেছিলেন। ডিবি আমার মায়ের কাছে স্বপনের বাড়ি কোথায় জানতে চেয়েছিল। আমার মা স্বপনের বাড়ি পুলিশকে দেখিয়ে দিয়েছিল। স্বপন, রেজাউল ও সাইফুলসহ আরও কয়েকজন মিলে আমারে মাকে হত্যা করে মাটিচাপা দেন।

ঢাকা জেলা উত্তর গোয়েন্দা পুলিশের ওসি রিয়াজ উদ্দিন বিপ্লব বলেন, সীমা আমাদের মাঝে মাঝে তথ্য দিতেন। তাকে কেন হত্যা করা হয়েছে সে বিষয়ে তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।

ঢাকা জেলা গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত এসপি, মোবাশ্ শীরা হাবিব খান বলেন, সীমা বেগম নিখোঁজ হওয়ার খবর পেয়ে আমরা ছায়াতদন্ত শুরু করি। আটক সাইফুলের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী

সাইফুল নামে একজনকে গ্রেফতার করা হয়। তার দেয়া তথ্য মতে মাটি চাপা দেয়া অবস্থায় মরদেহ উদ্ধার করা হলো।

Comments

The Daily Star  | English

Family reunited after 18 years

Stranded in Malaysia, man finally comes back home

7m ago