টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ

পাপুয়া নিউগিনিকে হারিয়ে বিশ্বকাপের প্রথম জয় পেল উগান্ডা

Uganda

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ইতিহাসে কোন দল একশ রানের কম পুঁজি নিয়ে জিততে পারেনি। পাপুয়া নিউগিনি ৭৭ রান ডিফেন্ড করার সম্ভাবনাই জাগিয়ে ফেলেছিল। ২৬ রানে পাঁচ উইকেট তুলে নেওয়ার পর ষষ্ট উইকেটের দেখাও পেয়ে যেত ৩৫ রানেই। কিন্তু ক্যাচ মিসে রিয়াজাত আলী শাহকে জীবন দেন চার্লস আমিনি। সেই রিয়াজাতই শেষমেশ ম্যাচের সর্বোচ্চ ৩৩ রানের ইনিংস খেলে উগান্ডার.৩ উইকেটের জয় নিশ্চিত করেন।

বৃহস্পতিবার গায়ানায় টসে জিতে বোলিং নিয়ে ১৯.১ ওভারে পাপুয়া নিউগিনিকে অলআউট করে দেয় উগান্ডানরা। দলের সবাই উইকেট পেলেও সব আলো কেড়ে নিয়েছেন ৪৩ বছর বয়সী ফ্র্যাঙ্ক এনসুবুগা। এই অফ স্পিনার ৪ ওভারে মাত্র ৪ রান দিয়ে নিয়েছেন ২ উইকেট। যা টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ইতিহাসে সবচেয়ে ইকোনমিক্যাল চার ওভারের স্পেল। ৭৮ রানের লক্ষ্যে শুরুতে বড়সড় ধাক্কা ভয় দেখালেও শেষ পর্যন্ত ১০ বল হাতে রেখেই জয় পায় উগান্ডা। আর এতে বিশ্বকাপের দ্বিতীয় ম্যাচেই তারা পেয়ে গেল জয়ের দেখা। পাঁচ ম্যাচে জয় না পাওয়া পাপুয়া নিউগিনির জয়ের অপেক্ষা বাড়লো আরও।

৭৮ রানের সহজ লক্ষ্যে নেমে আগের ম্যাচে রান না পাওয়া রজার মুসাকা এদিনও ফিরে যান শূন্য রানে। বাকি দুই টপ অর্ডার ব্যাটারের কেউ ১ রানের বেশি করতে পারেননি। ৬ রানে ৩ উইকেট তুলে নেয় পাপুয়া নিউগিনি। সুইং পেয়ে তাদের বোলাররা ভালো বোলিং করলেও নিয়ন্ত্রণের অভাব দেখা দেয়। বারবার অতিরিক্ত খাতে রান খরচ করেন তারা। অবশ্য পাওয়ারপ্লের শেষ ওভারেই আলপেশ রামজানিকে বোল্ড করে দেন চ্যাড সোপার। ৮ রানে রামজানি আউট হলে ২৫ রান চতুর্থ উইকেট হারিয়ে ফেলে উগান্ডা। স্কোরবোর্ডে ১ রান যোগ হতেই প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন দীনেশ নাকরানিও। শূন্য রানে তিনি ফেরার পর রিয়াজাত ও জুমা মিয়াজি মিলে ম্যাচের একমাত্র ত্রিশোর্ধ্ব রানের জুটি গড়েন। 

যে জুটি ভেঙে যেতে পারত ৯ রানেই। ৮ রানে থাকা অবস্থায় পয়েন্ট ক্যাচ তুলেন রিয়াজাত, সহজ ক্যাচটাই আটকায়নি আমিনির হাতে। এরপর স্বাচ্ছন্দ্যে খেলতে থাকা আমিনির সঙ্গে রিয়াজাত মিলে পাপুয়া নিউগিনির আশার আলো নেভাতে থাকেন। তাদের জুটি ভাঙে ১৩ রানে জুমাগি রান আউট হয়ে গেলে। তখন তাদের প্রয়োজন বাকি থাকে ১৭ রান। শেষের দিকে আরও একবার পয়েন্টেই জীবন পেয়ে যান ডানহাতি রিয়াজ। শেষমেশ জয় থেকে ৩ রান দূরত্বে থাকতে তিনি আউট হয়ে যান ৩৩ রান করে। ৫৬ বলে ৩৩ রানের ইনিংসে ১টি চার মারেন এই ব্যাটার। 

এর আগে টস জিতে বোলিং নিয়ে উইকেট মেডেন ওভারে দুর্দান্ত শুরু করে উগান্ডা। দ্বিতীয় বলেই পাপুয়া নিউগিনির অধিনায়ক আসাদ ভালাকে এলবিডব্লিউ বানিয়ে ফিরিয়ে দেন আলপেশ রামজানি। আগের ম্যাচে ফিফটি হাঁকানো সেসে বাউ তৃতীয় ওভারেই বিদায় নেন ৫ রান করে। বাঁহাতি এই ব্যাটারের মতো বড় শট খেলতে গিয়ে ১ রানে ইনফিল্ডে ধরা পড়েন টনি উরা। টানা দুই ওভারে উইকেট হারিয়ে ১৯ রানেই তিন উইকেট খুইয়ে ফেলে পাপুয়া নিউগিনি। এরপরের জুটিতে তাদের দুই ব্যাটার ক্রিজে সময় কাটাতে পারেন কিছুটা। কিন্তু ৩৩ রানের পাওয়ারপ্লের পরের ওভারেই নিজের কপালে যেন নিজেই কুড়াল মারেন লেগা সিয়াকা। খামোখা ঝুঁকি নিয়ে দুই রান নিতে গিয়ে ১২ রানে হয়ে যান রানআউট। 

ইনিংসের অর্ধেক পাপুয়া নিউগিনি শেষ করে ৪৮ রান এনে। এরপর ফ্র্যাঙ্ক এনসুবুগা এসেই তাদের ইনিংস এলোমেলো করে দেন। মেডেন ওভারের পাশাপাশি ৫ রানে চার্লস আমিনির উইকেট তুলে নেন এই অফ স্পিনার। ৪৩ বছর‍ বয়সী এনসুবুগা নিজের পরের ওভারেও করেন উইকেট মেডেন। সেবার পাপুয়া নিউগিনির ইনিংসের সর্বোচ্চ স্কোরারকেই বিদায় করে দেন তিনি। হিরি হিরি এলবিডব্লিউ হন ১৯ বলে ২ চারে ১৫ রান করে। 

১৬তম ওভারে কিপলিন দরিগাকে ১২ রানে আউট করে দেন রামজানি। ৬৫ রানে সাত উইকেট হারিয়ে ফেলে ভালার দল। চ্যাড সোপারকে বোল্ড করে উইকেটের খাতায় নাম লেখান উগান্ডার অধিনায়ক ব্রায়ান মাসাবা। শেষে এসে একাদশে সুযোগ পাওয়া মিয়াগি নিজের দ্বিতীয় উইকেট তুলে নেন আলি নাওকে আউট করে। আরেক ডানহাতি পেসার কুয়েটা ইনিংসের সমাপ্তি টানেন নরমান ভানুয়াকে ৫ রানে বিদায় করে। পাঁচ বল বাকি থাকতেই অলআউট হয়ে যায় পাপুয়া নিউগিনি।
 

Comments

The Daily Star  | English

Cops get whole set of new uniforms

The rules were published through a gazette yesterday, repealing the previous dress code of 2004

1h ago