বেনজীর অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা সরিয়েছেন কি না এই মুহূর্তে বলা সম্ভব না: দুদক আইনজীবী

বেনজীর আহমেদ। ছবি: সংগৃহীত

সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদের অ্যাকাউন্ট জব্দের আগেই তিনি সেখান থেকে টাকা সরিয়েছেন কি না, সেটা এই মুহূর্তে বলা সম্ভব না বলে জানিয়েছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আইনজীবী খুরশীদ আলম খান।

আজ রোববার তিনি এ কথা জানান।

আইনজীবী খুরশীদ আলম খান বলেন, গুরুত্বপূর্ণ অনুসন্ধান বা একজন বড় ব্যক্তির বিরুদ্ধে যখন অনুসন্ধান শুরু হয়, তখন পত্র-পত্রিকায় অনেক লোকজন অনেক কথাই বলে। কিন্তু দুর্নীতি দমন কমিশন একটি স্পেসিফিক তথ্যের ভিত্তিতে যেহেতু অনুসন্ধান চালাচ্ছে এবং আগামী ৬ জুন উনাকে (বেনজীর আহমেদ) ডাকা হয়েছে, আমাদেরকে সেই দিন পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য উনাকে ডাকা হয়েছে। উনি আসবেন কি না, সেটা আমাদের দেখতে হবে। আর ৯ জুন তার পরিবারের সদস্যদেরও ডাকা হয়েছে। উনারা আসেন কি না, আমাদেরকে ৬ ও ৯ জুন পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।

তিনি বলেন, আরেকটি বিষয় যেটা আপনারা বলছেন, টাকা উঠিয়ে নিয়ে গেছেন কি না, সেটা এই মুহূর্তে আপনাদের বলা সম্ভব না। কারণ তার অ্যাকাউন্টগুলোর ওপর একটা অ্যাসেসমেন্ট চলছে, পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলছে। এ ছাড়া আরও কোনো অ্যাকাউন্ট আছে কি না, সেখানেও কোনো টাকা গেছে কি না এবং যে টাকাগুলো উনার অ্যাকাউন্ট জব্দের সময় পাওয়া গেছে, আসলেই তার পূর্বে কোনো অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা উঠিয়েছেন কি না, উঠিয়ে থাকলে সেই টাকা কোথায় গিয়েছে, ক্যাশ নিয়ে গেছেন, না অন্য ব্যাংকে গিয়েছে—এগুলো সব বিষয়ই এখন গুরুত্ব সহকারে পর্যালোচনা করা হচ্ছে।

'এর বাইরে বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটকে (বিএফআইইউ) চিঠি দিয়ে বিভিন্ন তথ্য সরবরাহের জন্য জানানো হয়েছে। সেই বিষয়টির জন্য আমরা অপেক্ষাধীন। অর্থাৎ যে অনুসন্ধান চলছে, সেটা অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে তড়িৎ গতিতেই চলছে। অনুসন্ধান শেষ হলে পুরো চিত্রটি আপনারা পাবেন।'

দুদকের এই আইনজীবী আরও বলেন, তিনি (বেনজীর) অবসরপ্রাপ্ত র‌্যাব কর্মকর্তা, যখন তার বিদেশ যাত্রার জন্য আবেদন করা হয়, তখন দুদকের হাতে পর্যাপ্ত তথ্য-উপাত্ত চলে আসছিল। এখন দুদকের কাছে পর্যাপ্ত তথ্য-উপাত্ত বেনজীর সাহেবের বিরুদ্ধে আসার পরে দুদক জব্দ পেল। দুই দফায় জব্দ হয়েছে, ২৬ ও ২৯ মে। এখন পর্যালোচনার বিষয় যে বিদেশ যাত্রা রোধ করা যাবে কি না। এরইমধ্যে তো আমরা গণমাধ্যমে শুনেছি, কেউ বলছে ১২ মে, কেউ বলছে ৪ মে, কেউ বলছে আরও আগে তিনি চলে গিয়েছেন। কাজেই বিষয়টির জন্য আমাদেরকে ৬ জুন পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।

Comments

The Daily Star  | English

Enforced disappearances: Eight secret detention centres discovered

The commission raised concerns about "attempts to destroy evidence" linked to these secret cells

1h ago