আইপিএল

ভেট্টোরির পছন্দেই ইমপ্যাক্ট খেলোয়াড় হিসেবে নেমেছিলেন শাহবাজ

ছবি: বিসিসিআই

হেইনরিখ ক্লাসেনের সঙ্গে সপ্তম উইকেটে মহাগুরুত্বপূর্ণ জুটিতে ছিলেন পার্শ্বনায়কের ভূমিকায়। এরপর বাঁহাতি স্পিনে ভেলকি দেখিয়ে নিজেই মূল চরিত্রে পরিণত হন। ব্যাটে-বলে দারুণ নৈপুণ্যে সানরাইজার্স হায়দরাবাদকে আইপিএলের ফাইনালে পৌঁছে দিয়ে শাহবাজ আহমেদ পান ম্যাচসেরার পুরস্কার।

অথচ গতকাল শুক্রবার চেন্নাইতে আসরের দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে রাজস্থান রয়্যালসের বিপক্ষে হায়দরাবাদের মূল একাদশে ছিলেন না শাহবাজ। ভারতের ২৯ বছর বয়সী বাঁহাতি অলরাউন্ডারকে নামানো হয় ইমপ্যাক্ট খেলোয়াড় হিসেবে। ব্যাট হাতে ১৮ বলে ১৮ রানের কার্যকর ইনিংসের পর বল হাতে ৪ ওভারে ২৩ রানে ৩ উইকেট শিকার করে তিনি দেখান নিজের 'ইমপ্যাক্ট'।

কার সিদ্ধান্তে ট্রাভিস হেডের বদলে শাহবাজকে একাদশে ঢোকানো হয়েছিল? এই প্রশ্নের উত্তর মেলে ম্যাচের পর হায়দরাবাদের অধিনায়ক প্যাট কামিন্সের কাছ থেকে। তিনি জানান, কোচ ড্যানিয়েল ভেট্টোরিই ইমপ্যাক্ট খেলোয়াড় হিসেবে উপযুক্ত মনে করেছিলেন শাহবাজকে।

এমএ চিদম্বরম স্টেডিয়ামের উইকেটে বল কিছুটা থেমে যাচ্ছিল ব্যাটারের কাছে। কিন্তু হায়দরাবাদের একাদশে ছিল না বিশেষজ্ঞ কোনো স্পিনার। তাতে অবশ্য কোনো সমস্যা হয়নি। ওমন উইকেটের ফায়দা তুলতে ঘূর্ণি জাদুকর না থাকলেও যে চলে! আর সেটা হয়তো আগেভাগেই বুঝে ফেলেছিলেন নিউজিল্যান্ডের সাবেক তারকা বাঁহাতি স্পিনার ভেট্টোরি।

কামিন্স কথায় পাওয়া যায় সেই আভাস, 'এটা (শাহবাজকে ইমপ্যাক্ট খেলোয়াড় করা) ভেট্টোরির সিদ্ধান্ত ছিল। তিনি বাঁহাতি স্পিনারদের ভীষণ পছন্দ করেন।'

ভেট্টোরির টোটকা কাজে লেগে যায় পুরোপুরি। আরেক বাঁহাতি স্পিনার অভিষেক শর্মার সঙ্গে জুটি বেঁধে রাজস্থানের কোমর ভেঙে দেন শাহবাজ। অথচ দুজনের কেউই হায়দরাবাদের মূল বোলারদের মধ্যে নন। উইকেট বুঝে হাত ঘুরিয়ে এক পর্যায়ে তারা টানা ৩৩ বল বাউন্ডারিশূন্য রাখেন রাজস্থানকে। শুধু তাই নয়, ওই সময়ে আদায় করে নেন ৪ উইকেট। সেই ধাক্কা আর সামলাতে পারেনি সঞ্জু স্যামসনের দল।

শেষমেশ ৩৬ রানের বড় জয়ে শিরোপা নির্ধারণী মঞ্চের টিকিট কাটে হায়দরাবাদ। টস হেরে আগে ব্যাট করে ৯ উইকেটে ১৭৫ রান তোলার পর রাজস্থানকে তারা বেঁধে ফেলে ৭ উইকেটে ১৩৯ রানে।

পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে শাহবাজ জানান, তিনিও আঁচ করতে পেরেছিলেন উইকেটের ধরন, 'আমি যখন ব্যাটিং করছিলাম, আমার মনে হয়েছিল যে, এই উইকেটে কিছু একটা আছে এবং যেভাবে (রাজস্থানের) আবেশ (খান) ও সন্দীপ (শর্মা) বল করছিল তাতে সেটা ফুটে উঠেছিল। এমন খেলায় ম্যাচসেরা হয়ে আমি গর্বিত।'

হায়দরাবাদের জয়ে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা ছিল ক্লাসেন আর অভিষেকেরও। ক্লাসেন ৩৪ বলে ৫০ রানের ইনিংস খেলাতেই চ্যালেঞ্জিং সংগ্রহ দাঁড় করাতে পেরেছিল দলটি। এবারের আসরে ঝড়ো ব্যাটিংয়ের জন্য সুনাম কুড়ানো অভিষেক অনিয়মিত স্পিনার হলেও ৪ ওভারে ২ উইকেট পান ২৪ রানে।

Comments

The Daily Star  | English
eid-ul-azha emergency cases at pongu hospital

An Eid evening at Pongu Hospital: overflowing emergency, lingering waits

The hospital, formally known as NITOR, is a 1,000-bed tertiary medical facility that receives referral patients from all over the country

2h ago