এবার যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে টপ অর্ডারের রানে ফেরার আশা
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজে প্রত্যাশা পূরণ হয়নি, সিরিজ জিতলেও অস্বস্তি তাড়াতে পারেনি বাংলাদেশ দল। বিশ্বকাপের আগে সেই অস্বস্তি তাড়ানোর আরেকটি সুযোগ নাজমুল হোসেন শান্তর দলের। প্রতিপক্ষে যদিও এবারও শক্তিশালী নয়।
হিউস্টনে আজ বাংলাদেশ সময় রাত ৯টায় যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে শুরু হবে তিন ম্যাচের সিরিজ। আইসিসি সহযোগী সদস্য দেশটির বিপক্ষে এবারই প্রথম স্বীকৃত আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ। যদিও পূর্ণ সদস্য হওয়ার আগে আইসিসি ট্রফিতে যুক্তরাষ্ট্রের মুখোমুখি হওয়ার একাধিক স্মৃতি আছে।
সিরিজ খেলতে বেশ আগেভাগেই যুক্তরাষ্ট্র চলে যান শান্তরা। যদিও প্রতিকূল আবহাওয়ায় গিয়ে দুদিন পার করতে হয়েছে শুয়ে-বসে। যুক্তরাষ্ট্রের ক্রিকেট মাঠগুলোর বেশিরভাগের স্থাপনা অস্থায়ী। প্রবল শক্তিশালী ঝড়ে সিরিজের ভেন্যু প্রেইরি ক্রিকেট কমপ্লেক্সের সব স্থাপনা ধ্বংস হয়ে গেলে সিরিজ নিয়ে ছিলো শঙ্কা। সেটা দূর হওয়ার খবর বিবৃতি দিয়ে দিয়েছে স্বাগতিকরা। আবারও তাবু টাঙিয়ে দুই দলের অস্থায়ী ড্রেসিং রুম তৈরি করে ফেলা হয়েছে।
আবহাওয়া ভালো হয়ে যাওয়ায় সময়মতই খেলা শুরু হওয়ার কথা। ম্যাচ ভেন্যুতে ঠিকঠাক অনুশীলন করে বাংলাদেশও প্রস্তুত। তবে টপ অর্ডার ব্যাটাররা রানে ফিরতে কতটা প্রস্তুত সেই প্রশ্ন থাকছে।
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দুই ফিফটিতে তানজিদ হাসান তামিমই কেবল রানে থাকার আভাস দেন। লিটন দাস রান খরায় শেষ দুই ম্যাচের একাদশেই ছিলেন না। অধিনায়ক শান্তর অবস্থা আরও বেহাল। লম্বা সময় ধরেই কুড়ি ওভারের ক্রিকেটে প্রভাব ফেলা ব্যাটিং নাই তার। চোট থেকে ফিরে সৌম্য সরকার এক ম্যাচে ৪১ করলেও তাকে খুব বেশি সাবলীল মনে হয়নি।
যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে বাংলাদেশের টিম ম্যানেজমেন্টের চাওয়া থাকবে তাই টপ অর্ডার থেকে দুশ্চিন্তা তাড়ানো এবং আদর্শ সমন্বয় খুঁজে পাওয়া।
পেসার তাসকিন আহমেদ চোটে থাকায় এই সিরিজ খেলছেন না, বিশ্বকাপে রিজার্ভ তালিকায় থাকা হাসান মাহমুদ তাই তার জায়গা নিতে পারেন। মোহাম্মদ সাইফুদ্দিনকে টপকে বিশ্বকাপ দলে ঢুকে যাওয়া তানজিম হাসান সাকিবের পারফরম্যান্স নিয়ে প্রশ্ন আছে, জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে তিনিও ভালো করেননি। তাকেও আরেক দফা দেখে নেওয়ার বিষয় আছে।
অভিবাসীদের নিয়ে গড়া যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচ খেললেও দলটির সবাই অচেনা নয়। নিউজিল্যান্ডের সাবেক তারকা কোরি অ্যান্ডারসনের তো বাংলাদেশের বিপক্ষেই বড় সাফল্য আছে। দলটির কোচও বাংলাদেশের ভীষণ চেনা। সর্বশেষ অনূর্ধ্ব-১৯ দলের কোচ স্টুয়ার্ট ল বাংলাদেশের চাকরি থেকে বিদায় নিয়েই নেন যুক্তরাষ্ট্রের দায়িত্ব। ২০১২ সালে জাতীয় দলেরও কোচ থাকা ল বাংলাদেশের সবাইকে চেনান ভালো করে। ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটে নাম কুড়ানো পেসার আলি খানের সঙ্গেও বাংলাদেশের ক্রিকেটারা পরিচিত। বিপিএল খেলা সাবেক ক্যারিবিয়ান অ্যারন জোন্সও তাই।
যুক্তরাষ্ট্র শক্ত চ্যালেঞ্জ জানাতে পারলে বাংলাদেশের জন্যই লাভ। কারণ দলটির বিপক্ষে খেলতে হবে টানা চার ম্যাচ। তিন ম্যাচের সিরিজের পরও আছে আইসিসির অফিসিয়াল প্রস্তুতি ম্যাচ। শক্ত লড়াই হলে নিজেদের ভুল নিয়ে কাজের সুযোগ থাকবে। বিশ্ব মঞ্চে নামার আগে ভারতের বিপক্ষে আরেকটি প্রস্তুতি ম্যাচও আছে শান্তদের। তবে যুক্তরাষ্ট্র সিরিজটাই হবে বাংলাদেশের জন্য মোমেন্টাম পাওয়ার মিশন।
Comments