মেকআপে হাইলাইটার সঠিকভাবে ব্যবহার করছেন তো?
বর্তমান যুগে নারী-পুরুষ নির্বিশেষে মেকআপের গ্রহণযোগ্যতা বেড়েছে অনেক গুণ। প্রায় সবাই এখন নিত্যদিনের রুটিনে মেকআপের ব্যবহার করে থাকেন। তাই মেকআপের খুঁটিনাটি জানার আগ্রহ কম-বেশি সবারই।
এখন সবার মধ্যেই মেকআপের মাঝে পছন্দের তালিকায় হাইলাইটার থাকে। মেকআপে হাইলাইটারের ব্যবহার ব্যক্তির সম্পূর্ণ লুকই বদলে দিতে পারে। কারো কাছে ম্যাট লুক পছন্দ হচ্ছে, তো কারো গ্লোয়ি-ডিউয়ি লুক। এই লুকগুলো নির্ভর করে হাইলাইটারের সঠিক ব্যবহারের ওপর।
হাইলাইটার কী
হাইলাইটার হলো এক ধরনের প্রসাধনী সামগ্রী যা চেহারা বা শরীরের যেকোনো অংশ বিশেষভাবে ফুটিয়ে তুলতে ব্যবহার করা হয়। যেখানে হাইলাইটারের ব্যবহার করা হয় সেখানে আলো প্রতিফলিত হয় এবং এতে ওই জায়গাটি উজ্জ্বল দেখা যায়।
হাইলাইটারের ধরন
হাইলাইটার সাধারণত চারটি ফর্মুলা বা ধরনের হয়ে থাকে। স্টিক হাইলাইটার, ক্রিম হাইলাইটার, লিকুইড হাইলাইটার এবং পাউডার হাইলাইটার। ত্বকের ধরন অনুযায়ী হাইলাইটার ব্যবহার করা হয়ে থাকে। ত্বকের ধরন অনুযায়ী হাইলাইটার ব্যবহার করা না হলে সৌন্দর্য বাড়ার বদলে উল্টোটা হতে পারে।
ত্বক অনুযায়ী হাইলাইটারের ব্যবহার
ত্বক তৈলাক্ত হয়ে থাকলে অবশ্যই পাউডার হাইলাইটার ব্যবহার করতে হবে। এটি ত্বকের তৈলাক্ত ভাবকে কমিয়ে সুন্দর গ্লোয়ি লুক দিবে। পাউডার হাইলাইটার দুইভাবে দেওয়া যেতে পারে-
১. ফেসের হাই পয়েন্টগুলোতে ব্রাশের সাহায্যে।
২. গালের দুপাশে লিকুইড হাইলাইটার দেওয়ার পর তার ওপর পাউডার হাইলাইটার দিয়ে। এতে করে হাইলাইটার আরও বেশি হাইলাইট করবে এবং দীর্ঘস্থায়ী হবে।
ত্বক যদি শুষ্ক হয়ে থাকে তবে ব্যবহার করতে হবে লিকুইড হাইলাইটার। কারণ লিকুইড হাইলাইটার ত্বকের আর্দ্রতা এবং নমনীয়তা ধরে রাখতে সাহায্য করে এবং হাইলাইটারটি ত্বকে সুন্দরভাবে ব্লেন্ড বা মিশতে সাহায্য করে। লিকুইড হাইলাইটার তিনভাবে ব্যবহার করা যায়-
১. ফাউন্ডেশন বা ময়েশ্চারাইজারের সঙ্গে মিশিয়ে নিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
২. ফাউন্ডেশনের আগে ফেসে লিকুইড হাইলাইটার দেওয়ার পর ফাউন্ডেশন ব্যবহার করা যেতে পারে।
৩. ফাউন্ডেশন দেওয়ার পর হালকা করে চেহারার হাই পয়েন্টগুলোতে দেওয়া যেতে পারে।
কম্বিনেশন বা মিশ্র ত্বকের জন্য ব্যবহার করতে হবে ক্রিম ফর্মুলার হাইলাইটার। স্টিক হাইলাইটারও ব্যবহার করা যাবে। এতে করে ত্বক স্বাভাবিক দেখা যাবে, খুব বেশি তৈলাক্ত বা শুষ্ক দেখা যাবে না।
ক্রিম হাইলাইটার ব্যবহারের জন্য হাতের আঙুলে বা ব্রাশের সাহায্যে প্রথমে ব্লেন্ড করে নিন। তারপর সেটি সেট করার জন্য এর ওপর পাউডার হাইলাইটার ব্যবহার করে নিন। এতে হাইলাইটার খুব উজ্জ্বলভাবে ফুটে উঠবে।
ত্বকের রং অনুযায়ী হাইলাইটার নির্বাচন
ত্বকের আন্ডার টোন অনুযায়ী হাইলাইটার নির্বাচন করতে হবে। যেকোনো স্কিনটোনে যেকোনো হাইলাইটার ব্যবহার করা যাবে না। এতে করে মেকআপ দেখতে অসামঞ্জস্যপূর্ণ লাগে। সোনালি রঙের আভা যাদের ত্বকে তাদের একটু সোনালি বা শ্যাম্পেইন রঙের হাইলাইটার ব্যাবহার করতে হবে। গোলাপি রঙের আভা বা পিঙ্ক আন্ডারটোনের যারা তারা পিঙ্ক এবং সিলভার কালারের হাইলাইটার ব্যবহার করতে পারেন।
যেভাবে হাইলাইট করতে হয়
চেহারার যে অংশগুলোতে সাধারণত আলো পড়ে সেসব জায়গায় হাইলাইটার ব্যবহার করতে হবে। এতে করে চেহারায় একটি সঠিক আকৃতি তৈরি হবে। যেমন- গালের দুপাশে হাড়ের ওপর,নাকের ওপর, কপালে, থুতনিতে এবং হালকা একটু ঠোঁটের উপরে ব্যবহার করতে পারেন হাইলাইটার। তাছাড়া গলার হাড় বা শরীরের যেকোনো অংশ যেমন হাত, পা এসবেও হাইলাইটার ব্যবহার করা যেতে পারে। হাইলাইটিং ব্রাশ এবং বিউটি স্পঞ্জের মাধ্যমে অথবা হাতের আঙুল ব্যবহার করেও হাইলাইট করা যেতে পারে।
Comments