শ্রীনগরে চেয়ারম্যান প্রার্থীর পক্ষে টাকা বিতরণের অভিযোগ আ. লীগ নেতার বিরুদ্ধে

ষোলঘর ইউনিয়ন ১ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ দিপু মিয়াকে মোবাইল ফোনের আলোতে টাকা বিতরণ করতে দেখা যায়। ছবি: ভিডিও থেকে নেওয়া

মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগরে রাতের অন্ধকারে মোবাইল ফোনের আলোতে উপজেলা নির্বাচনে এক চেয়ারম্যান প্রার্থীর পক্ষে টাকা বিতরণের অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় এক আওয়ামী লীগ নেতার বিরুদ্ধে।

টাকা বিতরণের একটি ভিডিও ইতোমধ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে গেছে।

স্থানীয়রা জানান, গত সোমবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে উপজেলার ষোলঘর ইউনিয়ন পরিষদের সামনে টাকা বিতরণ করেন ওই ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ দিপু মিয়া।

ভিডিওতে দেখা যায়, আওয়ামী লীগ নেতা মোহাম্মদ দিপু মিয়া ব্যাগ থেকে টাকার বান্ডিল বের করে বেশ কয়েকজনকে টাকা দিচ্ছেন। অন্ধকার থাকায় মোবাইল ফোনের আলো জ্বালিয়ে টাকা বিতরণ করা হচ্ছিল।

দিপু মিয়া উপজেলা নির্বাচনে দোয়াত-কলম প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী মাহাবুউল্লাহ কিসমতের সমর্থক বলে স্থানীয়রা জানান।

ষোলঘর ইউনিয়ন শ্রমিক লীগ নেতা সাইদুল মুন্সী দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'প্রতীক পাওয়ার পর রাতে দোয়াত-কলমের কর্মী দিপু মিয়া ব্যাগভর্তি টাকা নিয়ে ৩১ জনকে টাকা দেন। ওই ৩১ ভোটারের  আইডি কার্ড নিয়ে নেয়।'

'আমার এক প্রতিবেশী টাকা বিতরণের দৃশ্য মোবাইল ফোনে ভিডিও করলে চেয়ারম্যান প্রার্থী কিসমতের কর্মী-সমর্থকরা তাকে মারধর করে,' অভিযোগ করেন তিনি।

তবে দিপু মিয়া এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। জানতে চাইলে তিনি ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আমি ধান কাটা ও মাটি কাটা শ্রমিকদের মজুরি বিতরণ করছিলাম। নির্বাচনে আমি কোনো চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থক নই। আমি এক ভাইস-চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থক।'

এ বিষয়ে জানতে চেয়ারম্যান প্রার্থী মাহাবুউল্লাহ কিসমতকে ফোন করা হলে, ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। ক্ষুদেবার্তা পাঠানো হলেও, তিনি জবাব দেননি।

আরেক চেয়ারম্যান প্রার্থী মশিউর রহমান মামুনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে, তিনি ডেইলি স্টারকে বলেন, 'শুনতে পাচ্ছি নির্বাচনে অনেক কালো টাকা ছড়ানো হচ্ছে। গত রাতে উনি (দিপু) টাকা বিতরণ করেছেন বলে শুনেছি। কিন্তু, আমাদের কাছে কোনো প্রমাণ না থাকায় অভিযোগ করতে পারছি না।'

জানতে চাইলে সহকারী রিটার্নিং অফিসার ও শ্রীনগর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. ফখর উদ্দীন শিকদার ডেইলি স্টারকে বলেন, 'টাকা বিতরণের ঘটনার বিষয়ে কেউ অভিযোগ দিলে আমরা ব্যবস্থা নেব। হাতেনাতে ধরতে পারলে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ব্যবস্থা নেওয়া যায়।'

যোগাযোগ করা হলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোশাররফ হুসেইন ডেইলি স্টারকে বলেন, 'বিষয়টি আমাদের জানা ছিল না। খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেব।'

Comments

The Daily Star  | English

US retailers lean on suppliers to absorb tariffs

Rather than absorbing the cost or immediately passing it on to consumers, many US apparel retailers and brands have turned to their suppliers in Bangladesh, demanding they share the pain

1h ago