আমাদের দেশে স্ট্রাইক রেট নিয়ে অনেক কথা হয়: শান্ত

Najmul Hossain Shanto
ছবি: ফিরোজ আহমেদ

জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজ জিতলেও বাংলাদেশ দলের পারফরম্যান্স ঠিক মন ভরাতে পারেনি। দুই ম্যাচে ধুঁকে ধুঁকে জিতলেও শেষ ম্যাচে হারতেই হয়েছে। দলের প্রত্যাশিত দাপট ছিলো অনুপস্থিত। বিশেষ করে ব্যাটারদের কাছ থেকে পাওয়া যায়নি আগ্রাসী পারফরম্যান্স। প্রতিপক্ষ অপেক্ষাকৃত দুর্বল হলেও দেড়শো স্ট্রাইকরেট রেখেও খেলতে পারেননি কেউ। টি-টোয়েন্টিটা ঠিক টি-টোয়েন্টির মেজাজে কেন খেলতে পারে না বাংলাদেশ, বিশ্বকাপের আগে এই প্রশ্ন তাই উঠছে। তবে অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত তাতে কোন সমস্যা খুঁজে পাচ্ছেন না।

পাঁচ ম্যাচের সিরিজের সবগুলো খেলে ওপেনার তানজিদ হাসান তামিম দুই ফিফটিতে করেছেন সর্বোচ্চ ১৬০ রান, তার স্ট্রাইকরেট ১২৩.০৭। সমান ম্যাচে ১৪০ করা তাওহিদ হৃদয় স্ট্রাইকরেট রাখতে পেরেছেন ১৪৭.৩৬। আর কেউ কাছাকাছি নন। অধিনায়ক শান্ত ৫ ম্যাচে স্রেফ ৮১ রান করেছেন ১৬.২০ গড় ও মাত্র ১০৩.৮৪ স্ট্রাইকরেটে।

রোববার পঞ্চম টি-টোয়েন্টিতে বেশ ভালো উইকেটেও বড় রান করতে পারেনি বাংলাদেশ। ২০ ওভারে স্বাগতিকদের করা ১৫৭ রান ৯ বল আগেই টপকে ৮ উইকেটে জিতে যায় জিম্বাবুয়ে। এর আগের দুই ম্যাচেও জয়ের সম্ভাবনা জাগিয়েছিল সফরকারী দল।

টি-টোয়েন্টিটাও কি বাংলাদেশ দল খেলে ওয়ানডের মেজাজে? ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে তাতে একমত হলেন না শান্ত। পরে ব্যাখ্যা করে বললেন পরিস্থিতি বিচার না করেই দেশে স্ট্রাইকরেট নিয়ে অনেক কথা হয়,   'আমাদের দেশে স্ট্রাইক রেট নিয়ে অনেক কথা হয়। স্ট্রাইক রেট, স্ট্রাইক রেট...কিন্তু জিনিসটা হলো যে আপনি যদি চিন্তা করেন আমরা সম্প্রতি ভালো উইকেটে খেলা শুরু করেছি। শ্রীলঙ্কার সঙ্গে যে টি-টোয়েন্টি সিরিজটা খেললাম, ওটা ভালো উইকেটে খেলেছি। কিন্তু এই জিনিসটা সময় দিতে হবে (বড় রান)।'

ঘরোয়া ক্রিকেটেও ভালো উইকেটে খেললে স্ট্রাইকরেটের উন্নতির আশা তার,  'আমরা যদি লম্বা সময় ধরে ভালো উইকেটে খেলার শুরু করি, ছয় মাস, এক বছর, দুই বছর তারপর আপনি দেখবেন প্রত্যেকটা ব্যাটসম্যান ভালো স্ট্রাইক রেটে ব্যাটিং করছে। এটা শুধু আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে হলে হবে না, আমরা যে বিপিএলে খেলি ওই জায়গাতেও ভালো উইকেটে খেলতে হবে অনেক লম্বা সময় ধরে তারপর আপনি এই পার্থক্যটা দেখতে পাবেন।'

এদিন দলের হারের পেছনেও মাঝারি পুঁজির দায় না দিয়ে বোলিং-ফিল্ডিং দুষেছেন শান্ত,  'আমার মনে হয় যে আমরা যেভাবে ব্যাটিং করেছি, শুরুটা আমাদের ভালো হয় নাই। তারপরে আমরা যেভাবে ফিরে এসেছি, ভালোভাবে ক্যারেক্টার শো করেছি। যেই রানটা করেছিলাম এই উইকেটের জন্য এটা পর্যাপ্ত ছিল। কিন্তু আমরা বোলিংটা ভালো করিনি। ফিল্ডিংয়েও একটু সফট ছিলাম কিছু জায়গায়। জিনিসগুলো হলো যে (সিকান্দার) রাজা এবং যে ব্যাটসম্যানটা (ব্রায়ান বেনেট) রান করল দুইটা ব্যাটসম্যান খুব ভালো ব্যাট করেছে। কোনো সুযোগই দেয় নাই। এই কৃতিত্ব তাদের দিতেই হবে।'

Comments

The Daily Star  | English

$14b a year lost to capital flight during AL years

Bangladesh has lost around $14 billion a year on average to capital flight during the Awami League’s 15-year tenure, according to the draft report of the committee preparing a white paper on the economy.

13h ago