‘বুয়েট-মেডিকেলে সুযোগ পেয়েও ভর্তি হননি’, স্বপ্ন পূরণ করেছিলেন পাইলট হয়ে

পতেঙ্গায় বিমান বিধ্বস্ত
আসিম জাওয়াদ। ছবি: সংগৃহীত

চট্টগ্রামের পতেঙ্গায় প্রশিক্ষণ বিমান দুর্ঘটনায় নিহত বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর স্কোয়াড্রন লিডার মুহাম্মদ আসিম জাওয়াদ রিফাতের গ্রামের বাড়ি মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া উপজেলার গোপালপুর গ্রামে।

তার বাবা মোহাম্মদ আমানউল্লাহ একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের চিকিৎসক এবং মা নিলুফার খানম সাভার ক্যান্টনমেন্ট স্কুল অ্যান্ড কলেজের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক।

বৃহস্পতিবার সকালে উইং কমান্ডার মো. সোহান হাসান খাঁন ও স্কোয়াড্রন লিডার মুহাম্মদ আসিম জাওয়াদ বিমান বাহিনীর ইয়াক-১৩০ প্রশিক্ষণ বিমান নিয়ে চট্টগ্রামের জহুরুল হক ঘাঁটি থেকে উড্ডয়ন করেছিলেন।

প্রশিক্ষণ শেষে ফেরার সময় বিমানটি কর্ণফুলী নদীর মোহনার কাছে দুর্ঘটনায় পড়ে। তাৎক্ষণিক দুই পাইলট জরুরি প্যারাসুট দিয়ে বিমান থেকে নদীতে অবতরণ করেন। কিন্তু বাঁচানো যায়নি আসিম জাওয়াদ রিফাতকে।

ছয় বছর বয়সী মেয়ে, এক বছর বয়সী ছেলে, স্ত্রী ও পিতা-মাতাকে রেখে তিনি পাড়ি জমালেন অনন্তলোকে।

বাবা-মায়ের কাজের সুবাদে ছোটবেলায় দেশের বিভিন্ন স্থানে থেকেছেন রিফাত। সাভার ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে এসএসসি ও এইচএসসি পাস করে ২০১০ সালে তিনি যোগ দেন বাংলাদেশ বিমান বাহিনীতে।

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় মানিকগঞ্জ শহরের দাশরা এলাকায় তাদের বাসায় গিয়ে দেখা যায়, স্বজনদের কান্না থামছেই না। একমাত্র ছেলেকে হারিয়ে মা নিলুফা খানম পাগলপ্রায়।

সেখানে কথা হয় নিহত পাইলটের খালা পারভীন আক্তারের সঙ্গে। তিনি দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'রিফাতের (আসিম জাওয়াদ) বাবা-মায়ের ইচ্ছে ছিল ছেলে ডাক্তার বা ইঞ্জিনিয়ার হবে। কিন্তু ছোটবেলা থেকেই রিফাতের স্বপ্ন ছিল পাইলট হবে, বিমান বাহিনীতে যোগ দেবে।'

'বুয়েটে, সরকারি মেডিকেল কলেজে সুযোগ পেয়েও ভর্তি হয়নি। স্বপ্ন পূরণ করেছে পাইলট হয়ে। শেষে বিমান দুর্ঘটনায়ই তার মৃত্যু হলো। চলে গেল পরপারে,' বলেন পারভীন আক্তার।

তিনি জানান, স্কোয়াড্রন লিডার আসিম জাওয়াদের স্ত্রী তাদের মেয়ে ও ছেলেকে নিয়ে চট্টগ্রামে বিমান বাহিনীর ঘাঁটি জহরুল হকের অফিসার্স আবাসিক এলাকায় আছেন।

নিহতের খালাতো ভাই মশিউর রহমান শিমুল ডেইলি স্টারকে বলেন, 'রিফাত খুব মেধাবী ছিলেন। কোনোদিন পরীক্ষায় দ্বিতীয় হননি, প্রথম হয়েছেন। তিনি খুব মিশুক ছিলেন। রোজার ঈদের ছুটিতেও বাড়িতে এসেছিলেন।'

Comments

The Daily Star  | English

Record toll collection on Padma and Jamuna bridges

Padma Bridge generated a record toll revenue of Tk 54.32 crore, while Jamuna Tk 41.81 crore

3h ago