অযোগ্য পাইলট নিয়োগে সহায়তা, বিমানের ক্যাপ্টেন সাজিদের লাইসেন্স স্থগিত
অযোগ্য পাইলট নিয়োগে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে বিমান বাংলাদেশের পাইলট ক্যাপ্টেন সাজিদ আহমেদের লাইসেন্স স্থগিত করেছে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক)।
গত সোমবার বেবিচকের পরিচালকের (ফ্লাইট সেফটি অ্যান্ড রেগুলেশনস) সই করা এ আদেশে বলা হয়, গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে বিমানে অযোগ্য পাইলট নিয়োগে সাজিদের সংশ্লিষ্টতার তদন্ত না হওয়া পর্যন্ত তার লাইসেন্স স্থগিত থাকবে।
ক্যাপ্টেন সাজিদ আহমেদ বিমানের প্রশিক্ষণ প্রধান ছিলেন এবং চলতি বছরের ৯ মার্চ তাকে ওই পদ থেকে অপসারণ করা হয়।
চলতি বছরের ১ মার্চ দ্য ডেইলি স্টার 'অযোগ্য পাইলট নিয়োগের মাশুল দিচ্ছে বিমান' শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে। প্রতিবেদনে নিয়োগ সংক্রান্ত অনিয়মে ক্যাপ্টেন সাজিদ আহমেদের জড়িত থাকার কথা উল্লেখ করা হয়।
বিমানের নিজস্ব তদন্তে দেখা গেছে, ক্যাপ্টেন সাজিদ আহমেদ বিমানে 'কৃত্রিম পাইলট সংকট' তৈরি করেছিলেন। পরে তার স্ত্রী সাদিয়া আহমেদকে চুক্তিভিত্তিক পাইলট হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়।
ডেইলি স্টারের অনুসন্ধানে দেখা যায়, সাদিয়ার উচ্চ মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট ভুয়া ছিল।
শিক্ষাগত সনদ ভুয়া প্রমাণিত হওয়ায় মার্চের শেষদিকে বেবিচক সাদিয়া আহমেদের বাণিজ্যিক পাইলট লাইসেন্স (সিপিএল) স্থগিত করে।
সাদিয়ার বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হলে, তিনি বিমানের তদন্ত কমিটির সামনে হাজির না হয়েই দেশত্যাগ করেন।
পরে ১৮ অক্টোবর হঠাৎ তদন্ত কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়।
বিমান বলেছে, হাইকোর্ট একই বিষয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করায় তারা তদন্ত বন্ধ করে।
যদিও, হাইকোর্ট চলমান তদন্ত স্থগিত করার বিষয়ে কোনো নির্দেশনা দেয়নি।
Comments