রোমাঞ্চকর জয়ে আবাহনী চ্যাম্পিয়ন
মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত ছক্কায় বল উড়িয়েই দুহাত উঁচিয়ে করতে থাকলেন উল্লাস। বাউন্ডারি লাইনের বাইরে থেকে ছুটে এলেন সতীর্থরা। সেরা বেশ কয়েকজন তারকাকে ছাড়াই শেখ জামাল ধানমন্ডিকে রোমাঞ্চকর ম্যাচে হারিয়েছে আবাহনী লিমিটেড। নিশ্চিত করে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে নিজেদের ২৩তম শিরোপা।
মঙ্গলবার বিকেএসপিতে শেখ জামালকে ৪ উইকেটে হারায় আবাহনী। আগে ব্যাট করে সাকিব আল হাসানের মাঝারি ইনিংসের পর জিয়াউর রহমানের বিস্ফোরক ইনিংসে ২৬৭ রান করেছিল শেখ জামাল। ১ বল আগে ওই রান পেরিয়ে জিতে যায় আবাহনী।
এই জয়ে দুই ম্যাচ বাকি থাকতেই প্রিমিয়ার লিগ চ্যাম্পিয়ন হয়ে গেলো ধানমন্ডির ঐতিহ্যবাহী ক্লাব। শিরোপা নিশ্চিত করার মিশনে একটি ম্যাচও হারেনি খালেদ মাহমুদ সুজনের কোচিংয়ে খেলা। প্রিমিয়ার লিগের ইতিহাসে আবাহনীর এটি ২৩তম শিরোপা হলেও লিস্ট-এ স্বীকৃতি পাওয়ার পর এটি তাদের পঞ্চম শিরোপা।
রান তাড়ায় আবাহনীর জয়ের ভিত গড়ে দেন এনামুল হক বিজয় ও আফিফ হোসেন ধ্রুব। বিজয় ৮০ বলে করেন ৬৭। আফিফ ৮৮ বলে আউট হন ৮৩ রান করে। শেষ দিকে মহা গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস খেলেছেন অধিনায়ক মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত। ৫৪ বলে অপরাজিত ৫৩ করে দলের জয় নিশ্চিত করেন তিনি।
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজ থাকায় আবাহনীর ১০ জন খেলোয়াড় চলে গিয়েছিলেন জাত্য দলের ক্যাম্পে। এই ম্যাচের জন্য তাই খেলোয়াড় সংকটে পড়েছিল তারা। পরে ক্রিকেট অপারেশন্স কমিটির কাছে আবেদন করে তিনজন খেলোয়াড় পায় তারা। চট্টগ্রামে জাতীয় দলের ক্যাম্প থেকে এসে খেলেন তানজিম হাসান সাকিব, আফিফ হোসেন ও তানবীর ইসলাম। এই তিনজনই দলের জয়ে রাখেন ভূমিকা।
সকালে টস জিতে শেখ জামালকে ব্যাট করতে পাঠায় আবাহনী। নাহিদুল ইসলাম ও তানজিম সাকিব ১৫ রানে ৩ উইকেট ফেলে তৈরি করেন প্রবল চাপ। এরপর সাকিব ও সৈকত আলির জুটিতে প্রতিরোধ গড়ে শেখ জামাল।
দুজনের ৭২ রানের জুটির পর ফেরেন ৪১ করা সৈকত। যুক্তরাষ্ট্র থেকে এসে মাঠে নামা সাকিব ৫৬ বলে করেন ৪৯ রান। শেষ দিকে রান বাড়ানোর নায়ক জিয়া। ৮ ছক্কায় ৫৮ বলে করেন ৮৫ রান।
রান তাড়ায় শুরুতে সাব্বির হোসেনকে হারানোর নাঈম শেখও আউট হন থিতু হয়ে। তবে তাতে বিপদে পড়েনি আবাহনী। বিজয় আর আফিফ মিলে গড়েন ১০৩ রানের জুটি। এই দুজনের বিদায়ের পর নাহিদুলের ১৯ বলে ২৪ আর মোসাদ্দেকের ফিফটিতে খেলা শেষ করে আকাশী নিল জার্সিধারীরা।
Comments