কুকি-চিন বিদেশি মদদ পাচ্ছে, এটা মনে করি না: কাদের
পাহাড়ে যৌথ অভিযান চলছে, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে জানিয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, গোটা পাহাড় অশান্ত হওয়ার কোনো কারণ নেই।
তিনি আরও বলেন, কুকি-চিন বিদেশি মদদ পাচ্ছে, এটা মনে করি না।
আজ শনিবার সকালে সচিবালয়ে গণমাধ্যমকর্মীদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
এর আগে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে সাসেক সড়ক সংযোগ প্রকল্প-২ (এলেঙ্গা-হাটিকুমরুল-রংপুর মহাসড়ক) এর আওতায় নির্মিত পাঁচটি ফ্লাইওভার যানবাহন চলাচলের জন্য উন্মুক্ত ঘোষণা করেন সেতুমন্ত্রী।
ওবায়দুল কাদের বলেন, 'গাড়ির চাপ আছে কিন্তু এবার যানজট হবে না, এটা আমি বলতে পারি।'
ঈদের আনন্দের মধ্যে পাহাড়ে অশান্তি, এটা নিয়ে সরকারের অবস্থান কী জানতে চাইলে কাদের বলেন, 'এখানে যৌথ অভিযান চলছে। আশা করি পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে।'
তিনি বলেন, 'বিচ্ছিন্নভাবে এ ধরনের ঘটনা তো হতেই পারে। গোটা পাহাড় এখানে অশান্ত হওয়ার কোনো কারণ নেই। এখানে বিষয়টা হচ্ছে, বান্দরবানের রুমা, রোয়াংছড়ি, থানচি, কিছুটা আলীকদম, এই এলাকাজুড়ে কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট, বম নামে একটি উপজাতি; পার্বত্য চট্টগ্রামে কিন্তু খাগড়াছড়িতে চারটা উপজাতি—বাঙালিসহ চার এবং রাঙ্গামাটিতে তিনটি আর সবচেয়ে বেশি ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী হচ্ছে বান্দরবানে, ১৩টির মতো। এর মধ্যে বম, এরা খুব বড় না।'
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, 'বম জনগোষ্ঠী চীন এবং ভারত সীমান্তের কাছে চীন স্টেট বলে ওদের একটা স্টেট আছে। মূলত ওখানেই তাদের একটা ঘাঁটি আছে বলে মনে করা হয়। কুকি-চিনের সঙ্গে আলাপ-আলোচনাও অনেকবার হয়েছে। এরপর এরা হঠাৎ করে এভাবে অস্ত্র নিয়ে এভাবে বিদ্রোহ কেন করল তার কারণ অনুসন্ধান চলছে। যাতে পরিস্থিতির আর কোনো অবনতি না হয়, সে ব্যাপারে আমাদের যৌথ অভিযান চলছে। আশা করি, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে।'
বাইরের কোনো সহযোগিতা পাচ্ছে কি না জানতে চাইলে কাদের বলেন, 'তাদের কোনো ক্ষোভ বা দাবি-দাওয়ার বিষয়ে সংক্ষুদ্ধ হয়েও তারা করতে পারে। এর কারণ জানা যাবে শিগগির। সীমান্ত থেকে বিচ্ছিন্নতাবাদী কোনো সন্ত্রাসী সংগঠন থেকে মদদ দেওয়া হবে, এটা আমরা মনে করি না। জোর তদন্ত চলছে, সবই বেরিয়ে আসবে।'
Comments