শ্রীলঙ্কার রানের পাহাড়ের পর জয়কে হারিয়ে দিন শেষ বাংলাদেশের
ব্যাট করার জন্য নিঃসন্দেহে উইকেট খুব ভালো। শ্রীলঙ্কার গড়া রানের পাহাড় থেকেই তা বুঝে নেওয়া যায়। তারপরও এমন কন্ডিশনে বাংলাদেশ কেমন করবে সেটা নিয়ে শঙ্কা জাগা অস্বাভাবিক নয়। কারণ সবশেষ দুই টেস্টের চার ইনিংসে দুইশ রান পর্যন্তও তারা যেতে পারেনি। সাম্প্রতিক এই বেহাল দশার মাঝে কিছুটা স্বস্তিদায়ক হলো টাইগারদের এদিনের ব্যাটিং।
রোববার চট্টগ্রাম টেস্টের দ্বিতীয় দিনের খেলা শেষে প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশের সংগ্রহ ১৫ ওভারে ১ উইকেটে ৫৫ রান। তারা পিছিয়ে আছে ৪৭৬ রানে। এর আগে দিনের শেষ সেশনে শ্রীলঙ্কা প্রথম ইনিংসে অলআউট হয় ৫৩১ রানের রেকর্ড গড়ে। তারা ৪ উইকেটে ৩১৪ রান নিয়ে দিন শুরু করেছিল।
স্বাচ্ছন্দ্যে খেলতে থাকা বাঁহাতি ওপেনার জাকির হাসান ক্রিজে আছেন ৩৯ বলে ২৮ রানে। তার ব্যাট থেকে এসেছে ৫ চার। ডানহাতি ওপেনার মাহমুদুল হাসান জয় ছিলেন কিছুটা নড়বড়ে। তিনি থামেন ৩ চারে ৪২ বলে ২১ রান করে। নাইটওয়াচম্যান হিসেবে নেমে জাকিরের সঙ্গী হয়েছেন বাঁহাতি স্পিনার তাইজুল ইসলাম। ৯ বল খেলে এখনও রানের খাতা খোলা হয়নি তার। তবে দিনের শেষ ওভারে লঙ্কান পেসার লাহিরু কুমারাকে দৃঢ়তার সঙ্গে মোকাবিলা করেন তিনি।
উদ্বোধনী জুটিতে ৭৫ বলে ৪৭ রান আনেন জয় ও জাকির। বিস্ময় জাগালেও সবশেষ সাত টেস্টের ১৩ ইনিংসে এটাই বাংলাদেশের সর্বোচ্চ উদ্বোধনী জুটি। অর্থাৎ একবারও তারা পেরোতে পারেনি পঞ্চাশ। দিনের খেলা শেষ হওয়ার স্রেফ দুই ওভার বাকি থাকতে সাজঘরে ফেরেন জয়। কুমারার দারুণ এক ডেলিভারিতে স্টাম্প উড়ে যায় তার। তীক্ষ্ণভাবে ভেতরে ঢুকে যাওয়া বল সামলাতে পারেননি তিনি।
শ্রীলঙ্কার ইনিংসে দলটির ছয় ব্যাটার ফিফটি পেলেও কোনো সেঞ্চুরি হয়নি। কোনো সেঞ্চুরি ছাড়া টেস্টের এক ইনিংসে সর্বোচ্চ রানের পুঁজি এটি। এর আগে ১৯৭৬ সালে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে কোনো সেঞ্চুরি ছাড়া ৯ উইকেটে ৫২৪ রানে ইনিংস ঘোষণা করেছিল ভারত। সেই ম্যাচেও ভারতের ছয় ব্যাটার ফিফটি করেছিলেন। এতদিন তা টিকেছিল সেঞ্চুরি ছাড়া সর্বোচ্চ দলীয় টেস্ট ইনিংস হিসেবে।
আগের টেস্টে জোড়া সেঞ্চুরি করা কামিন্দু মেন্ডিস এবার অপরাজিত থাকেন ৯২ রানে। দ্বিতীয় দিনে ৭০ রানে শ্রীলঙ্কার অধিনায়ক ধনাঞ্জয়া ডি সিলভা ও ৫৯ রানে দিনেশ চান্দিমাল আউট হন। প্রথম দিনে ৯৩ রানে ফিরেছিলেন কুসল মেন্ডিস, ৮৬ রানে দিমুথ করুনারত্নে ও ৫৭ রানে নিশান মাদুশকা। বাংলাদেশের পক্ষে ১১০ রান খরচায় ৩ উইকেট নেন একাদশে ফেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। ২ উইকেট পান অভিষিক্ত পেসার হাসান মাহমুদ।
প্রথম দিন ফিল্ডিংয়ে বেশ কিছু সুযোগ হাতছাড়া করা বাংলাদেশ দ্বিতীয় দিনেও ধরে রাখে সেই ব্যর্থতার ধারা। দুবার জীবন পান প্রবাথ জয়সুরিয়া, একবার কামিন্দু।
Comments