উপজেলা নির্বাচন আনবায়াসড, ফ্রি অ্যান্ড ফেয়ার করতে চাই: নেতাকর্মীদের কাদের

উপজেলা নির্বাচন আনবায়াসড, ফ্রি অ্যান্ড ফেয়ার করতে চাই: নেতাকর্মীদের কাদের
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের | ছবি: টেলিভিশন থেকে নেওয়া

আওয়ামী লীগ আসন্ন উপজেলা নির্বাচন আনবায়াসড, ফ্রি অ্যান্ড ফেয়ার করতে চায় উল্লেখ করে দলটির সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, এমপি-মন্ত্রীরা নিজেদের পছন্দের প্রার্থীকে জেতানোর জন্য গোটা প্রক্রিয়া বাধাপ্রাপ্ত করবে, এটা হতে পারবে না।

আজ শনিবার দুপুরে রাজধানীর ২৩ বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত রংপুর বিভাগীয় মত বিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন।

নেতাকর্মীদের উদ্দেশে ওবায়দুল কাদের বলেন, 'সংগঠন যখন আছে, সংগঠনে সমস্যাও থাকবে। আওয়ামী লীগ বড় দল, বড় দলে কখনো কখনো কিছু সমস্যা আমাদেরকে সাংগঠনিক কার্যক্রমকে চালিয়ে যেতে বাধাপ্রাপ্ত করে।'

তিনি বলেন, 'আমরা এবার প্রথম থেকেই আটঘাট বেঁধে নামতে চাই এবং নির্বাচনের পরপরই আমরা দলের সাংগঠনিক প্রক্রিয়ার দিকে আমাদের সভাপতির নির্দেশে নজর দিয়েছি। ইতোমধ্যে কিছু কিছু জেলায় আমাদের কোনো কোনো সমস্যার ব্যাপারে তাৎক্ষণিক কিছু ব্যবস্থাও নেওয়া হয়েছে। কারণ ফ্রি স্টাইলে দল চলে না। যার যেমন খুশি যখন-তখন দায়িত্বজ্ঞানহীন বক্তব্য রাখবেন, সেটার দায় দল বহন করবে—এটা হতে পারে না। একজনের একটা বক্তব্য গোটা দলের শৃঙ্খলার ওপর আঘাত হানতে পারে। এমন কিছু হলে অবশ্যই আমাদের ব্যবস্থা নিতে হবে।'

কাদের বলেন, 'সামনে উপজেলা নির্বাচন। এই নির্বাচন এবার নতুনভাবে, নতুন পরিবেশে আপনাদের অনুরোধে উন্মুক্ত প্রতিযোগিতার সুযোগ করে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আমরা এর আগে ইউনিয়ন পর্যায়েও নৌকা দিয়েছি। আমরা দেখতে চাই যে, এর মধ্য দিয়ে নির্বাচন কতটা প্রতিযোগিতামূলক, কতটা প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক হয়, এখন এখানে কত ফেয়ার কমপিটিশন হয়। আমি এমপি, আমি নির্বাচনে প্রভাব বিস্তার করব, আমার একজন থাকবে, তাকে জেতানোর জন্য গোটা প্রক্রিয়া বাধাপ্রাপ্ত করব—এটা হতে পারবে না।'

তিনি বলেন, 'যে উদ্দেশ্যে এই ইলেকশনকে উন্মুক্ত করা হচ্ছে, সেই উদ্দেশ্যটা কোনো অবস্থাতেই ব্যাহত করা যাবে না। প্রতিযোগিতা যারা করতে চায় করুক। আমরা একটা আনবায়াসড, ফ্রি অ্যান্ড ফেয়ার ইলেকশন করতে চাই উপজেলায়। জাতীয় নির্বাচন নিয়ে অনেকে অনেক কথা বলে। নির্বাচনের আগে যে আশঙ্কা, ভয়-আতঙ্ক ছিল, সেটা কিন্তু নির্বাচনের মধ্য দিয়ে কেটে গেছে। সারা বিশ্ব নির্বাচন বাংলাদেশের নির্বাচন প্রত্যক্ষ করেছে। ৮১টি দেশ নির্বাচনের পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানিয়েছে এবং ৩২টি আন্তর্জাতিক সংস্থা অভিনন্দন জানিয়েছে এবং নিবিড়ভাবে বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছে।

'আজকে বিএনপি কী বললো-না বললো এটা বিচার করে রাজনীতি চলবে না। বাংলাদেশের বাস্তবতার সঙ্গে তাদের চিন্তা-চেতনার কোনো মিল নেই। তারা নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার পরও ৪২ শতাংশ ভোটার বাংলাদেশের নির্বাচনে ভোট দিয়েছে। এখানে নির্বাচনের ঘাটতি কোথায়? টার্ন আউট সন্তোষজনক,' যোগ করেন তিনি।

বিএনপির শক্তি কমে গেছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, 'মানুষের শক্তি কমে গেলে মুখের বিষ উগ্র হয়ে ওঠে। বিএনপি নেতাদের কথা শুনলে এখন এটাই মনে হয়। এত বিষ তাদের মুখে। এত বাজে কথা, এত নোংরা একটি রাজনৈতিক দলের নেতারা বলতে পারে এটা বিশ্বাস করতে কষ্ট হয়।'

Comments

The Daily Star  | English
ICU crisis in government hospitals Bangladesh

Life-saving care hampered in 25 govt hospitals

Intensive Care Units at 25 public hospitals across the country have remained non-functional or partially operational over the last few months largely due to a manpower crisis, depriving many critically ill patients of life-saving care.

11h ago