চঞ্চল-জেফার অভিনীত ফারুকীর সিনেমা চাঁদরাতে

ঈদ বা যেকোনো বিশেষ দিবস আসলেই বিনোদন মাধ্যমগুলোতে মুক্তি দেয়া হয় সিনেমা, সিরিজ সহ নানা ধরনের কনটেন্ট। তাই ঈদে মুক্তি পেতে যাচ্ছে মোস্তফা সরয়ার ফারুকী পরিচালিত 'লাস্ট ডিফেন্ডারস অব মনোগামী' বা 'মনোগামী'। এই সিনেমায় চঞ্চল চৌধুরীর সঙ্গে অভিনয় করেছেন সঙ্গীতশিল্পী জেফার।

আরও

জেফারের রূপান্তর

ভিন্নধর্মী শপথ গ্রহণের মাধ্যমে গত বছর চরকি 'মিনিস্ট্রি অব লাভ' নামের একটি প্রকল্পের ঘোষনা দেয়। যেখানে ১২জন জনপ্রিয় নির্মাতার ১২টি ভালোবাসার গল্প নিয়ে ১২টি চরকি অরিজিনাল ফিল্ম বানাবেন।

মনোগামী ছবিতে চঞ্চল-জেফার। ছবি: সংগৃহীত

এরই মধ্যে এই প্রজেক্টের ২টি সিনেমা 'সামথিং লাইক অ্যান অটোবায়োগ্রাফি' ও 'কাছের মানুষ দূরে থুইয়া' মুক্তি পেয়েছে। সিনেমা দুটিই হয়েছে দর্শক নন্দিত ও প্রশংসিত।

পরিচালক মোস্তফা সরয়ার ফারুকী বলেন, 'আমার প্রিয় একটা কাজ হচ্ছে মানুষের মনের ভেতর ছিপ ফেলে দেখা কি কি ধরা পড়ে সেখানে। ছোট-বড়, তুচ্ছ-গুরুত্বপূর্ণ সবই আমাকে নাড়া দেয়। মনোগামীতে অনেক দিন পরে মেল-ফিমেল রিলেশনশিপের কিছু দিক নিয়ে এই রকম ছিপ ফেলার সুযোগ পেয়েছি। "ব্যাচেলর" ছবিতে ব্যাচেলর জীবনের কিছু দিক কোনো রকম রাখঢাক ছাড়া দেখাতে পেরেছিলাম। এখানে বিবাহিত এবং প্রবাহিত জীবনের কিছু দিক কোনো সুইট কোটিং ছাড়া দেখানোর সুযোগ পেয়েছি।'

আরও

চঞ্চল চৌধুরী ও জেফার যে কারণে একসঙ্গে

চঞ্চল চৌধুরী বলেন, 'ফারুকী ভাইয়ের সঙ্গে আমার ২০০৫ থেকে কাজের শুরু, এখন ২০২৪। আমার ক্যরিয়ারের টার্নিংপয়েন্ট ছিল সেই কাজটি। আর এবার মনোগামী সিনেমার গল্পটাই একদম আলাদা। সিনেমায় কিছু মনস্তাত্ত্বিক দিক আছে যা দর্শককে ভাবাবে। আর এখানে আমার চরিত্রের লুক, গেট-আপ একদম ভিন্ন থাকবে।'

মনোগামী ছবিতে চঞ্চল-জেফার। ছবি: সংগৃহীত

জেফার বলেন, 'একজন সঙ্গীতশিল্পী হিসেবে আগেও পর্দায় হাজির হয়েছি। কিন্তু মনোগামী সিনেমায় কাজের অভিজ্ঞতা একদম ভিন্ন। বিষয়টি আমার জন্য অনেক আনন্দের, একই সাথে চ্যালেঞ্জিং। মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর সিনেমায় চঞ্চল চৌধুরীকে পাওয়া আমার জন্য কিছুটা চাপের ছিল। কিন্তু উনারা এতো উদার ছিলেন ও সহযোগিতা করেছেন যে কাজটা আমার জন্য ব্যাপক রোমাঞ্চকর হয়েছে।'