জাহাজের ধাক্কায় সেতু বিধ্বস্ত, ৬ জনের মৃত্যু

জাহাজের ধাক্কায় ভেঙে পড়ে বাল্টিমোরের ফ্রানসিস স্কট কি সেতু। ছবি: ডয়চে ভেলে
জাহাজের ধাক্কায় ভেঙে পড়ে বাল্টিমোরের ফ্রানসিস স্কট কি সেতু। ছবি: ডয়চে ভেলে

মার্কিন কোস্ট গার্ড জানিয়েছে, তারা নিখোঁজদের উদ্ধার করার জন্য অপারেশন বন্ধ করেছে। ধরে নেয়া হচ্ছে, ছয়জন আর বেঁচে নেই। এই ছয় শ্রমিক সেতুর উপরে মেরামতের কাজ করছিলেন।

মার্কিন কোস্ট গার্ডের পক্ষ থেকে রিয়ার অ্যাডমিরাল শ্যানন গিলরেথ জানিয়েছেন, 'অনেকটা সময় ধরে আমরা তন্নতন্ন করে খুঁজেছি। সেই সময়ের কথা মাথায় রেখে, জলের তাপমাত্রার কথা মাথায় রেখে আমাদের মনে হচ্ছে, আর কাউকে জীবন্ত অবস্থায় উদ্ধার করা সম্ভব নয়।'

ভারতীয় জাহাজকর্মীরা নিরাপদ

জাহাজের ধাক্কায় ভেঙে পড়ে বাল্টিমোরের ফ্রানসিস স্কট কি সেতু। ছবি: ডয়চে ভেলে
জাহাজের ধাক্কায় ভেঙে পড়ে বাল্টিমোরের ফ্রানসিস স্কট কি সেতু। ছবি: ডয়চে ভেলে

যে জাহাজের ধাক্কায় সেতুটি ভেঙেছে, সেটি সিঙ্গাপুরের পতাকাবাহী একটা কন্টেনারবাহী জাহাজ। জাহাজে ২২ জন কর্মী ছিলেন। সকলেই ভারতীয়। সব কর্মীই নিরাপদে আছেন। ধাক্কা লাগার আগে জাহাজটির বিদ্যুৎ সংযোগ ছিন্ন হয়ে যায়। সেটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে। জাহাজ থেকে এসওএস বার্তাও পাঠানো হয় বলে জানানো হয়েছে।

তদন্ত করছে এনটিএসবি

ন্যাশনাল ট্রান্সপোর্টেশন সেফটি বোর্ড(এনটিএসবি) বাল্টিমোরে্র সেতু ভেঙে পড়ার তদন্ত করছে। সংস্থার চেয়ারম্যান জানিয়েছেন, উদ্ধারের কাজ শেষ হওয়ার পরই তারা তদন্ত শুরু করবেন।

তিনি জানিয়েছেন, কী করে সেতু ভাঙলো তা তারা তদন্ত করে দেখবেন। জাহাজটির বিদ্যুৎ বন্ধ হয়ে যাওয়া ও তার সেতুতে ধাক্কা মারার বিষয়টিও তদন্ত করে দেখবেন। কেন এই দুর্ঘটনা হলো, তা খুঁজে বের করার চেষ্টা করবেন।

মার্কিন পরিবহন সচিব জানিয়েছেন, এই সেতুটি ছিল বাল্টিমোরের অন্যতম প্রতীক। যুক্তরাষ্ট্রের উন্নত অবকাঠামোর একটা নিদর্শন। এটা তাই কোনো সাধারণ সেতু ছিল না।

বিকল্প পথ

জাহাজের ধাক্কায় ভেঙে পড়ে বাল্টিমোরের ফ্রানসিস স্কট কি সেতু। ছবি: ডয়চে ভেলে
জাহাজের ধাক্কায় ভেঙে পড়ে বাল্টিমোরের ফ্রানসিস স্কট কি সেতু। ছবি: ডয়চে ভেলে

বাল্টিমোর হলো যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম ব্যস্ত বন্দর এবং এই বন্দর দিয়ে গাড়ি নির্মাতারা তাদের গাড়ি দেশের অন্যান্য অংশে পাঠান।

জেনারেল মোটরস একটা বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে, এই দুর্ঘটনার খুব বেশি প্রভাব তাদের ওপর পড়বে না। তারা আপাতত অন্য পথ ব্যবহার করে বন্দরে গাড়ি পাঠাবেন।

অ্যামেরিকয় ফকসওয়াগনের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, এই ঘটনার কোনো প্রতিক্রিয়া তাদের উপর পড়বে না।

বিএমডাব্লিউ ডানিয়েছে, বন্দরের কার ডক সমুদ্রের দিকে। তাই তাদের গাড়িভর্তি ট্রাকগুলো অন্য পথ ব্যবহার করে সেখানে পৌঁছে যাবে্।

মার্সিডিজের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, তারা পরিস্থিতির উপর নজর রাখছে। তবে তাদের গাড়ি রপ্তানির ক্ষেত্রে কোনো প্রভাব পড়বে বলে তারাও মনে করছে না।

জিএইচ/এসজি(এপি, এএফপি, রয়টার্স)

Comments

The Daily Star  | English

Israel stands down alert after Iran missile launch

Israel hits nuclear sites, Iran strikes hospital as conflict escalates

23h ago