‘এনদ্রিক বিশ্ব ফুটবলের খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি নাম হবে’
এনদ্রিককে নিয়ে মাতামাতি চলছে বেশ কিছুদিন ধরে। বয়স এখনও ১৮ না ছোঁয়া স্ট্রাইকার তাকে নিয়ে আলোচনায় এবার আনলেন উত্তাল ঢেউ। তার একমাত্র গোলেই ইংল্যান্ডকে হারাল ব্রাজিল। বদলি হিসেবে নেমে দেখানো নৈপুণ্যে কোচের উচ্ছ্বসিত প্রশংসাও আদায় করে নিলেন এনদ্রিক। তাকে নিয়ে বিশাল প্রত্যাশা জানালেন দরিভাল জুনিয়র।
শনিবার রাতে ওয়েম্বলি স্টেডিয়ামে জমজমাট প্রীতি ম্যাচে স্বাগতিক ইংলিশদের ১-০ ব্যবধানে হারিয়েছে সেলেসাওরা। ৮০তম মিনিটে পাল্টা আক্রমণে ডি-বক্সে ভিনিসিয়ুস জুনিয়রের শট প্রতিহত করলেও বিপদমুক্ত করতে পারেননি গোলরক্ষক জর্ডান পিকফোর্ড। এরপর আলগা বল ফাঁকা জালে ঠেলে দেন এনদ্রিক। রেকর্ড পাঁচবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের হয়ে তিন ম্যাচে এটি তার প্রথম গোল।
১৭ বছর ২৪৬ দিন বয়সে গোলের খাতা খুলে রেকর্ডও গড়েন এনদ্রিক। ইংল্যান্ডের বিখ্যাত ওয়েম্বলি স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ক্লাব বা আন্তর্জাতিক পর্যায়ের ম্যাচে সবচেয়ে কম বয়সে গোল করার কীর্তি এখন তার।
ব্রাজিলিয়ান লিগে পালমেইরাসের হয়ে খেলা তুমুল প্রতিভাবান এনদ্রিকের নাম বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে ২০২২ সালের ডিসেম্বরে। সেসময় তার সঙ্গে চুক্তি সম্পন্ন করে সফলতম স্প্যানিশ ক্লাব রিয়াল মাদ্রিদ। আগামী জুলাইতে সেখানে যোগ দেবেন তিনি। এর আগে জাতীয় দলের জার্সিতে এমন ঝলক তাকে নিয়ে আগ্রহের পারদ নিয়ে গেছে তুঙ্গে।
গত জানুয়ারিতে দায়িত্ব পাওয়ার পর ব্রাজিলের কোচ হিসেবে দরিভালের যাত্রা শুরু হলো জয় দিয়ে। সেই স্বস্তির পাশাপাশি এনদ্রিকের প্রশংসায় পঞ্চমুখ তিনি, 'এখন পর্যন্ত দেখানো মানসিকতা সে যদি ধরে রাখতে পারে, তাহলে সে ব্রাজিলিয়ান ফুটবল ও বিশ্ব ফুটবলের খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি নাম হবে।'
৭১তম মিনিটে মাঠে নেমে নায়কে পরিণত হওয়া এনদ্রিক গোলের পর করেন বাঁধভাঙা উল্লাস। পরে অনুভূতি জানাতে গিয়ে বলেন, 'এখানে আমার পরিবার, আমার বান্ধবী ও আমার এজেন্ট আছে। আমি এমন কেউ নই যে কান্নাকাটি করব, নিজের আবেগ সামলে রাখছি। তবে এটা সত্যিই অনন্য এক অনুভূতি এবং আমি খুবই খুশি।'
শেষ বাঁশি বাজার ঠিক আগে ব্যবধান বাড়াতে পারত ব্রাজিল। কিন্তু পিকফোর্ডকে একা পেয়েও বল জালে পাঠাতে পারেননি এনদ্রিক। তখন স্নায়ুচাপ জেঁকে ধরেছিল তাকে, 'আশপাশের সবকিছু একটু হলেও শেষদিকে আমার ওপর প্রভাব ফেলেছিল। যে সুযোগটা আমি পেয়েছিলাম... মিথ্যা বলব না। আমি কেবল গোল করার চিন্তাই করেছি। ম্যাচের ব্যাপারে আমি আর ভাবতে পারিনি।'
Comments