মেঘনায় ট্রলারডুবি: উদ্ধার অভিযান চলছে, সন্ধান মেলেনি নিখোঁজ ৮ জনের

গতকাল মেঘনায় ট্রলারডুবির ঘটনায় আজ সকাল থেকে আবারও উদ্ধার কাজ শুরু করে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরিরা। ছবি: স্টার

কিশোরগঞ্জের ভৈরব ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জের মাঝামাঝি এলাকায় মেঘনা নদীতে ট্রলার উল্টে হতাহতের ঘটনায় শনিবার সকাল থেকে আবারও উদ্ধার অভিযান শুরু হয়েছে।  

শনিবার সকাল ৮টার দিকে ফায়ার সার্ভিসের চার জন ডুবুরি উদ্ধার অভিযান শুরু করলেও সকাল ১০টা পর্যন্ত নিখোঁজ আট জনের সন্ধান মেলেনি।

কিশোরগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের উপপরিচালক এনামুল হক জানান, কিশোরগঞ্জ থেকে তিন জন এবং ভৈরব থেকে একজন ডুবুরি উদ্ধার অভিযানে অংশ নিয়েছেন৷ এখনো পর্যন্ত কারো মরদেহ উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। নিখোঁজ ব্যক্তিদের মরদেহ উদ্ধার না হওয়া পর্যন্ত ডুবুরি দলের কার্যক্রম চলমান থাকবে বলে জানান তিনি।

গতকাল ফায়ার সার্ভিসের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল ছয় জন নিখোঁজ আছে। তবে আজ স্বজনদের সঙ্গে কথা বলে জানানো হয়, আরও দুই জনসহ মোট আট জন এ ঘটনায় নিখোঁজ আছেন।

সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, মেঘনা নদীর পাড়ে অপেক্ষারত নিখোঁজ ব্যক্তিদের স্বজনরা আহাজারি করছেন। কখন তাদের প্রিয় মানুষটিকে উদ্ধার করা হবে, এ অপেক্ষায় প্রহর গুনছেন তারা।

ট্রলারডুবিতে নিখোঁজ নরসিংদী মডেল কলেজের শিক্ষার্থী আনিকা আক্তারের মামা লুৎফুর রহমান বলেন, শুক্রবার ভৈরবে খালার বাড়িতে বেড়াতে আসেন আনিকা। সেখান থেকে বান্ধবী রুবাকে সঙ্গে নিয়ে নৌকায় ঘুরতে গিয়েছিল। বাল্কহেডের ধাক্কায় ট্রলার উল্টে গেলে রুবা সাঁতার কেটে তীরে উঠতে পারলেও আনিকা ডুবে যায়। আনিকার বাড়ি নরসিংদীর বেলাব উপজেলার দড়িকান্দি এলাকায়। এখনো পর্যন্ত আনিকা কিংবা অন্য কারও মরদেহ উদ্ধার করতে পারেনি ডুবুরিরা।

ভৈরব নৌ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ ইন্সপেক্টর কেএম মনিরুজ্জামান চৌধুরী জানান, বাল্কহেডে থাকা দুজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে। এই বাল্কহেডটিই দুর্ঘটনার জন্য দায়ি কিনা তা যাচাইয়ের পর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ভৈরব বাজার ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার আজিজুল হক রাজন জানান, শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে আশুগঞ্জ-ভৈরব রেলসেতুর তিন নম্বর পিলারের কাছে এই দুর্ঘটনা ঘটে। এতে সুবর্ণা নামের একজন নারী নিহত হন। দুর্ঘটনার পর ১২ জন সাঁতরে তীরে উঠতে পারলেও আট জন নিখোঁজ হয়। তাদের মধ্যে ভৈরব হাইওয়ে থানা পুলিশের কনস্টেবল সোহেল রানা (৩২), তার স্ত্রী মৌসুমি আক্তার (২৫), শিশু কন্যা মাহমুদা (৭) ও ছেলে রাইসুলসহ (৫) আরও চার জন রয়েছেন।

ভৈরব থেকে প্রায় ২০ জন যাত্রী নিয়ে একটি ডিজেল ইঞ্জিনচালিত ট্রলার ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জের চরসোনারামপুর এলাকায় যায়। সেখান থেকে ফেরার পথে একটি বালুবাহী বাল্কহেডের সঙ্গে ধাক্কা লেগে ট্রলারটি ডুবে গেলে এ হতাহতের ঘটনা ঘটে৷

Comments

The Daily Star  | English
compensation for uprising martyrs families

Each martyr family to get Tk 30 lakh: Prof Yunus

Vows to rehabilitate them; govt to bear all expenses of uprising injured

5h ago