সৌদি যুবরাজ সালমান বাংলাদেশ সফরে আসছেন এ বছরই

মোহাম্মদ বিন সালমান
সৌদি আরবের ক্রাউন প্রিন্স ও প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ বিন সালমান। রয়টার্স ফাইল ফটো

চলতি বছরের শেষার্ধে সৌদি আরবের ক্রাউন প্রিন্স ও প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ বিন সালমান বাংলাদেশ সফরে আসবেন। তার সফরের মধ্য দিয়ে সৌদি আরব ও বাংলাদেশের মধ্যকার সম্পর্ক আরও জোরদার হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

ঢাকায় নিযুক্ত সৌদি রাষ্ট্রদূত এসা ইউসেফ এসা আল দুহাইলান আজ এক অনুষ্ঠানে বলেন, 'বাংলাদেশ সফরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আমন্ত্রণ গ্রহণ করেছেন সৌদি ক্রাউন প্রিন্স। এ বছর তিনি আসবেন, তবে তারিখ এখনও ঠিক করা হয়নি।'

সৌদি দূতাবাসে আয়োজিত অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে রাষ্ট্রদূত বলেন, 'এই সফরের সময় প্রধান আলোচনার বিষয় থাকবে দুই দেশের সাধারণ স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয় এবং সৌদি আরব ও বাংলাদেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক জোরদার করা।'

তিনি বলেন, 'সৌদি আরব বাংলাদেশে ১ দশমিক ২ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের পরিকল্পনা করছে এবং সৌদি কোম্পানি রেড সি গেটওয়ে টার্মিনাল এ বছরের এপ্রিলে চট্টগ্রামের পতেঙ্গা বে টার্মিনালের কার্যক্রম শুরু করবে।'

গত বছর সৌদি আরবের এ কোম্পানিটি বাংলাদেশের প্রধান সমুদ্রবন্দরে একটি কন্টেইনার টার্মিনাল নির্মাণ ও পরিচালনার জন্য চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সঙ্গে  ১৭০ মিলিয়ন ডলারের ২২ বছর মেয়াদী চুক্তি করে।

বার্ষিক ৫ লাখ একক কনটেইনার পরিবহনের সক্ষম এই টার্মিনালে ১০ থেকে ১১ মিটার ড্রাফটযুক্ত তিনটি জাহাজ একবারে ভিড়তে পারবে, যেখানে নতুন প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে বাংলাদেশের দ্রুত বর্ধনশীল রপ্তানি বাজার পরিচালনায় সহায়তা করবে।

সৌদি রাষ্ট্রদূত এসা ইউসেফ বলেন, 'সৌদি আরবে কর্মরত প্রায় ২৮ লাখ বাংলাদেশি সৌদি অর্থনীতির পাশাপাশি বাংলাদেশের অর্থনীতিতেও গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে। এই চিত্র দুই দেশের সম্পর্কের উন্নয়নের স্পষ্ট লক্ষণ।'

রাষ্ট্রদূত আজকের অনুষ্ঠানে সৌদি বাদশাহ সালমান বিন আব্দুল আজিজ আল সৌদ এবং ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানের নির্দেশে বাংলাদেশের ৩২টি স্থানে অসহায় মানুষের মধ্যে মোট ১৫ হাজার ৫০০ ঝুড়ি খাদ্যসামগ্রী বিতরণের উদ্বোধন করেন। প্রতি ঝুড়িতে ২৪ কেজি বিভিন্ন ধরনের খাদ্যসামগ্রী থাকছে। এগুলো কক্সবাজারের রোহিঙ্গাদের মধ্যেও বিতরণ করা হচ্ছে।

 

Comments

The Daily Star  | English
Chinese firms bullish on Bangladesh’s manmade fibre

Chinese firms bullish on manmade fibre exports to Bangladesh

Non-cotton garments are particularly lucrative, fetching higher prices than traditional cottonwear for having better flexibility, durability

15h ago