হাসারাঙ্গার বিপক্ষে সাফল্যের কারণ ব্যাখ্যা করলেন মুশফিক

Mushfiqur Rahim
ছবি: ফিরোজ আহমেদ

'কীভাবে হাসারাঙ্গাকে খেলবেন? যোগাযোগ- মুশফিকুর রহিম'। বাংলাদেশ দলের সাবেক পারফরম্যান্স এনালিস্ট শ্রীনিবাসন চন্দ্রশেখর বুধবার প্রথম ওয়ানডে চলাকালীন দেন এই পোস্ট। ম্যাচ জিতে আসা মুশফিককে এটা জানাতেই তিনি অট্টহাসিতে ফেটে পড়েন।

ব্যাপারটা আরও খোলাসা হবে পরিসংখ্যানে, লঙ্কান লেগ স্পিনার ভানিন্দু হাসারাঙ্গার বিপক্ষে আসলেই বেশ সফল মুশফিক। হাসারাঙ্গার বলে এখনো আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে আউট হননি তিনি। তিন সংস্করণ মিলিয়ে হাসারাঙ্গার ১০০ বল খেলেও আউট হননি কেবল মুশফিক, ডেভিড ওয়ার্নার ও শেই হোপ।

বোঝাই যাচ্ছে এই লেগ স্পিনারের কারিকুরি সম্পর্কে বেশ ভালোই ধারণা রাখেন বাংলাদেশের অভিজ্ঞ ব্যাটার। বুধবার রাতেও হাসারাঙ্গা একটুও সমস্যায় ফেলতে পারেননি মুশফিককে। ২৫৬ রানের লক্ষ্যে নাজমুল হোসেন শান্তর সঙ্গে ১৬৫ রানের জুটি পান বাংলাদেশের কিপার ব্যাটার। তাতে তিনি করেন ৮৪ বলে ৭৩ রান। ৮ রানের মধ্যে ৩ চার মেরেছেন হাসারাঙ্গাকেই।

শ্রীনিবাসনের মন্তব্য মুশফিককে মনে করাতেই বলে উঠেন, 'কবে করেছে ভাই এটা?' যখন বলা হয়, 'আজই', মুশফিকের অভিব্যক্তিতে সাফল্যের তৃপ্তির হাসি,   'হাহাহাহা… না, তেমন কিছু না।'

অবশ্যই এরপরই বিশদ ব্যাখ্যায় গেছেন মুশফিক। তিনি কীভাবে হাসারাঙ্গার বিপক্ষে সফল সেটা বলেছেন,  'আমার কাছে মনে হয় স্বাভাবিক। কিছু বোলার বলেন বা নির্দিষ্ট প্রতিপক্ষ, অনেক সময় থাকে আপনি যদি ওদের সাথে খেললে আত্মবিশ্বাসী থাকেন। আবার অনেকে আছে ওর বলে বারবার আউট হয়ে যায়। ওরকম স্পেশাল কিছু না। ও যেটা করে আমি পিক করে ফেলি। এটাই আর কিছু না। সে আউটস্ট্যান্ডিং এবং ইমপ্যাক্টফুল বোলার। সে যত কম ইমপ্যাক্ট ফেলবে আমাদের জন্য তত ভালো। যখনই সুযোগ পাই ওর বিপক্ষে, আমি কমফোর্টেবল ফিল করি।'

'কেউ ফ্লিপার করবে, কেউ গুগলি করবে, কেউ লেগ স্পিন করবে। সব বল হাত দেখে পিক করা যায় না। সুইপ অপশন যদি থাকে, কাজটা সহজ হয়ে যায়। ভালো বলে স্কোরিং অপরচুনিটি থাকলে ব্যাটারের চাপ কমে যায়। ফিল্ড সেটআপ বদলে যায়, বোলারের চাপ বেড়ে যায়।'

Comments

The Daily Star  | English
Bangladesh trade deficit July-August FY25

Trade deficit narrows 2.6% in July-April

The country’s trade deficit narrowed by 2.60 percent in the first ten months of the current fiscal year compared to the same period a year ago, thanks to a rise in export earnings coupled with subdued imports..During the July-April period of fiscal year (FY) 2024-25, the trade gap was $18.

6h ago