সুন্দলপুর গ্যাসক্ষেত্রে তৃতীয় কূপ, প্রতিদিন ১ কোটি ঘনফুট গ্যাসের সম্ভাবনা

প্রাথমিকভাবে কূপটির তিনটি স্তরে গ্যাসের অস্তিত্ব মিলেছে।
সুন্দলপুর গ্যাসক্ষেত্রের তৃতীয় কূপের মুখে গতকাল আগুন জ্বালানো হয়। ছবি: সংগৃহীত

নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জের চরকাঁকড়া ইউনিয়নে আরও একটি গ্যাস কূপের সন্ধান মিলেছে। উপজেলার শাহজাদপুর—সুন্দলপুর গ্যাসক্ষেত্রের ৩ নম্বর এই কূপ থেকে প্রতিদিন ১ কোটি ঘনফুটের বেশি গ্যাস পাওয়ার আশা করছে বাপেক্স। 

বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম এক্সপ্লোরেশন অ্যান্ড প্রোডাকশন কোম্পানি লিমিটেডের (বাপেক্স) প্রকল্প পরিচালক প্রিন্স মো. আল হেলাল এ আশা প্রকাশ করেন।

গতকাল শনিবার দুপুরে আনুষ্ঠানিকভাবে কূপের মুখে আগুন জ্বালানো হয়।

এর আগে, ২০১৩ সালের ৮ জানুয়ারি শাহাজাদপুর—সুন্দলপুর গ্যাসক্ষেত্রের ১ নম্বর কূপ উৎপাদনে যায়। এরপর সুন্দলপুর গ্যাসক্ষেত্রের ২ নম্বর কূপ থেকে গ্যাস উত্তোলন শুরু করা হয়।

আজ রোববার বিকেলে নতুন কূপের খনন কাজ শেষে সুন্দলপুর—৩ কূপ খনন প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক প্রিন্স মোহাম্মদ আল হেলাল দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, '২০২৩ সালের ৪ নভেম্বর ভূমি অধিগ্রহণ, রাস্তা নির্মাণ শেষে খনন কাজ শুরু হয়। কূপ খননের কাজ শেষ হয় গত শুক্রবার। প্রাথমিকভাবে কূপটির তিনটি স্তরে গ্যাসের অস্তিত্ব মিলেছে।'

'চলমান ডিএসটি টেস্ট শেষ হলে জানা যাবে এখানে কী পরিমাণ গ্যাস মজুত আছে। কূপটির মোট ৩ হাজার ৩৮৫ মিটার গভীরে খনন করা হয়েছে। এর মধ্যে লোয়ার জোনের ৩০৪১-৩০৪৬ মিটার এবং ৩০৫৭-৩০৬৪ মিটারের মধ্যবর্তী অংশে টেস্ট চলছে,' বলেন তিনি।  

প্রকল্প পরিচালক আরও বলেন, 'প্রতিদিন ১০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস পাওয়ার আশা নিয়ে এ কূপ খনন করা হলেও তৃতীয় জোনে গ্যাস পাওয়ায় গ্যাস উৎপাদনের পরিমাণ আরও বাড়তে পারে।'

এ কূপের গ্যাস জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ করা হবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

৫ একর জমির ওপর ৮৮ কোটি টাকা ব্যয়ে এ প্রকল্প চলমান আছে।

Comments