‘সিন্ডিকেট কি সরকারের চেয়ে বেশি শক্তিশালী’

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন
জাতীয় সংসদ ভবন। ছবি: স্টার ফাইল ফটো

সরকারের চাইতে বাজারের সিন্ডিকেট বেশি শক্তিশালী কিনা প্রশ্ন তুলেছেন বিরোধীদলীয় উপনেতা ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ।

আজ সোমবার জাতীয় সংসদে রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর আনা ধন্যবাদ প্রস্তাবের আলোচনায় অংশ নিয়ে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে সরকারের আন্তরিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে জাতীয় পার্টির সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান এই কথা বলেন।

তিনি বলেন, সরকার দাম কমাতে বিভিন্ন পণ্যের শুল্ক কমিয়েছে। কিন্তু বাজারে সেসব পণ্যের দাম কমেনি। কেন আমরা সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণ করতে পারছি না? সিন্ডিকেট কি সরকারের চেয়ে বেশি শক্তিশালী?

তিনি বলেন, মূল্যস্ফীতির কারণে সাধারণ মানুষ অনেক কষ্ট পাচ্ছে। দুর্বল ব্যাংকিং খাত, ডলারের বিনিময় হারে অস্থিতিশীলতা, রিজার্ভ কমে যাওয়া সামগ্রিক অর্থনীতিকে অস্থিতিশীল করে তুলেছে।

যেকোনো সমস্যায় কোভিড-১৯ মহামারি ও ইউক্রেন যুদ্ধের কথা টেনে আনার সমালোচনা করে তিনি বলেন, এটা বলে লাভ নেই। আমাদের কাঠামোগত সমস্যাগুলো নিজেদেরই খুঁজে বের করতে হবে। যুক্তরাষ্ট্রসহ সব দেশেই মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে এসেছে। বাংলাদেশ কেন পারবে না। এগুলো নিয়ে সংসদে আলোচনা হওয়া উচিত।

আনিসুল বলেন, এই সরকার শক্তিশালী। সংসদের ১৩ জন বাদে সবাই ক্ষমতাসীন দলের। সরকার কেন চাঁদাবাজি বন্ধ করতে পারছে না? ধারণা করা হচ্ছিল, রমজানের আগেই দ্রব্যমূল্য কমে আসবে। কিন্তু তা হচ্ছে না।

তিনি বলেন, উন্নয়নকে টেকসই করতে সুশাসন প্রতিষ্ঠা করতে হবে। বিচার বিভাগের প্রতি আস্থা বাড়াতে হবে। গণমাধ্যমের স্বাধীনতা যেন ক্ষুণ্ন না হয় তা নিশ্চিত করতে হবে।

আনিসুল বলেন, সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্র থেকে একটি প্রতিনিধি দল এখানে এসেছে। দৃশ্যত গণতন্ত্র ও নির্বাচনের জন্য তাদের সফর। কিন্তু আমার মনে হয় না এটা সত্যি। ভূ-রাজনৈতিক কারণে তারা এসেছেন। তারা বাংলাদেশকে কোনো প্লাটফর্মে অন্তর্ভুক্ত করতে চান।

তিনি বলেন, সরকারের কাছে আমার একটাই অনুরোধ, মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে কোনোভাবেই আমাদের জড়ানো উচিত নয়, কারণ এর সঙ্গে আমাদের দেশের অখণ্ডতা জড়িত।

Comments

The Daily Star  | English

Poll irregularities: Sedition among 3 new charges added against three ex-CECs

BNP filed a case against 24 individuals, including three former chief election commissioners, 10 election commissioners, and top government and police officials, for their alleged role in irregularities during national polls in 2014, 2018, and 2024

42m ago