৫ স্বজনকে বাঁচাতে পারলেও নিজে বাঁচলেন না এশা
পাঁচ স্বজনের জীবন বাঁচাতে পারলেও শেষ অবধি নিজে বাঁচলেন না ৩৬ বছয় বয়সী তানজিন নওরিন এশা।
রাজধানীর ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে নেওয়ার পর চিকিৎসক এশাকে মৃত ঘোষণা করেন।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে ছয় বছর বয়সী ছেলেসহ পাঁচ আত্মীয়ের সঙ্গে রাজধানীর বেইলি রোডের 'গ্রিন কজি কটেজ' ভবনের রেস্তোরাঁয় খেতে যান তিনি।
তার সঙ্গে ছেলে ছাড়াও ছিলেন ভাবি লামিয়া, ভাবির দুই মেয়ে ও চাচাত ভাই।
চিকিৎসকরা জানান, ধোঁয়ার কারণেই মৃত্যু হয় এশার।
সরেজমিনে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক ইনস্টিটিউটের নিচতলায় রাখা এশার মরদেহের সামনে স্বজনদের কান্না করতে দেখা গেছে।
সেখান থেকে এশার স্বামী নাদিম আহমেদ জানান, বেঁচে ফেরা স্বজনরা জানিয়েছেন, আগুন লাগার পর এশা সবাইকে বের করতে পারলেও শেষ অবধি নিজে আটকা পড়েন।
নাদিম বলেন, 'আমার ছয় বছর বয়সী একমাত্র ছেলে আরহাম আহমেদ এখনো জানে না যে, তার মা তাকে ছেড়ে চলে গেছে, এই পৃথিবী ছেড়ে চলে গেছে।'
উল্লেখ্য, বেইলি রোডের এই অগ্নিকাণ্ডে এখন পর্যন্ত ৪৬ জন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
Comments