দেউলিয়া হয়ে সরকার জনগণের পকেট নিংড়ানোর নীতি নিয়েছে: বামজোট

বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে আগামী শুক্রবার দেশব্যাপী বিক্ষোভ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বাম গণতান্ত্রিক জোট। 

শুক্রবার সকাল সাড়ে ১১টায় রাজধানীর পুরানা পল্টন মোড়ে সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়া সারাদেশে বিক্ষোভ সংঘটিত হবে বলে বামজোট জানিয়েছে।

আজ বুধবার এক যৌথ বিবৃতিতে এ কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে।

বাম গণতান্ত্রিক জোটের কেন্দ্রীয় পরিচালনা পরিষদের সমন্বয়ক ও বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স, সিপিবির সভাপতি মোহাম্মদ শাহ আলম, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দলের (বাসদ) সাধারণ সম্পাদক বজলুর রশীদ ফিরোজ, বিপ্লবী কমিউনিস্ট লীগের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল কবীর জাহিদ, বাসদের (মার্কসবাদী) সমন্বয়ক মাসুদ রানা, গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টির সাধারণ সম্পাদক মোশরেফা মিশু, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক পার্টির নির্বাহী সভাপতি আব্দুল আলী এ বিবৃতি দিয়েছেন।

বিবৃতিতে বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধি এবং পর্যায়ক্রমে আরও মূল্যবৃদ্ধির সিদ্ধান্তের খবরে তীব্র ক্ষোভ ও উদ্বেগ প্রকাশ করে বলা হয়, সরকার আর্থিকভাবে দেউলিয়া হয়ে সাধারণ জনগণের পকেট নিংড়ানোর নীতি গ্রহণ করেছে। আইএমএফের শর্ত মানাসহ অপ্রয়োজনীয় খাতে অর্থ যোগান দিতে জনগণের কাছ থেকে আইন করে টাকা তোলার নীতি নিয়ে চলছে সরকার।

নেতৃবৃন্দ বলেন, সরকার সব ধরনের যুক্তি, দেশের সাধারণ মানুষের বর্তমান আর্থিক পরিস্থিতি উপেক্ষা করে বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে। এটাও জানিয়েছে মূল্য সমন্বয়ের নামে এই মূল্য বৃদ্ধি অব্যাহত থাকবে। এর অর্থ, পহেলা মার্চ থেকে যতটুকু বাড়ানোর ঘোষণা দেওয়া হলো, প্রকৃতপক্ষে মূল্যবৃদ্ধি তার থেকে অনেক গুণ বেশি হতেই থাকবে। 

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, বিদ্যুতের দাম বাড়লে উৎপাদন খরচ বৃদ্ধিসহ সর্বত্র মূল্যবৃদ্ধি ঘটবে। আর জিনিসপত্রের বর্ধিত দাম সাধারণ জনগণকেই দিতে হবে। সাধারণ মানুষের আয় বাড়েনি বরং প্রকৃত আয় কমে গেছে। এর মধ্যে এই মূল্য বৃদ্ধি সহ্য করার ক্ষমতা সাধারণ মানুষের নেই।

এতে বলা হয়, সরকার যে উৎপাদন ব্যয় বৃদ্ধির কথা বলে বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর কথা বলছে, এটা কোনোভাবে যৌক্তিক নয়। সরকার যে নীতিতে বিদ্যুৎ, জ্বালানি খাত পরিচালনা করছে, তাতে উৎপাদন ব্যয় বেড়ে গেছে, তার দায় সাধারণ জনগণ নেবে না।

সরকার ভুলনীতি ও দুর্নীতির সঙ্গে জড়িতদের শাস্তি না দিয়ে মূল্যবৃদ্ধি করে প্রকারান্তরে জনগণের কাঁধে শাস্তির বোঝা চাপাচ্ছে। বিদ্যুতের উৎপাদন ব্যয় কমানোর প্রচেষ্টা সরকার কখনো নেয়নি বলেও বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়। 

বামজোট বলছে, নানাভাবে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে কিছু ব্যবসায়ী ও কমিশনভোগীদের সুবিধা দেওয়া হচ্ছে। এটা দুই-চার কোটি টাকার সুবিধা নয়, হাজার হাজার কোটি টাকার সুবিধা, যার সবই জনগণের টাকা।

বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে আগামী শুক্রবার যার যার অবস্থান থেকে রাজপথে নেমে বিক্ষোভ সংগঠিত করার জন্য দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছে বাম গণতান্ত্রিক জোট।

২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ।

Comments

The Daily Star  | English

Can Bangladesh retain its foothold in US market?

As Bangladesh races against a July 9 deadline to secure a lower tariff regime with the United States, the stakes could not be higher.

12h ago