হৃদয় ভালো বলটাকেও ছক্কা মারতে পারে: লিটন

ছবি: ফিরোজ আহমেদ

চলতি বিপিএলে তাওহিদ হৃদয়ের ব্যাট আরও বেশি করে হাসছে। প্রতিযোগিতার শিরোপাধারী কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের ফাইনালে ওঠার পথে ব্যাট হাতে সবচেয়ে বড় অবদান তারই। রংপুর রাইডার্সকে উড়িয়ে শিরোপা নির্ধারণী মঞ্চে জায়গা করে নেওয়ার লড়াইতেও উজ্জ্বল ছিলেন তিনি। সেই ম্যাচের পর বড় জুটির সঙ্গী ও দলের অধিনায়ক লিটন দাস তাকে ভাসালেন প্রশংসার জোয়ারে।

রোববার মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে আসরের প্রথম কোয়ালিফায়ারে রংপুরকে ৬ উইকেট হারায় কুমিল্লা। ১৮৬ রানের চ্যালেঞ্জিং লক্ষ্য তারা পেরিয়ে যায় ৯ বল হাতে রেখে। লক্ষ্য তাড়ায় প্রথম বলেই উইকেট হারিয়ে চাপে পড়া বিপিএলের সফলতম ফ্র্যাঞ্চাইজিটিকে আলোর দিশা দেন লিটন ও হৃদয়। দ্বিতীয় উইকেটে তারা গড়েন ৮৯ বলে ১৪৩ রানের বিস্ফোরক জুটি। ফলে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ চলে আসে দলটির হাতের মুঠোয়।

লিটন করেন ৯ চার ও ৪ ছয়ে ৫৭ বলে ৮৩ রান। হৃদয় ৪৩ বলে ৫ চার ও ৪ ছক্কায় খেলেন ৬৪ রানের ইনিংস। ধারাবাহিক পারফরম্যান্সে চলতি বিপিএলের রান সংগ্রাহকদের তালিকায় শীর্ষে আছেন তিনি। ১৩ ম্যাচে ৪০.৬৩ গড়ে ও ১৪৯.৪৯ স্ট্রাইক রেটে তার রান ৪৪৭। দুটি ফিফটির সঙ্গে একটি সেঞ্চুরি আছে হৃদয়ের নামের পাশে। গত আসরে ১৩ ম্যাচে ৩৬.৬৩ গড়ে ৪০৩ রান করেছিলেন তিনি। পাঁচটি হাফসেঞ্চুরি করলেও ছিল না কোনো শতরান।

শিরোপা ধরে রাখার অভিযানের খুব কাছে পৌঁছে যাওয়ার পর সংবাদ সম্মেলনে আসেন লিটন। সতীর্থ হৃদয়কে বাংলাদেশের বেশিরভাগ ব্যাটারের চেয়ে ব্যতিক্রমী মনে হয় তার কাছে, 'আমার যেটা মনে হয়েছে, ও ভালো বলটাকেও ছক্কা মারতে পারে। যেটা আমাদের দেশে খুব কম ব্যাটসম্যানই পারে। এটা স্বাভাবিক যে, কোনো বোলার যে কোনো সংস্করণেই উইকেট বরাবর বল করবে। আর ও উইকেটের বলটাই বেশি ভালো মারে।'

হৃদয়ের সামর্থ্য নিয়ে তিনি যোগ করেন, 'এটা শুধু ও নয়, যারা আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ভালো ক্রিকেটার, সবাই স্টাম্পের বল ভালো খেলে। আমার মনে হয়, এটা ওর ভালো একটা প্লাস পয়েন্ট। দেখতে ছোটখাটো হলেও বড় বড় ছয় মারতে পারে ও।'

সাফল্য পেতে পরিশ্রমের বিকল্প নেই। ২৩ বছর বয়সী হৃদয়ের ঘাম ঝরানোর মানসিকতাও আলাদা করে নজর কেড়েছে কুমিল্লার দলনেতার, 'আমি ওকে সামনে থেকে যেটা দেখি, ও ক্রিকেট নিয়ে চিন্তা করে। ও কঠোর পরিশ্রমী। সাধারণত খুব সংখ্যক মানুষই এত বেশি জিমে যায়। ও ফাঁকা সময়ে শুধু জিমেই থাকে। মানে ওর কিছু না কিছু কাজ করতেই হয়। আমার মনে হয়, এটাও অনেক ভালো একটা দিক।'

Comments

The Daily Star  | English

In Sarishabari, para sandesh sweetens Eid celebrations

Behind each piece of this delicate dessert lies hard work and precision

1h ago