ফেসবুক-টেলিগ্রামে ঢাবি ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁসের প্রলোভন, গ্রেপ্তার ৩

টঙ্গী পশ্চিম থানা এলাকা থেকে গ্রেপ্তার হওয়া মো. মাহদী হাসান খান ও মো. আব্দুর রহমান সোহান। ছবি: স্টার

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র বিক্রির প্রলোভন দেখিয়ে ফেসবুক ও টেলিগ্রামে বিজ্ঞাপন দেওয়ার অভিযোগে তিন জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

এদের মধ্যে মো. নাফিউল ওরফে নাফিজ ইকবালকে গতকাল শনিবার বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার দবিলা সংসারদিঘী গ্রাম থেকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের ডিবি সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম-উত্তর বিভাগের একটি টিম।

অন্যদিকে গাজীপুরের টঙ্গী পশ্চিম থানা এলাকা থেকে আজ রোববার দুজনকে গ্রেপ্তার করে সিআইডির সাইবার পুলিশ সেন্টার। তারা হলেন মো. মাহদী হাসান খান (২২) ও মো. আব্দুর রহমান সোহান (২০)।

পুলিশ জানিয়েছে, গ্রেপ্তার হওয়া হওয়া সবাই প্রতারক চক্রের সদস্য। মাহদী হাসান খান এসএসসি, এইচএসসি, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা, মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষা, প্রাথমিকের শিক্ষক নিয়োগসহ অন্যান্য পাবলিক পরীক্ষার আগে প্রশ্নপত্র সরবরাহের প্রলোভন দেখিয়ে বিভিন্ন ফেসবুক গ্রুপে বিজ্ঞাপন দিতেন। প্রশ্নপত্র দেওয়ার কথা বলে আগাম টাকা নিয়ে পরে তিনি তাদের ব্লক করে দিতেন।

মো. আব্দুর রহমান সোহান আগে মোবাইলে অর্থ লেনদেনের প্রতিষ্ঠান বিকাশ এর ডিস্ট্রিবিউশন হাউজে চাকরি করতেন। তিনি কোনো কাগজপত্র ছাড়াই ভুয়া দোকানের নামে মার্চেন্ট একাউন্ট খুলে প্রতারণার টাকা লেনদেনের জন্য মাহদী হাসানকে সেই মার্চেন্ট সিম সরবরাহ করতেন।

অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার আশরাফউল্লাহ জানান, নাফিউলসহ এই চক্রের অন্য সদস্যরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষার প্রশ্নপত্র সরবরাহের কথা বলে বিভিন্ন গ্রুপে প্রচার এবং বিভিন্ন গ্রুপের পোস্টে কমেন্ট করে পরীক্ষার্থীদের আকৃষ্ট করে। পরীক্ষার্থীরা টেলিগ্রাম ও মেসেঞ্জারের মাধ্যমে যোগাযোগ করলে তাদের ২০ হাজার টাকা আগাম পাঠাতে বলে প্রতারকরা। টাকা পাওয়ার পর প্রতারকরা যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়।

অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার আশরাফউল্লাহ জানান, গত ২৪ ফেব্রুয়ারি শাহবাগ থানায় একটি মামলা হয়। মামলার এজাহারে বলা হয়, একটি প্রতারক চক্র ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৩-২০২৪ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ৫০ হাজার টাকায় টেলিগ্রামের মাধ্যমে বিক্রি করছে। চক্রটি পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকে প্রায় ১০ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে।

মামলাটি তদন্ত করে ওয়েব বেইজড ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন টিম তথ্য-প্রযুক্তির সহায়তায় আসামির অবস্থান শনাক্ত করে।

Comments

The Daily Star  | English

20 non-banks on BB red list

As of December last year, they disbursed Tk 25,808 crore in loans against collateral worth Tk 6,899 crore, according to the BB report

9h ago