২৪ বিশ্ববিদ্যালয়ে গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার আবেদনের সময় ২৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বাড়ল

দেশের ২৪টি বিশ্ববিদ্যালয়ে জিএসটি অ্যাডমিশন সিস্টেম বা গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষায় আবেদনের সময় আগামী ২৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে।

ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীরা ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষার আবেদনপত্র মঙ্গলবার দিবাগত রাত ১১টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত পূরণ করতে পারবে।

গত ১২ ফেব্রুয়ারি গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার আবেদন প্রক্রিয়া শুরু হয়। গুচ্ছ ভর্তিতে অনলাইনে আবেদন পত্র গ্রহণের সময়সীমা ছিল ২৬ ফেব্রুয়ারি রাত ১১টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত।

গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার জন্য ২০১৯, ২০২০ ও ২০২১ সালের এসএসসি ও সমমান এবং ২০২২ ও ২০২৩ সালের এইচএসসি ও সমমান, ডিপ্লোমা-ইন-কমার্স, বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এইচএসসি (ভোকেশনাল), 'এ' লেভেল এবং অন্যান্য সমমান পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরা আবেদন করতে পারবে।

মানবিক ও বাণিজ্য শাখা থেকে এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরা নির্ধারিত যোগ্যতা থাকা সাপেক্ষে যথাক্রমে 'এ', 'বি' ও 'সি' ইউনিটে আবেদন করতে পারবে।

আগামী ৩ মে 'বি' ইউনিটের (মানবিক) ভর্তি পরীক্ষার মধ্য দিয়ে ২৪ বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা শুরু হবে। এরপর ১০ মে 'সি' ইউনিটের (বাণিজ্য) এবং ২৭ এপ্রিল 'এ' ইউনিটের (বিজ্ঞান) শিক্ষার্থীরা ভর্তি পরীক্ষা দিবে।

উল্লেখ্য, জিএসটি অ্যাডমিশন সিস্টেম বা গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা হলো বাংলাদেশের একটি বার্ষিক সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষা পদ্ধতি। গুচ্ছ পদ্ধতির মাধ্যমে দেশের ৯টি সাধারণ, ১২টি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি এবং ১টি ডিজিটাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ভর্তির যোগ্যতা নিরূপণ করা হয়।

গুচ্ছ প্রক্রিয়া ছাড়াও দেশের ৭টি কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় এবং একটি বিজ্ঞান প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি অনুষদের জন্য পৃথক গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা এবং তিনটি প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য ইঞ্জিনিয়ারিং গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা নেয়া হয়। ১৯৭৩ সালের অধ্যাদেশের অধীনে পরিচালিত চারটি স্বায়ত্তশাসিত বিশ্ববিদ্যালয় এবং বুয়েট ছাড়াও কয়েকটি বিশেষায়িত বিশ্ববিদ্যালয় এই গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার আওতাধীন নয়। 

তবে বাংলাদেশ সরকার, শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষ থেকে দেশের সকল সরকারি বা পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য একক সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষা চালু করার পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে।

 

Comments

The Daily Star  | English

The ceasefire that couldn't heal: Reflections from a survivor

I can’t forget the days in Gaza’s hospitals—the sight of dismembered children and the cries from phosphorus burns.

5h ago