ইউনাইটেড হাসপাতালে শিশু আয়ানের মৃত্যুর কারণ অনুসন্ধানে নতুন কমিটি

high court
স্টার ফাইল ফটো

রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে পাঁচ বছর বয়সী শিশু আয়ানের মৃত্যুর কারণ অনুসন্ধানে পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করে দিয়েছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে জানিয়েছেন, এই ঘটনায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের দেওয়া তদন্ত প্রতিবেদন মনঃপূত নয়।

নতুন কমিটির সদস্যরা হলেন—শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক এবিএম মাকসুদুল আলম, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) অধ্যাপক শশাঙ্ক কর কুমার মণ্ডল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক শেখ হাফিজুর রহমান কার্জন, ঢাকা শিশু হাসপাতালের অধ্যাপক আমিনুর রশিদ এবং জাতীয় প্রতিষেধক ও সামাজিক চিকিৎসা ইনস্টিটিউটের সহকারী অধ্যাপক সাথী দস্তিদার।

কমিটিকে ৩০ দিনের মধ্যে আদালতে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।

বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আতাবুল্লাহর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ মঙ্গলবার এ আদেশ দেন।

একইসঙ্গে এই বিষয়ে পরবর্তী আদেশের জন্য আগামী ২০ মার্চ দিন ধার্য করেছেন আদালত।

প্রয়োজনীয় নির্দেশনা চেয়ে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী এবিএম শাহজাহান আকন্দ মাসুম ও আয়ানের বাবা শামীম আহমেদ রিট আবেদন করেন।

এর আগে গত ৯ জানুয়ারি রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে আয়ানের মৃত্যুর ঘটনায় ২৯ জানুয়ারি জমা দেওয়া স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তদন্ত প্রতিবেদন নিয়ে গভীর অসন্তোষ প্রকাশ করেন হাইকোর্ট। প্রতিবেদনটিতে 'আইওয়াশ' হিসেবে উল্লেখ করে এতে করা সুপারিশগুলো 'হাস্যকর' বলে মন্তব্য করেছেন আদালত।

বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি আতাবুল্লাহর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ রিট আবেদনের শুনানিতে বলেন, 'আমরা চিকিৎসক নই। তবে আমরা মেডিকেল জুরিসপ্রুডেন্স নিয়ে পড়াশোনা করেছি। এটা বোঝা যাচ্ছে যে আপনাদের (সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকদের) অবহেলা ছিল। কোনো ধরনের তদন্ত না করেই তদন্ত প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে। বাইপাস সার্জারির জন্য সাধারণত এত বিপুল মাত্রার ওষুধের প্রয়োজন হয় না।'

'চিকিৎসকরা তার (আয়ান) ব্রঙ্কিয়াল অ্যাজমার সমস্যা রয়েছে জানতে পারার পরেও কেন এত তাড়াহুড়ো করে তার খতনা করা হয়েছিল? অপারেশনের জন্য তারা কিছুদিন অপেক্ষা করতে পারতেন।'

১৫ জানুয়ারির আদেশ অনুযায়ী স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল (ডিএজি) তুষার কান্তি রায়ের মাধ্যমে ১৪ পৃষ্ঠার তদন্ত প্রতিবেদন হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় জমা দেওয়া হয়।

প্রতিবেদনে তদন্ত কমিটি বলেছে, খতনা অপারেশনের কারণে আয়ানের স্বাভাবিক রক্তক্ষরণ হয়েছে এবং সিপিআরের (কার্ডিও পালমোনারি রিসাসিটেশন) কারণে তার পাঁজরের হাড় ভেঙে গিয়ে থাকতে পারে।

ওই তদন্ত কমিটির সদস্যরা হলেন—মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পেডিয়াট্রিক সার্জারি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ শাদুল আলম, হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ও অ্যানেসথেসিওলজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. সত্যজিৎ কুমার সাহা এবং স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক ডা. মো. আলী হাসান।

ডিএজি হাইকোর্ট বেঞ্চে তদন্ত প্রতিবেদনের কিছু অংশ পড়ে শোনানোর পর রিট আবেদনকারী আইনজীবী শাহজাহান আদালতকে বলেন, তদন্ত প্রতিবেদনে কারসাজি করা হয়েছে।

তিনি আয়ানের মৃত্যু নতুন করে তদন্তের জন্য একটি বিচার বিভাগীয় কমিটি গঠন করতে কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেওয়ার জন্য হাইকোর্টে আবেদন করেন।

Comments

The Daily Star  | English

How a 'Dervish Baba' conjured crores from a retired nurse

Want to earn easy money? Just find someone who thinks their partner is cheating on them, then claim to be a “Genie King” or “Dervish Baba,” and offer solutions to “relationship problems” for a fee

3h ago