জাপানে কাজের সুযোগ পেল গাজীপুরের ৭ কলেজ শিক্ষার্থী
গাজীপুরের পুবাইলের দুই প্রতিষ্ঠান থেকে সাত শিক্ষার্থী জাপানে কাজ করার সুযোগ পেয়েছে।
তারা জাপান ইন্টারন্যাশনাল ড্রিম স্কুল অ্যান্ড কলেজ এবং নারায়ণকুল ড্রিম মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থী।
এই দুই প্রতিষ্ঠানের উপাধ্যক্ষ আনিছুর রহমান দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'শিক্ষার্থীদের ভিসা হয়েছে। আগামী ২৯ ফেব্রুয়ারি তারা জাপান চলে যাবে। শিক্ষার্থীরা হলো, প্রথম ব্যাচের শম্পা আক্তার, মো. ইব্রাহিম, মো. নাজিম হোসাইন এবং দ্বিতীয় ব্যাচের লাভলী আক্তার, আসহা আক্তার, জান্নাতুল ফেরদৌস মালা ও মো. পারভেজ।'
শিক্ষার্থীরা জানান, কলেজে আবেগ-অনুভূতি, স্নেহ-মমতা ও উচ্ছ্বাস-আনন্দে তাদের দশটি বছর কেটেছে। এখন জাপানে যাওয়ার সুযোগ পেয়ে তারা বেশ পুলকিত।
শিক্ষার্থী শম্পা আক্তার ডেইলি স্টারকে বলেন, '২০১৩ সালে থেকে এই বিদ্যালয়ে বিনা খরচে অধ্যয়ন করেছি। জাপানের ওয়াতামি গ্রুপে কাজের সুযোগ পেয়েছি, যা আমার জীবনের সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি। ছোটবেলা থেকে স্বপ্ন দেখতাম- প্রতিষ্ঠিত হব, স্বপ্নপূরণে জাপান যাব। সেখানে ১০ বছর কাজ করে অভিজ্ঞতা অর্জন করব। পরে দেশে এসে পোশাক শিল্পের উদ্যোক্তা হতে চাই। মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টি করব। পরিবারের পাশে দাঁড়াব।'
শিক্ষার্থী পারভেজের বাবা শাহজাহান ডেইলি স্টারকে বলেন, 'ছোটবেলা থেকেই ওকে নিয়ে আমাদের বড় স্বপ্ন ছিল। তবে কিছু সীমাবদ্ধতার কারণে আমার একার পক্ষে ছেলের ভালো অবস্থান তৈরি করা কষ্টসাধ্য ছিল।'
নারায়ণকুল ড্রিম মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজের প্রভাষক মো. লিমন হোসেন ডেইলি স্টারকে বলেন, 'শিক্ষার্থীরা বিনা খরচে জাপান যাচ্ছে। সেখানে তাদের ভালো সম্মানজনক অর্থের চুক্তিতে কাজ করার সুযোগ রয়েছে। একবছর ধরে তাদের জাপানের ভাষা, কাজের ধারণা, দেশটির সংস্কৃতি ও আইন ইত্যাদি সবই বিনা খরচে শেখানো হয়েছে।'
এই দুই প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ কাৎসুশি ফুরুসাওয়া বলেন, 'এই দুই প্রতিষ্ঠান শুধু শিক্ষার্থীদের কল্যাণের জন্য বিদ্যমান। শিক্ষার্থীদের জাপানে অধ্যয়ন, জাপানি সংস্কৃতি, ভাষা শিক্ষা ও জাপান গমনে সর্বাত্মক সহযোগিতা করার পরিকল্পনা ইতোমধ্যে হাতে নেওয়া হয়েছে। আমরা আশা করি ভবিষ্যতে আরও বেশি শিক্ষার্থী জাপানে কর্মসংস্থানের সুযোগ পাবে।'
উপাধ্যক্ষ আনিছুর রহমান জানান, জাপানের ঐতিহ্যবাহী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান 'ইকুবুনকান ড্রিম স্কুল'-এর অধীনে পুবাইলে নারায়ণকুল ড্রিম মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজ এবং জাপান ইন্টারন্যাশনাল ড্রিম স্কুল অ্যান্ড কলেজ (ইংরেজি ভার্সন) পরিচালিত হয়। এই শিক্ষার্থীরা ইকুবুনকান ড্রিম স্কুলের চেয়ারম্যান মিকি ওয়াতানাবের ওয়াতামি গ্রুপে কাজের সুযোগ পেয়েছে। ওয়াতামি গ্রুপের ৭০০ রেস্তোরাঁ, ফুড প্রোডাকশন ও এগ্রিকালচার কোম্পানি রয়েছে।
তিনি আরও জানান, সাত শিক্ষার্থীর মধ্যে তিনজন যাবে এগ্রিকালচার কোম্পানিতে ও চারজন যাবে রেস্তোরাঁয়। কলেজ থেকে যোগ্যতার ভিত্তিতে সাক্ষাৎকারের মাধ্যমে তাদের জাপানে নেওয়ার জন্য সিলেকশন করা হয়েছে।
Comments