মানিকগঞ্জ

নদীভাঙন থেকে বসতভিটা ও ফসলি জমি রক্ষায় বালুমহাল ইজারা না দেওয়ার দাবিতে মানববন্ধন

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, বেউথা-আন্ধারমানিক ও পৌলী মৌজায় বালুমহালের ইজারা দেওয়ার কারণে প্রতি বছর ফসলি জমি নদীতে বিলীন হচ্ছে। এতে স্থানীয় কৃষকরা ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।
আন্ধারমানিক এলাকায় আয়োজিত মানববন্ধন। ছবি: স্টার

কালিগঙ্গা নদীর ভাঙন থেকে বসতভিটা ও ফসলি জমি রক্ষায় মানিকগঞ্জের বেউথা-পৌলি মৌজায় বালুমহাল ইজারা না দেওয়ার দাবিতে মানববন্ধন করেছেন এলাকাবাসী।

শনিবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে কালিগঙ্গা নদীর তীরে মানিকগঞ্জ পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের আন্ধারমানিক এলাকায় এই মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন আন্ধারমানিক ও জয়নগর এলাকার বাসিন্দারা।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, বেউথা-আন্ধারমানিক ও পৌলী মৌজায় বালুমহালের ইজারা দেওয়ার কারণে প্রতি বছর ফসলি জমি নদীতে বিলীন হচ্ছে। এতে স্থানীয় কৃষকরা ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। ড্রেজার দিয়ে বালু ও মাটি কাটা এবং ইজারা দেওয়া বন্ধ না হলে কৃষকের ফসলি জমি, কবরস্থান, মসজিদসহ গ্রামের শতাধিক বসতবাড়ি ভাঙন ঝুঁকিতে পড়বে।

আন্ধারমানিক গ্রামের কৃষক আব্দুল খালেক বলেন, 'ইজারাদাররা নদী থেকে ড্রেজার দিয়ে মাটি ও বালি কাটছে। এ কারণে ফসলি জমি নদীতে ভেঙে যাচ্ছে। আমার ৪৫ শতাংশ জমির মধ্যে ১৫ শতাংশ জমি নদীতে চলে গেছে। কোথাও বলার জায়গা নেই। তাই বাধ্য হয়ে মানববন্ধনে এসেছি।'

একই ভাষ্য জয়নগর গ্রামের কৃষক আবু সাঈদ, আন্ধারমানিক গ্রামের কৃষক লাল মিয়াসহ উপস্থিত সবারই।

তারা নদীতে বালুমহাল ইজারা না দিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ জানান এবং এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।

এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক রেহেনা আকতার বলেন, 'বেউথা, আন্ধারমানিক ও জয়নগর এলাকায় বালুমহালের ইজারা বন্ধে মানববন্ধনের কোনো স্মারকলিপি আমরা পাইনি। তবে লিখিত আবেদন পেলে, এর গুরুত্ব বিবেচনা করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।'

Comments

The Daily Star  | English

An economic corridor that quietly fuels growth

At the turn of the millennium, travelling by road between Sylhet and Dhaka felt akin to a trek across rugged terrain. One would have to awkwardly traverse bumps along narrow and winding paths for upwards of 10 hours to make the trip either way.

13h ago