‘দিল্লি চলো’ কৃষক রোডমার্চে আবারও টিয়ার শেল

কৃষকদের ওপর আবারও টিয়ার শেল
কৃষকদের ছত্রভঙ্গ করতে গতকালও তাদের লক্ষ্য করে টিয়ার শেল নিক্ষেপ করে পুলিশ। ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪। ছবি: রয়টার্স

'বিরতি' শেষে আবারও 'দিল্লি চলো' রোডমার্চ শুরু করতে গেলে কৃষকদের লক্ষ্য করে কাঁদানে গ্যাস ছুড়েছে ভারতীয় নিরাপত্তা বাহিনী।

আজ বুধবার স্থানীয় সময় সকাল ৮টার দিকে পাঞ্জাব ও হরিয়ানার মধ্যবর্তী শম্ভু সীমান্তে টিয়ার শেল ছোড়া হয় বলে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য হিন্দুর প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।

আন্দোলনকারীদের বরাত দিয়ে এতে বলা হয়েছে, কৃষকরা সকালে 'দিল্লি চলো' রোডমার্চ পুনরায় শুরু করতে গেলে তাদের লক্ষ্য করে কাঁদানে গ্যাস ছোড়া হয়।

বার্তাসংস্থা পিটিআইয়ের বরাত দিয়ে প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, আন্দোলনকারীরা জানান, তারা শম্ভু সীমান্তে পুলিশের ব্যারিকেডের কাছে জড়ো হলে তাদের লক্ষ্য করে টিয়ার শেল নিক্ষেপ করা হয়।

গতকাল থেকে কৃষকরা পুনরায় আন্দোলন শুরু করার পর কেন্দ্র থেকে ইতোমধ্যে জানানো হয়েছে, ফসলের জন্য ন্যূনতম সহায়ক মূল্যের (এমএসপি) গ্যারান্টি দেওয়ার আইন প্রণয়নের যে মূল দাবি তারা জানিয়েছে, সেটার বাস্তবায়ন সম্ভব নয়।

আজ কৃষকদের আবারও আলোচনার জন্য ডাকা হয়েছে। কৃষকদের আন্দোলন ঘিরে দিল্লি সীমান্তের নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। দিল্লি থেকে ২০০ কিলোমিটারেরও বেশি দূরে শম্ভু সীমান্তে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।

দ্য হিন্দুর প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, কৃষকদের কর্মসূচি বানচাল করতে গতকাল টিয়ার শেল ও জলকামান ব্যবহার করেছে পুলিশ।

এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গতকাল রাতে কৃষকরা তাদের কর্মসূচিতে 'সাময়িক বিরতি' ঘোষণা করে বুধবার সকাল থেকে পুনরায় তা শুরু করার কথা জানায়। ধারণা করা হচ্ছে, আজ কৃষকরা পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে সামনে এগিয়ে যেতে পারে।

এদিকে কৃষকদের আন্দোলন ঘিরে দিল্লি-গাজিয়াবাদ সীমান্তে তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়েছে বলে দ্য হিন্দুর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। আন্দোলন রুখতে দিল্লি সীমান্তে নিরাপত্তা বাহিনীর অতিরিক্ত সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।

হরিয়ানার ডিএসপি অনিল কুমার এএনআইকে বলেছেন, যানজট নিয়ন্ত্রণে রুট ডাইভার্ট করা হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে।

উল্লেখ্য, বিতর্কিত তিনটি কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে ২০২০ সাল থেকে বিক্ষোভ করে আসছেন ভারতের কৃষকরা।

Comments

The Daily Star  | English

Enforced disappearances: Eight secret detention centres discovered

The commission raised concerns about "attempts to destroy evidence" linked to these secret cells

13m ago