পঁচাত্তরের পরে এবার সবচেয়ে অবাধ-সুষ্ঠু নির্বাচন হয়েছে: শেখ হাসিনা

পঁচাত্তরের পরে এবার সবচেয়ে অবাধ-সুষ্ঠু নির্বাচন হয়েছে: শেখ হাসিনা
আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা | ছবি: টেলিভিশন থেকে নেওয়া

পঁচাত্তরের পরে এবার সবচেয়ে অবাধ-সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

আজ বুধবার গণভবনে গোপালগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'এবারের নির্বাচনে সবচেয়ে বড় কথা হলো যে, জনগণ স্বতঃস্ফূর্তভাবে ভোটকেন্দ্রে গেছে এবং ভোট দিয়েছে। তাদের ভোটের অধিকার তারা ফিরে পেয়েছে, সেটা তারা এবার যথাযথভাবে প্রয়োগ করতে পেরেছে।'

তিনি বলেন, 'আমি মনে করি, বাংলাদেশে পঁচাত্তর সালের পর থেকে যতগুলো নির্বাচন হয়েছে। সব থেকে অবাধ, নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু একটা নির্বাচন এবারের নির্বাচন হয়েছে।'

শেখ হাসিনা বলেন, 'আমাদের সামনের যাত্রাপথ এত সহজ না। অনেক বাধা-বিঘ্ন অতিক্রম করতে হয়। অনেক চক্রান্ত এই বাংলাদেশটাকে ঘিরে আছে। বাংলাদেশের মানুষ আজকে আর্থিকভাবে সচ্ছলতা পেয়েছে। বাংলাদেশের মানুষের আজকে পেটে ভাত আছে। তারা চিকিৎসা পাচ্ছে। কমিউনিটি ক্লিনিকের মাধ্যমে ৩০ প্রকার ওষুধ বিনামূল্যে দিচ্ছি। আজকে বিদেশ থেকে পুরোনো কাপড় এনে পরতে হয় না।

'কাজেই ভাত-কাপড়ের ব্যবস্থা যেমন করা হয়েছে, চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছি, শিক্ষার ব্যবস্থা করে দিয়েছি। এভাবে মানুষের কল্যাণে আমরা কাজ করে যাচ্ছি,' যোগ করেন তিনি।

ফসল উৎপাদন বাড়ানোর তাগিদ জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, 'বিশ্বব্যাপী খাদ্যপণ্যের দাম বেড়েছে, অনেক টাকা দিয়ে আমাদের কিনে আনতে হয়—সার, বীজ, গম, জ্বালানি তেল, ভোজ্য তেল, গ্যাস; অনেক কিছুই আমাদের বিদেশ থেকে কিনতে হয়। প্রত্যেকটা জিনিসের দাম যেমন বেড়ে গেছে, সেই সঙ্গে সঙ্গে পরিবহন খরচ বেড়ে গেছে ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধের কারণে।'

তিনি বলেন, 'আমি জানি যে, যারা নির্দিষ্ট আয়ের মানুষ তাদের জন্য একটু কষ্ট হচ্ছে। সবাই যদি আমরা অনাবাদি জমিগুলো চাষ করে ফেলি, তাহলে আর এই খাদ্যের অভাব থাকবে না। বরং আমরা আরও উদ্বৃত্ত করতে পারবো, মানুষকে দিতেও পারবো। যেখানে যত পতিত জমি আছে, সব আমাদের চাষের আওতায় আনতে হবে। তার জন্য যতটুকু সহযোগিতা করা দরকার আমরা করব। সেই সঙ্গে সঙ্গে আমরা সমবায় করে, সমবায়ের মাধ্যমে বাজারজাতের ব্যবস্থা হবে।'

প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'খাদ্যশস্য সংরক্ষণের ব্যবস্থা করার পরিকল্পনা আমাদের আছে। প্রত্যেক জেলায় জেলায় খাদ্যশস্য যাতে সংরক্ষণ করা যায়; যখন উদ্বৃত্ত হবে সেটা সংরক্ষণ করা, প্রক্রিয়াজাত করা—সেভাবে আমরা কাজ করার ব্যবস্থা নিয়েছি ইতোমধ্যে।'

এ সময় তিনি বিদ্যুৎ ও পানি ব্যবহারে সাশ্রয়ী হওয়ার আহ্বান জানান। চেয়ারম্যান-মেম্বরদের উদ্দেশে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, 'আমরা অনেক প্রকল্প দিই, কাজ করি। সেই কাজগুলো যাতে যথাযথভাবে হয়। মানুষ যেন গালি না দেয়। কাজ দেখে যেন মানুষ আস্থা-বিশ্বাস আনতে পারে। এই আস্থা-বিশ্বাস সব থেকে বেশি দরকার।'

Comments

The Daily Star  | English

Those involved in Ijtema ground deaths won't be spared: home adviser

He also said that those who are involved with the killings must be brought to book.

50m ago