গোলাগুলির শব্দে আতঙ্ক, ঘুমধুম সীমান্তের ২৭ পরিবার আশ্রয়কেন্দ্রে

বান্দরবানে নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুমের আশ্রয়কেন্দ্রে ২৭টি পরিবার আশ্রয় নিয়েছে। ঘুমধুম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে গতকাল তোলা ছবি। ছবি: সংগৃহীত

বান্দরবানে নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম ইউনিয়নের ওপারে মিয়ানমারে সংঘাত ও গোলাগুলিতে সীমান্তের এপারে বাংলাদেশিদের ভয় ও আতঙ্কে নির্ঘুম রাত কেটেছে।

আজ সকাল পর্যন্ত ঘুমধুম সীমান্তে খোলা আশ্রয়কেন্দ্রে ২৭টি পরিবার আশ্রয় নিয়েছে।

সকালে ঘুমধুম ইউনিয়নের ৭, ৮ ও ৯ নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত নারী আসনের সদস্য ফাতেমা বেগম জানান, সীমান্তবর্তী এলাকার ২৭টি পরিবারের ১২০ জন সদস্য আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছে।

তিনি বলেন, জেলা প্রশাসকের নির্দেশনা মোতাবেক ইউনিয়ন পরিষদের জনপ্রতিনিধিরা  জরুরি আশ্রয়কেন্দ্রে স্থানীয়দের  নিয়ে আসার জন্য কাজ করে যাচ্ছে।

আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নেওয়া ১২০ জনের রাতের খাবার ও কম্বল ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ থেকে ব্যবস্থা করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।

গতকাল দুটি বিদ্যালয়কে আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ঘোষণা করা হয়।

নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম ও তুমব্রু সীমান্তের ওপারে মিয়ানমারে সরকারি বাহিনী ও বিদ্রোহী আরাকান আর্মির মধ্যে চলমান সংঘর্ষে বাংলাদেশের ভেতরে পড়া মর্টার শেল বিস্ফোরণে দুজন নিহত হওয়ার পর এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়।

স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা জানান, মঙ্গলবার দুপুরের পর থেকে সীমান্ত এলাকার বাসিন্দাদের দুটি আশ্রয় কেন্দ্রে যাওয়ার জন্য মাইকে প্রচার চালানো হয়। সেই সঙ্গে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা থেকে বাসিন্দাদের নিরাপদ আশ্রয়ে সরে যেতে বলা হয়।

গতকাল ঘুমধুম ইউনিয়নের সংরক্ষিত নারী সদস্য খালেদা বেগম জানিয়েছিলেন, সীমান্ত পরিস্থিতি খারাপ হতে থাকায় মাইকিং করে স্থানীয় লোকজনকে সরে যেতে বলা হচ্ছে। গতকাল থেকেই নারী ও শিশুরা সীমান্ত এলাকা ছেড়ে আত্মীয়-স্বজনের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছেন। তবে পরিবারের পুরুষ সদস্যরা অনেকেই এখনো সেখানে আছেন।

ঘুমধুম ইউনিয়নের সচিব এরশাদ উল্লাহ হক সাংবাদিকদের বলেন, ঘুমধুম ইউনিয়নের একেবারে সীমান্তঘেঁষা গ্রামের বাসিন্দাদের নিরাপদ জায়গায় সরে যেতে বলা হয়েছে।

গ্রামগুলো হলো তুমব্রু কোনার পাড়া, তুমব্রু মাঝের পাড়া, ভাজাবনিয়া পাড়া, তুমব্রু বাজার পাড়া, তুমব্রু চাকমা হেডম্যান পাড়া, তুমব্রু পশ্চিমকুল পাড়া, ঘুমধুম নয়াপড়া, ঘুমধুম পূর্বপাড়া এবং ঘুমধুম মধ্যম পাড়া। মূলত এসব পাড়ায় মাইকিং করে বাসিন্দাদের সরে যেতে বলা হচ্ছে। এই পাড়াগুলোতে প্রায় ২৪০টি পরিবার বসবাস করে।

 

Comments

The Daily Star  | English

Mindless mayhem

The clashes between students of three colleges continued yesterday, leaving over 100 injured in the capital’s Jatrabari.

4h ago