সীমান্তে গোলাগুলির শব্দে নির্ঘুম রাত, আতঙ্কে মানুষ

বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির ওপারে মিয়ানমারে গোলাগুলির ঘটনায় আতঙ্কে দিন কাটছে বাংলাদেশ সীমান্তের মানুষের। গতকাল ঘুমধুম সীমান্ত থেকে তোলা ছবি। ছবি: স্টার

বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম সীমান্তের ওপারে মিয়ানমারের রাখাইনে গতকাল রাতভর গোলাগুলি হয়েছে। নির্ঘুম রাত কাটিয়েছেন সীমান্তের মানুষ। তবে সকাল থেকে গুলির শব্দ পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। তবে আতঙ্কে দিন কাটছে তাদের।

স্থানীয়রা জানায়, গতকাল রোববার ভোররাত ৩টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত লাগাতার বন্দুক যুদ্ধের পর রাতে প্রায় ৪ ঘণ্টা বিরতির পর আবারও রাত ১১টা থেকে আজ সোমবার ভোর ৫টা পর্যন্ত চলে গোলাগুলি।

তবে সকালে গোলাগুলির শব্দ বন্ধ থাকলেও সীমান্তের পাশে বসবাসকারী স্থানীয় বাংলাদেশিদের মনে আতঙ্ক কাটেনি।

তারা বলছেন, রাখাইন থেকে যুদ্ধে প্রাণ বাঁচাতে বাংলাদেশ বর্ডার গার্ডের কাছে আশ্রয় নিয়েছে অনেক বিজিপি সদস্য। আজ সকালে যখন গোলাগুলি বন্ধ হয় সীমান্তের ওপারের ক্যাম্পে সশস্ত্র বেশ কিছু মানুষের আনাগোনা দেখা গেছে।

গতকাল সারাদিন ভয়-আতঙ্ক এবং উত্তেজনা ছিল সীমান্ত এলাকায়। একদিকে অনবরত গোলাগুলির শব্দ। অন্যদিকে মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনী সদস্যরা প্রাণ বাঁচাতে বাংলাদেশ সীমান্তে প্রবেশ করে।

বিজিবির সদর দপ্তরের জনসংযোগ কর্মকর্তা শরিফুল ইসলাম আজ সকালে দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, মিয়ানমার থেকে গতকাল মোট ৯৫ বিজিপি সদস্য বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে।

ঘুমধুম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ এ কে এম জাহাঙ্গীর আজিজ দ্য ডেইলি স্টারকে সকাল ১০টার দিকে বলেন, ভোর ৫টার পর থেকে এখন পর্যন্ত গোলাগুলির শব্দ নেই।

তিনি বলেন, মিয়ানমারে সংঘর্ষের জেরে এখন পর্যন্ত বিজিপির ৯৫ সদস্য বান্দরবানে নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্ত দিয়ে অস্ত্রসহ বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। বিজিবি তাদের নিরস্ত্রীকরণ করে নিরাপদ আশ্রয়ে নিয়েছে। যায়া গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হয়েছে তাদেরকে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে জেনেছি।

 

Comments

The Daily Star  | English

Will protect investments of new entrepreneurs: Yunus

Yunus held a meeting with young entrepreneurs at the state guest house Jamuna where15 male and female entrepreneurs participated

1h ago