চাল ব্যবসায়ীরা শিয়ালের চেয়েও ধূর্ত: খাদ্যমন্ত্রী
চাল ব্যবসার সঙ্গে জড়িত মিল মালিকরা শিয়ালের চেয়েও ধূর্ত বলে মন্তব্য করেছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার।
আজ রোববার দুপুরে বগুড়া জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে এক মতবিনিময় সভায় এ মন্তব্য করেন তিনি।
'চালের বাজার নিয়ন্ত্রণে করণীয়' নির্ধারণে এ সভায় মন্ত্রী চালের দাম মাঝে মাঝে অনিয়ন্ত্রিত হয়ে পড়ার পেছনে চাল ব্যবসায়ীদের ভূমিকা আছে বলে মন্তব্য করেন।
মন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, 'কয়েকদিন আগে নির্বাচনের সময় সরকার গঠনের অন্তর্বর্তীকালীন সময়ে সুযোগ বুঝে লোভী ব্যবসায়ীরা চালের দাম বাড়িয়েছিল।'
সে সময় খাদ্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের অবহেলার জন্য তাদের 'তোমার কি ঘোড়ার ঘাস কাট' বলেও তিরস্কার করেন মন্ত্রী।
মিল মালিকদের উদ্দেশে মন্ত্রী বলেন, 'খাদ্য মন্ত্রণালয় থেকে আমাদের নতুন আইন প্রণয়ন করা হয়েছে। আপনারা জানেন? মিনিকেট বলে কোনো চাল নেই, আপনি মিনিকেট বলে কোনো চাল বিক্রি করতে পারবেন না। বস্তার গায়ে ধানের জাত উল্লেখ করতে হবে। মিল গেটে চালের রেট লিখতে হবে, উৎপাদনের তারিখ লিখতে হবে। আর ছাঁটাই কমাতে হবে। আমাদের প্রায় ১৬-২০ লাখ টন চাল আপনারা বাতাসে উড়ায় দেন।'
'এতগুলো মিলের মধ্যে সিন্ডিকেট আছে, সেটা আমি বিশ্বাস করি না। তবে হ্যাঁ মিল মালিকদের মধ্যে কিন্তু সেরকম প্রবণতা আছে। যদি বলেন কুষ্টিয়ার দুজন, চাঁপাইয়ের একজন বা দুজন, নওগাঁর দুজন, দিনাজপুরের দুই থেকে তিনজন, ঝিনাইদহের আছে দুইজন,' যোগ করেন তিনি।
মন্ত্রী বলেন, 'তারা নিজেদের মধ্যে মেসেজ চালাচালি করে যে, আজ এই দরে (চাল) বিক্রি করব, আর এই দামে ধান কিনব।'
'যখন একটা শিয়াল ডাক দেয়, তখন সব শিয়াল একসঙ্গে ডাক দেয়। এখন বেয়াদবি মাপ করবেন। এই না যে, আমি আপনাদের শিয়াল বলছি। তবে এটাও ঠিক, চাউলের ব্যবসার বিষয়ে আপনারা শিয়ালের চেয়েও ধূর্ত। এটা অকপটে আমাকে বলতে হয়,' বলেন মন্ত্রী সাধন চন্দ্র।।
সভায় চালের খুচরা ও পাইকারি ব্যবসায়ীরা, হাস্কিং, অটো রাইস মিল এবং করপোরেট গ্রুপের মালিক বা প্রতিনিধিরা মন্ত্রীর সামনে বক্তব্য উপস্থাপন করেন এবং চালের অস্বাভাবিক দাম বৃদ্ধির ক্ষেত্রে একে অন্যকে দায়ী করেন।
Comments