সীমান্তে হত্যাকাণ্ডের জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছে বিএসএফ: পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সেহেলি সাবরিন। ছবি: সংগৃহীত

ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) সাম্প্রতিক সীমান্ত হত্যার জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করেছে এবং যৌথ প্রচেষ্টার মাধ্যমে সীমান্ত সমস্যা সমাধানের আগ্রহ প্রকাশ করেছে।

ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনা রোধে বিএসএফ ও বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) একযোগে কাজ করবে।

বৃহস্পতিবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাপ্তাহিক ব্রিফিংয়ে এক প্রশ্নের জবাবে এ তথ্য জানান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সেহেলি সাবরিন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের আমন্ত্রণে তার প্রথম দ্বিপক্ষীয় সফরের অংশ হিসেবে ৭ থেকে ৯ ফেব্রুয়ারি ভারত সফর করবেন।

বৈঠকে তিস্তার পানি বণ্টনের বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হবে কি না জানতে চাইলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বলেন, বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হবে বলে তারা আশা করছেন। তিস্তা নিয়ে চীনের প্রস্তাবিত প্রকল্পের বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হবে কিনা তা এই মুহূর্তে এভাবে বলা যাচ্ছে না। যদি ভারত এ ব্যাপারে আমাদের কাছে কিছু জানতে চায়, তখন আমরা বিষয়টি ভেবে দেখব।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক আরও জোরদার করতে দুদেশের মধ্যে বাণিজ্য, যোগাযোগ, জ্বালানি সহযোগিতা ও জনগণের সঙ্গে জনগণের যোগাযোগসহ পারস্পরিক স্বার্থ-সংশ্লিষ্ট বিষয়ে আলোচনা হবে।

রাখাইন পরিস্থিতি প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, রাখাইনে চলমান সংঘাত মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ বিষয়। তবে এই সংঘাতে বাংলাদেশ বা আমাদের নাগরিক যেন কোনোভাবে ক্ষতিগ্রস্ত না হয় এবং নতুন অনুপ্রবেশ না ঘটে সে বিষয়ে বিশেষভাবে নজর রাখা হচ্ছে। মিয়ানমারে আমাদের দুইটি কূটনৈতিক মিশন রয়েছে। সিটুয়্যেতে আমাদের মিশন এবং নেপিদোতে দূতাবাস বিষয়টির সার্বিক পর্যবেক্ষণ এবং প্রয়োজনে মিয়ানমার সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে।

তিনি আরও বলেন, বিদ্যমান পরিস্থিতি এবং সম্ভাব্য প্রভাব নিয়ে সরকারের সব কর্তৃপক্ষ এবং প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে ঢাকাস্থ মিয়ানমারের দূতাবাসের সঙ্গে নিবিড় ও তড়িৎ যোগাযোগ রক্ষা করছে মন্ত্রণালয়। এছাড়াও আমাদের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সঙ্গে তাদের মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষীদের যোগাযোগ অব্যাহত রয়েছে।

Comments

The Daily Star  | English
The Indian media and Bangladesh-India relations

The Indian media and Bangladesh-India relations

The bilateral relationship must be based on a "win-win" policy, rooted in mutual respect, non-hegemony, and the pursuit of shared prosperity and deeper understanding.

12h ago