মধ্যপাড়া কঠিন শিলা

জায়গা সংকটে উৎপাদন বন্ধ

মধ্যপাড়া কঠিন শিলা খনি
খনি থেকে উৎপাদিত কঠিন শিলা রাখার জায়গার সংকটে অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ উৎপাদন। ছবি: স্টার

দিনাজপুরের পার্বতীপুর উপজেলার পেট্রোবাংলার মধ্যপাড়া গ্রানাইট মাইনিং কোম্পানি লিমিটেড (এমজিএমসিএল) উৎপাদিত কঠিন শিলা রাখার জায়গার সংকট হওয়ায় এবং বিক্রি উল্লেখযোগ্য হারে কমে যাওয়ায় গত বৃহস্পতিবার সকাল থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য উৎপাদন বন্ধ আছে।

উৎপাদিত পাথর রাখার জায়গা এমজিএমসিএলের কাছ থেকে না পেয়ে গত বুধবার খনি শ্রমিকদের অনির্দিষ্টকালের ছুটি দেয় চুক্তিবদ্ধ প্রতিষ্ঠান জিটিসি (জার্মানিয়া ট্রেস্ট কনসোর্টিয়াম)।

জিটিসির কর্মকর্তারা দ্য ডেইলি স্টারকে জানিয়েছেন, তারা গত বৃহস্পতিবার সকাল থেকে উৎপাদন স্থগিত করে নোটিশ দিয়েছেন।

মধ্যপাড়া পাথর খনির কর্মকর্তারা ডেইলি স্টারকে জানিয়েছেন, চার থেকে পাঁচ লাখ টন পাথর ধারণ ক্ষমতা থাকলেও স্টক ইয়ার্ডে প্রায় ১০ লাখ টন পাথর মজুদ আছে।

সর্বোচ্চ উৎপাদন রেকর্ড সত্ত্বেও মধ্যপাড়া পাথর খনির বার্ষিক মুনাফা গত অর্থবছরে কমেছে শুধুমাত্র উত্পাদিত পাথর বিক্রি না হওয়ার কারণে। খনির মাসিক বিক্রয় লক্ষ্যমাত্রা ছিল প্রায় দেড় লাখ টন। তবে প্রকৃত বিক্রি ৫০ হাজার থেকে ৫৫ হাজার টনে নেমে এসেছে।

গত অর্থবছরে ১৯৫ কোটি ৩৬ লাখ টাকায় পাঁচ লাখ ৭১ হাজার টন পাথর বিক্রি করে নূন্যতম মুনাফা হয়েছিল ১৭ কোটি ৩১ লাখ টাকা। এটি আগের তিন বছরের মুনাফার তুলনায় উল্লেখযোগ্য হারে কম।

দাম বেড়ে যাওয়াসহ অন্যান্য কারণে বিক্রি কমে গেছে বলে জানিয়েছে খনির একটি সূত্র।

গত অর্থবছরে প্রতিষ্ঠানটি তাদের উৎপাদিত পাথরের মাত্র অর্ধেক বিক্রি করতে পেরেছে।

পাথর বিক্রি গত ছয় বছরে রেকর্ড পরিমাণ কমেছে। খনির ৯৪ ডিলার সম্মিলিতভাবে দুই লাখ ৫৬ হাজার টন পাথর বিক্রি করেছেন। এটি আগের অর্থবছরে ছিল নয় লাখ ৮৬ হাজার টন।

গত অর্থবছরে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর, সেতু বিভাগ, গণপূর্ত অধিদপ্তর, পানি উন্নয়ন বোর্ড, বাংলাদেশ রেলওয়ে, সিমেন্ট কারখানাসহ বেশ কয়েকটি সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান খনি থেকে বেশি পাথর নেয়নি।

উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, গত অর্থবছরে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর, সেতু বিভাগ ও গণপূর্ত অধিদপ্তর সম্মিলিতভাবে ৫০ হাজার টন কম পাথর নিয়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড পাথর নিয়েছে এর আগের বছরের তুলনায় ৩৫ হাজার টন কম।

জিটিসির মহাব্যবস্থাপক (মাইন অপারেশন) পিনাক ইকবাল মুঠোফোনে ডেইলি স্টারকে বলেন, 'জিটিসি গত বৃহস্পতিবার সকাল থেকে উৎপাদন স্থগিত করে নোটিশ দেয়। এমজিএমসিএল তাদের মূল প্রতিষ্ঠান পেট্রোবাংলাকেও চিঠি দিয়েছে।'

Comments

The Daily Star  | English

Bangladesh continues to perform poorly in budget transparency

Bangladesh has continued to showcase a weak performance in the open budget rankings among its South Asian peers, reflecting a lack of transparency and accountability in the formulation and implementation of fiscal measures.

16h ago